বাণী

নিত্যানন্দ	:	কানাই রে কই তোর চূড়া বাঁশরি!
			তুই নাকি সেই নন্দদুলাল এলি নদীয়ায় ব্রজ পাশরি’।।
নিমাই		:	কি পুছসি আমারে ভাই
			এবার চূড়া বাঁশরি নাই,
			ব্রজের খেলা বাঁশির তান
			ন’দের খেলা হরি-গান।
			ব্রজের বেশ ধড়াচূড়া
			ন’দের বেশ কৌপীন পরা,	
			ব্রজের খেলা রাখাল হয়ে,
			ন’দের খেলা ধূলি ল’য়ে।
নিত্যানন্দ	:	নদীয়াতে বিষ্ণুপ্রিয়া, ব্রজের রাইকিশোরী।।

নাটক : ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ (নিত্যানন্দ ও নিমাইয়ের গান)

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

আমার সুরের ঝর্না-ধারায় করবে তুমি স্নান।
ওগো বধূ! কণ্ঠে আমার তাই ঝরে এই গান।।
	কেশে তোমার পর্‌বে বালা
	তাই গাঁথি এই গানের মালা,
তোমার টানে ভাব-যমুনায় বহিছে উজান।।
আমার সুরের ইন্দ্রাণী গো, উঠ্‌বে তুমি ব’লে,
নিত্য বাণীর সিন্ধুতে মোর মন্থন তাই চলে।
	সিংহাসনের সুর-সভাতে
	বসবে রানীর মহিমাতে,
সৃজন করি’ সেই গরবে সুরের পরীস্থান।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

ব্রজে আবার আসবে ফিরে আমার ননী-চোরা
	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
স্বভাব যে ওর লুকিয়ে থেকে কাঁদিয়ে পাগল করা —
	আর কাঁদিস্‌নে গো তোরা।
	আমি যে তার মা যশোদা
	সে আমারেই কাঁদায় সদা,
যেই কাঁদি সে যায় যে ভুলে বনে বনে ঘোরা॥
মথুরাতে আমার গোপাল রাজা হ’ল নাকি,
যেখানে যায়, সে রাজা হয় (তোরে) ভুল দেখেনি আঁখি।
	সে রাজা যদি হয়েই থাকে
	তাই ব’লে কি ভুলবে মাকে,
আমি হব রাজ-মাতা, তাই ওর রাজবেশ পরা॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

রাগ ও তাল

রাগঃ গারা

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

বাজে মঞ্জুল মঞ্জির রিনিকি ঝিনি
নীর ভরণে চলে রাধা বিনোদিনী
তার চঞ্চল নয়ন টলে টলমল
যেন দু'টি ঝিনুকে ভরা সাগর জল।।
ও সে আঁখি না পাখি গো
রাই ইতি-উতি চায়
কভু তমাল-বনে কভু কদম-তলায়।
রাই শত ছলে ধীরে পথ চলে কভু কন্টক বেঁধে চরণে
তবু যে কাঁটা-লতায় আঁচল জড়ায় বেণী খুলে যায় অকারণে।
গিয়ে যমুনার তীরে চায় ফিরে ফিরে আনমনে ব'সে গণে ঢেউ
চকিতে কলসি ভরি’লয় তার যেই মনে হয় আসে কেউ।
হায় হায় কেউ আসে না
“ভোলো অভিমান রাধারানী” বলি’ শ্যাম এসে সম্ভাষে না।
রাই চলিতে পারে না পথ আর,
বিরস বদন অলস চরণ শূন্য-কলসি লাগে ভার।
বলি,কালা নাহি এলো যমুনা তো ছিল লইয়া শীতল কালো জল।
কেন ডুবিয়া সে-কলে উঠিলি আবার কাঁদায়ে ভাসাতে ধরাতল।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা (দাদ্‌রা ও কাহার্‌বা)

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা]
		দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
		এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥
		ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা
		আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥
		উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ
		ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ
		শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি
		গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥
(আর)		ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে
		কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে।
		পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে
(ওগো)	কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি।
		গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ
		ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প।
		সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে
		দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি
		হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি
		এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে
		ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে
		হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ ফের্‌তা