বাণী

এলো ঐ শারদ রাতি!
শেফালি-সুগন্ধে ভরিয়া পবনে, জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।।
বরষার জলধারা ত্যাজিল সে-খরবেগ
ঝরঝর ঝরণে রিক্ত হইল মেঘ,
শ্বেত-হংস খেলে, সারঙ্ সুরে মাতি’।।
আবরণ-হীনা মেঘ ভেসে যায় বাতাসে
কাহার আগমনী প্রকাশে আভাসে,
কদম্ব রেণু মাখি’, এসো প্রিয় সাথি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ পুরিয়া-ধানশ্রী

তালঃ কাহার্‌বা

বাণী

ব্যথার আগুনে হৃদয় আমার
		জ্বলিছে দিবস রাতি গো।
কাঁদিতে আসিলে এ তনু শ্মশানে
		কে তুমি ব্যথার ব্যথী গো॥
মুছিয়া গিয়াছে চন্দনের লেখা
খুলে শুকাইয়া গিয়াছে মন্দারের মালা
নিভেছে আশা দীপ আজি অবেলায়
		কে তুমি রাতের সাথি গো॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি

বাণী

চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে।
কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে —
		কিশোর নাটুয়ার সাজে।।
আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি
ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’,
ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি —
		তোমার পথ-মাঝে।।
নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ
মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ,
সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ —
		রক্তিম হ’ল লাজে।।
লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে
রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে,
		হেরে তরুণ রসরাজে।।

১. মনোহর

রাগ ও তাল

রাগঃ মিশ্র সুর (ধূন্‌)

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

বাণী

ঝরে বারি গগনে ঝুরু ঝুরু।
জাগি একা ভয়ে নিদ্‌ নাহি আসে,
ভীরু হিয়া কাঁপে দুরু দুরু।।
দামিনী ঝলকে, ঝনকে ঘোর পবন
ঝরে ঝর ঝর নীল ঘন।
রহি’ রহি’ দূরে কে যেন কৃষ্ণা মেয়ে
মেঘ পানে ঘন হানে ভুরু।।
অতল তিমিরে বাদলের বায়ে
জীর্ণ কুটীরে জাগি দীপ নিভায়ে,
দূরে দেয়া ডাকে গুরু গুরু।।

রাগ ও তাল

রাগঃ দেশ

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা রাধা রাধা বল্,
রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বল্।।
যোগে খোঁজেন শিব কৃষ্ণ-গোবিন্দে
ব্রহ্মা পূজেন রাধা-চরণারবিন্দে,
অধরা যুগল চাঁদে ধরিল প্রেমের ফাঁদে গোপ গোপীদল।।
(মোর) শ্রীকৃষ্ণে থাকে যেন অটল মতি
সেই মতি দেন্ মোর রাধা শ্রীমতী,
মন-বৃন্দাবনে ফোটে কৃষ্ণ নামের ফুল —
ঝরায়ে সে-ফুল রাই দেন সবে প্রেম-ফল।।
রাধাকৃষ্ণ বল্ ওরে নর-নারী
সংসার বনে তোরা যেন শুক-শারি,
তার, পরানে নিত্য রাস-রসের উল্লাস —
যাহার হৃদয়ে দোলে মূরতি যুগল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।
খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।।
গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,
দেখে তাই ডাক্‌ছে ডালে কু কু ব’লে কোয়েলা ননদী।।
পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি
বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।।
তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে,
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।।
পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।।
ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি
ঊষসীর শিশ্‌-মহলে আস্‌তে যদি চাস্‌ নিরবধি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ জৌনপুরী-আশাবরি

তালঃ কাহার্‌বা

অডিও

শিল্পীঃ জাবেদা বেগম

ভিডিও

স্বরলিপি