বাণী
হে নট-ভৈরবী আশাবরি। ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।। চেয়ে আছ জলভরা নয়নে, তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।। পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায় প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়, গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ — মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।
রাগ ও তাল
রাগঃ আশাবরী
তালঃ ত্রিতাল
হে নট-ভৈরবী আশাবরি। ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।। চেয়ে আছ জলভরা নয়নে, তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।। পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায় প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়, গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ — মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।
রাগঃ আশাবরী
তালঃ ত্রিতাল
চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি। আমি মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।। তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে, তুই তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি। দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে, শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে। চোর হয়ে মা আর কত দিন ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন, তোর অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা

বিরহী বেণুকা যেন বাজে সখি ছায়ানটে। উথলি’ উঠিল বারি শীর্ণা যমুনাতটে।। নীরব কুঞ্জে কুহু গেয়ে ওঠে মুহু মুহু, আঁধার মধু বনে বকুল চম্পা ফোটে।। সহসা সরস হল বিরস বৃন্দাবন, চন্দ্রা যামিনী হাসে খুলি মেঘ-গুণ্ঠন। সে এলো, তারে নিরখি’ পরান কি রবে সখি, আবেশে অঙ্গ মম থরথর কেঁপে ওঠে।।
রাগঃ ছায়ানট
তালঃ ত্রিতাল
কুহু কুহু কুহু ব’লে মহুয়া-বনে। মাধবী চাঁদ এলে পূব-গগনে।। দুলে ওঠে বনান্ত আসিলে কে পান্থ, তব পদধ্বনি অশান্ত — হে শুনি মম মনে।। বাতায়নে প্রদীপ জ্বালি’ আসা-পথ চাহি’, প্রহর গণি, গান গাহি’। এলে আজি নিশীথে দেখা দিতে তৃষিতে, শুনি দশ-দিশিতে — বাঁশি তব ক্ষণে ক্ষণে।।
রাগঃ
তালঃ
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো, বাটা ভ’রে পান দেবো গাল ভ’রে খেয়ো। ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। ঘুম আয় রে, দুষ্টু খোকায় ছুঁয়ে যা চোখের পাতা লজ্জাবতী লতার মত নুয়ে যা, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। মেঘের মশারিতে রাতের চাঁদ পড়ল ঘুমিয়ে, খোকার চোখের পাপড়ি পড়ুক ঘুমে ঝিমিয়ে। শুশুনি শাক খাওয়াব, ঘুম পাড়ানি আয় ঝিঁঝিঁ পোকার নূপুর খোল, খোকা ঘুম যায়, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা

ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে। বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো ঢেউ ওঠাতো ঝর্ণা জলে পাহাড়তলিতে।। তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে, বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে।। আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল, সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল। আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না, রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না — আমি রইতে নারি না হেরে সেই বন উদাসী কে গো।।
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা
