বাণী

মঞ্জু মধু ছন্দা নিত্যা তব সঙ্গী।
সিন্ধুর তরঙ্গ নৃত্যের কুরঙ্গী।।
গুঞ্জা বেলা পদ্ম পুঞ্জীভূত বক্ষে
অশ্রু-লাজ কুণ্ঠা শঙ্কা-ঘন চক্ষে,
অঙ্গে শ্যামাকান্তা! মন্দাকিনী-ভঙ্গী।।
অঙ্গুলিতে বন্দী অঙ্গুরিত ছন্দ
কণ্ঠে সুর-লক্ষ্মী বৃন্দাবনানন্দ,
গঙ্গা এলে বক্ষে সন্ধ্যারাগে রঙ্গী।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ মণিমালা (২০ মাত্রা)

বাণী

ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরি! জাগো জাগো শিঁরি।
‘প্রিয়া জাগো’ ব’লে ফরহাদ ডাকে শোনো আজো১ রাতে ধীরি ধীরি।।
তুমি ধরা দিবে তারে বলেছিলে, বে-দরদি,
যদি পাহাড় কাটিয়া আনিতে পারে সে নদী।
হের গো শিলায় শিলায় আজি উঠিয়াছে ঢেউ
সেথা তব মুখ ছাড়া নাহি আর কেউ,
প্রেমের পরশে যেন মোমের পুতুল হয়েছে পাষাণ-গিরি।।
গলিল পাষাণ, তুমি গলিলে না ব’লে —
যে প্রেমিক মরেছিল তোমার পাষাণ-প্রতিমার তলে,
সেই বিরহীর রোদন যেন গো উঠিছে ভুবন ঘিরি’।।

১. আধো

নাটকঃ ‘মদিনা’

রাগ ও তাল

রাগঃ শিরী-ফর্‌হাদ্‌ (নজরুল সৃষ্ট)

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

রাখিস্‌নে ধরিয়া মোরে, ডেকেছে মদিনা আমায়।
আরাফাত্‌ময়দান হতে তারি তক্‌বীর শোনা যায়।।
কেটেছে পায়ের বেড়ি, পেয়েছি আজাদী ফরমান,
কাটিল জিন্দেগী বৃথাই দুনিয়ার জিন্দান-খানায়।।
ফুটিল নবীর মুখে যেখানে খোদার বাণী
উঠিল প্রথম তক্‌বীর ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি,
যে দেশে পাহাড়ে মুসা দেখিল খোদার জ্যোতি — 
রব না দারুল হরবে যেতে দে যেতে দে সেথায়।।
যে দেশে ধূলিতে আছে হজরতের চরণ-ধূলি
সে ধূলি করিব সুরমা চুমিব নয়নে তুলি’,
যে দেশের মাটিতে আছে নবীজীর মাজার শরিফ — 
নবীজীর দেহের পুষ্প ভাসে রে যে দেশের হাওয়ায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ আশাবরী-পিলু

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি

বাণী

নাচে নন্দ-দুলাল।
নদী-তরঙ্গে অধীর রঙ্গে — বাজে মঞ্জির চঞ্চল তাল।।
	চরণের নূপুর খুলে
	ফুল হয়ে ঝরে তরুমূলে,
পূবালী পবনে বন-ভবনে দোলে সে-ছন্দে পিয়াল তমাল।।
	মধুকর কল-গুঞ্জনে
	কাজরি গাহে নীপবনে,
ময়ূর পাপিয়া উঠিল মাতিয়া বাজে বৃষ্টির বীণা করতাল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ নটমল্লার

তালঃ ত্রিতাল

বাণী

বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি।
রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥
ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আামার প্রাণে
মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥
জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার
বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার।
অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥

রাগ ও তাল

রাগঃ ভৈরবী

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

পুরুষ 	: 	পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
		কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)।
স্ত্রী 	: 	হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না,
পুরুষ 	: 	হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
পুরুষ	 : 	হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে,
স্ত্রী 	: 	না — না — 
উভয়ে 	: 	হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে,
		ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে।
পুরুষ 	: 	মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা
স্ত্রী 	: 	বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া,
পুরুষ 	: 	হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর
		খোল গো মনের দ্বার
স্ত্রী 	: 	মুখে আসে না বুকের ভাষা,
		ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা 
পুরুষ 	: 	প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া
স্ত্রী 	: 	কে করে সে-প্রেমের আশা
পুরুষ 	: 	চাও — চাও — 
স্ত্রী 	: 	যাও — যাও — 
উভয়ে 	: 	খেলিব দুজনে মানে অভিমানে
			এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি