বাণী
জয় জয় মা গঙ্গা পতিত পাবনী ভাগীরথী। হর-শির-বিহারিণী সুরেশ্বরী অগতির গতি।। মৃতু সাগরের দেশে প্রাণদাত্রী তুমি তোমার পুণ্যে হল তীর্থ ভারতভূমি, পাপ-নিবারিণী কলুষ-হারিণী ত্রিলোকতারিণী মাগো লহ প্রণতি।।
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
চিকন কালো ভুরুর তলে কাজল আঁখি দোলে রে যেন বন-লতার কোলে কোয়েল পাখি দোলে রে।। যেন ফুল-ধনুর উজল তীর গো হায় বাদশাজাদীর রঙ মহলে যেন নীলার প্রদীপ জ্বলে দোলে রে দোলে রেদেোলে রে।। সজল শিশির মাখা দু'টি কুসুম গো সুনীল দু'টি কমল -কুড়িঁ যেন রূপের সাঁতার -জলে দোলে রে দোলে রে দোলে রে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ, নবযুগ ঐ এলো ঐ এলো ঐ রক্ত যুগান্তর রে। বল জয় সত্যের জয় আসে ভৈরব বরাভয়, শোন অভয় ঐ রথ-ঘর্ঘর রে।। রে বধির! শোন পেতে কান ওঠে ঐ কোন মহাগান, হাঁকছে বিষাণ ডাকছে ভগবান রে। জগতে জাগলো সাড়া জেগে ওঠ উঠে দাঁড়া, ভাঙ্ পাহারা মায়ার কারা-ঘর রে। যা আছে যাক্ না চুলায় নেমে পড় পথের ধূলায়, নিশান দুলায় ঐ প্রলয়ের ঝড় রে।। সে ঝড়ের ঝাপটা লেগে ভীম আবেগে উঠনু জেগে পাষাণ ভেঙে প্রাণ-ঝরা নির্ঝর রে। ভুলেছি পর ও আপন ছিঁড়েছি ঘরের বাঁধন, স্বদেশ স্বজন স্বদেশ মোদের ঘর রে। যারা ভাই বদ্ধ কুয়ায় খেয়ে মার জীবন গোঁয়ায় তাদের শোনাই প্রাণ-জাগা মন্তর রে।। ঝড়ের ঝাঁটার ঝাণ্ডা নেড়ে মাভৈঃ বানীর ডঙ্কা মেরে শঙ্কা ছেড়ে হাঁক প্রলয়ঙ্কর রে। তোদের ঐ চরণ-চাপে যেন ভাই মরণ কাঁপে মিথ্যা পাপের কণ্ঠ চেপে ধর্ রে। শোনা তোর বুক-ভরা গান জাগা তোর দেশ-জোড়া প্রাণ, দে বলিদান প্রাণ ও আত্মপর রে।। মোরা ভাই বাউল চারণ মানি না শাসন বারণ, জীবন মরণ মোদের অনুচর রে। দেখে ঐ ভয়ের ফাঁসি হাসি জোর জয়ের হাসি, অ-বিনাশী নাইকো মোদের ডর রে, গেয়ে যাই গান গেয়ে যাই মরা প্রাণ উট্কে দেখাই, ছাই-চাপা ভাই অগ্নি ভয়ঙ্কর রে।। খুঁড়ব কবর তুড়ব শ্মশান মড়ার হাড়ে নাচাব প্রাণ, আনব বিধান নিদান কালের বর রে শুধু এই ভরসা রাখিস মরিস্নি ভির্মি গেছিস ঐ শুনেছিস ভারত বিধির স্বর রে। ধর্ হাত ওঠ্ রে আবার দুর্যোগের রাত্রি কাবার, ঐ হাসে মা'র মূর্তি মনোহর রে।।
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা
বসন্ত এলো এলো এলো রে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে। মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুনগুন গানে।। পিয়া পিয়া ডেকে ওঠে পাপিয়া মহুল, পলাশ বন-ব্যাপিয়া সুরভিত সমীরণ চঞ্চল উন্মন আনে নব-যৌবন প্রাণে।। বেণুকার বনে বাঁশি বাজে বনমালী এলো বন-মাঝে নাচে তরু-লতিকা যেন গোপ-গোপিকা রাঙা হয়ে রঙের বানে।।
রাগঃ পঞ্চম
তালঃ ত্রিতাল
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে। মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।। এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।। আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে, সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে। হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে, এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।
রাগঃ মাঢ়-খাম্বাজ মিশ্র
তালঃ দাদ্রা
১.
২.
কেন আন ফুল-ডোর আজি বিদয়-বেলা, মোছ মোছ আঁখি-লোর যদি ভাঙিল মেলা॥ কেন মেঘের স্বপন আন মরুর চোখে, ভু’লে দিয়ো না কুসুম যারে দিয়েছ হেলা॥ যবে শুকাল কানন এলে বিধুর পাখি, ল’য়ে কাঁটা-ভরা প্রাণ এ কি নিঠুর খেলা। যদি আকাশ-কুসুম পেলি চকিতে কবি, চল চল মুসাফির, ডাকে পারের ভেলা॥
রাগঃ ভীমপলশ্রী মিশ্র
তালঃ আদ্ধা-কাওয়ালি