বাণী

তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন।
দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।।
	তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই,
	তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই,
জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।।
ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা,
জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা!
	ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা,
	মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, —
পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।

রাগ ও তাল

রাগঃ টোড়ি

তালঃ বৈতালিক

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

কোন্ কুসুমে তোমায় আমি পূজিব নাথ বল বল।
তোমার পূজার কুসুম-ডালা সাজায় নিতি বনতল।।
	কোটি তপন চন্দ্র তারা
	খোঁজে যা’রে তন্দ্রাহারা,
খুঁজি তা’রে ল’য়ে আমার, ক্ষীণ এ-নয়ন ছলছল।।
	বিশ্ব-ভুবন দেউল যাহার
	কোথায় রচি মন্দির তাঁর,
লও চরণে ব্যথায়-রাঙা আমার হৃদয়-শতদল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

বাণী

অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া।
বহ্নি-রাগে দিগন্ত গেল রে রাঙিয়া॥
রুদ্র রোষে কি শঙ্কর উর্ধ্বের পানে
লক্ষ-ফণা ভুজঙ্গ-বিদ্যুৎ হানে
দীপ্ত তেজে অনন্ত-নাগের ঘুম ভাঙিয়া॥
লঙ্কা-দাহন হোমাগ্নি সাগ্নিক মন্ত্র
যজ্ঞ-ধূম বেদ-ওঙ্কার ছাইল অনন্ত।
খড়গ-পাণি শ্রীচন্ডী অরাজক মহীতে
দৈত্য নিশুম্ভ-শুম্ভে এলো বুঝি দহিতে,
বিশ্ব কাঁদে প্রেম-ভিক্ষু আনন্দ মাগিয়া॥

রাগ ও তাল

রাগঃ লঙ্কাদহন সারং

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্।
ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।।
পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি,
এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্‌-দামি।
নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে,
বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে।
তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ
সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ —
				ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ।
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্‌ সব রাম-ছাগল!
যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

মা-মা-মা-মা-মা-মাগো
এবারের পূজা মাগো দশভূজা বড় দুর্গতিময়।
পড়েছিস এ.বি.সি.ডি? বুঝিস ব্ল্যাক আউট কারে কয়?
ব্ল্যাক আউট মানে যত কালো ছিল বাহির হয়েছে মাগো
যত আলো ছিল যত ভালো ছিল, সকলেরে বলে ভাগো।
ডাইনে বাঁ ধারে ভীষণ আঁধারে হাঁটু কাঁপে আর হাঁটি
আমড়ার মত হয়ে আছি মাগো চামড়া এবং আঁটি।
নন্দী ভৃঙ্গী সিঙ্গি যাইলে তাহারাও ভয় পাবে
তাদের দিব্য দৃষ্টি লয়েও মাগো আঁধারে হোঁচট খাবে।
বলি বিগ্রহ তোর কে দেখিতে যাবে মা কুগ্রহের ফেরে
বিড়ি খেয়ে ফেরে গুন্ডারা যদি দেয় মাগো ভুঁড়ি ফেড়ে।
মা তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেরা এসে
ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে।
চোঁয়া ঢেকুর ওঠে মা মেকুর ডাকিলে কেঁদে উঠি ওঙা ওঙা;
ঢেঁকির আওয়াজ শুনলে মাগো ভয়ে খাড়া হয়ে ওঠে রোঁয়া।
সত্য পথে মা চলিতে পারি না পথে কাদা রাখে ফেলে
উচিত কথা মাগো বলিতে পারি না চিৎ করে দেয় ফেলে।
এ চিতে শক্তি দে মা চিৎ করবো ভয়কে
বলবো এবার তোরে খাব দে মা মাগো মা।।

নাট্য-গ্রন্থঃ ‘ব্লাক আউট’
ব্ল্যাক আউট নাট্যগ্রন্থের এই পাঠকে, আদি রেকর্ডের (এন. ২৭২০৬) পাঠের তুলনায়, স্বতন্ত্র গান হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
[অগ্রন্থিত নজরুল, সংকলন ও সম্পাদনাঃ ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, ডি.এম. লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০০৩]

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা