হাসির গান

  • আজকে হোরি ও নাগরী

    বাণী

    [শোন গিন্নী শুন্‌ছ —]
    আজকে হোরি ও নাগরী, ওগো গিন্নী ও ললিতে।
    ফাগের রাঙা জল ভ’রে দাও, ফর্‌সি হুঁকোর পিচ্‌কিরিতে॥
    গাজর বিট আর লাল বেগুনে, রাঁধবে শালগম তেলে নুনে,
    রাঙা দেখে লঙ্কা দিও, লাল নটে আর ফুলকারিতে॥
    গাইব গান দোল পূর্ণিমাতে, মালোয়ারী জ্বর আসলে রাতে,
    তুমি দোহার ধ’রবে সাথে, গিঁটে বাতের গিঁটকিরিতে॥
    (আর) আমি লাল গামছা প’রে যাবো, লাল বাজারে পায়চারিতে,
    তুমি যাবে চিড়িয়াখানায়, এই মুখেতে গন্ডার মারিতে॥
    (না হয়) তুমি যাও বাপের বাড়ি, পাছুপাছু যাবো আমি ওগো শ্বশুর বাড়িতে
    পাছু পাছু যাবো তোমার, না হয় শ্বশুর বাড়িতে॥
    
  • আজ্‌কা হইবো মোর বিয়া কাল্‌কা আইমু বউ লইয়া

    বাণী

    আজ্‌কা হইবো মোর বিয়া কাল্‌কা আইমু বউ লইয়া,
    থাইগ্‌বা তোমরা ফ্যাল-ফ্যালাইয়া বুঝ্‌ল্যা গোপ্‌লা মুকুন্দ্যা।।
    তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
    হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
    [আরে ও পরামানিকের পো, ক্ষুরবার লইয়া যাইতাছো কই?
    আমারে বর কামান কামাইয়া দিয়া যাওছ্যান!
    আইজগ্যা যে আমার বিয়া হইবো! [হ আরে আহো! আহো]
    তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
    হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
    [হউর হাউরী পাইমু কাল্‌, হুমুন্দী, আর হালার পাল
    কইবো মোরে, হুনত্যাছ? ও-জামাই, কড়াকড়ির কী কাম আছে,
    আর দুইডা দিন থাইক্যা যাও না ক্যা? অ্যা!]
    আরে আমি উঠ্‌মু কি গাছত্ গিয়া, উৎকা মাইর্যা  ফাল দিয়া,
    ভাইরে, হালার পরান ডা, (ভাইরে) নাইচ্যা উঠ্‌ছে এ্যাহন্ থ্যা।
    তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
    হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
    [আরে ও মুখুজ্যা ভাই, মুখুজ্যা ভাই, আরে যাও কই, হুইনা যাও।
    হুইনা যাও। হক্‌কল দিনই তো বলদ লইয়া মাঠে চরাইবার যাও।
    আজকা আমারে লইয়া মাইয়ার বাড়ি যাওন লাগ্‌বো,
    খাওন-দাওন আছে খাওন-দাওন আছে! ঠইগ্‌বা না, ঠইগ্‌বা না!]
    তাইরে নাইরে নাইরে না, রইমু ঘরে বাইরে না
    হকাল হইন্ধ্যা দুপইত্‌ত্যা চইল্যা যাইবো কোহান্ দ্যা।।
    [খাইমু কি কি আরে হুনছ — গোপ্‌লা, ও মুকুন্দ্যা!
    আরে, মুকুন্দ্যা ঐ খানে যাইয়া খারাইয়া আছত্ কিল্ল্যাইগ্যা? আহো, হুনো!
    মাংস খাইমু, লুচি খাইমু, পাত্‌ক্ষীর খাইমু, আর দইও খাইমু। আর তোমরা
    অভাগ্যা, অভাগ্যার পাল! তোমরা তো খাইবা না, তোমরা চাইটবা! চুকা কাসুন্দ্যা চাইটবা।]
    ফুচ্‌কি দিয়া তোমরা চোর, দেখ্‌বার চাইবা বউরে মোর,
    রাখুম তারে লুকাইয়া, হোগলার বস্তা চাপুনদ্যা।।
    তাইরে নাইরে নাইরে তাই, বউরে ছাইর্যা  যাইরে ভাই
    থাক্‌তে পরান অসুম্ না, (ভাই) পইচ্যা হইমু ফাপুন্দ্যা।।
    [আরে গোরা-চাঁন যে, অকালের গাড়িতে আইল্যা বুঝি?
    তোমরা দুই ভাইয়েই তো কোলকাতায় আষ্ট বছর কাল
    ঘরজামাই হইয়া আছো। বউর লগে ভাব ক্যামুন। চালতাছে ক্যামন? অ্যা?]
    
  • আমার বিছানা আছে বালিস আছে

    বাণী

    শ্যালিকা: জামাইবাবু, বলি ও জামাইবাবু ।
    জামাইবাবু: কে? ও, আমার বিরহতুত শালী বুঝি?
    শ্যালিকা: আহা হা, দিদির বিরহে তোমার চাঁদ মুখ যে অমাবস্যার চাঁদের মত হয়ে উঠেছে । তা, তার বিরহের
    একটা গান শোনাও?
    জামাইবাবু: হ্যাঁ, তা মন্দ বলিস নি ভাই, তা মন্দ বলিস নি। তোর মারফতে যদি আমার দুষ্কের কথা তার কাছে
    গিয়ে পৌঁচয় । শোন্‌ ভাই, শোন্‌।
    আমার বিছানা আছে বালিস আছে বৌ নাই মোর খাটে
    (ওগো) তার বিরহে বারোটা মাস কেমন ক'রে কাটে ও দাদা গো।।
    আ, হাহাহা, বিরহে, বিরহে খাট আমার আধখানা হয়ে গেছে
    বৈশাখ মাস, বৈশাখে প্রাণ ভ'য়সা যেন ধুকে রোদের তাতে (বাবু গো)
    হাত-পাখা আর নড়ে না ভাই রাতে পিয়ার হাতে
    জৈষ্ঠি মাস, জৈষ্ঠি মাসের গরমে হিয়ার গুষ্ঠি শুদ্ধু ফাটে ও দাদা গো।।
    আষাঢ় মাস, আষাঢ় মাসে কট্‌কটে ব্যাঙ ছট্‌ফটিয়ে কাঁদে, উহুহুহুহুহু — বাবা রেএএএ
    ওগো চুলকানি যে উঠলো বেড়ে প্রেমের মইষা দাদে
    শ্রাবণ মাস, শ্রাবণ মাসে রাবুণে প্রেম জাগে জলের ছাটে, ও দাদা গো।।
    ভাদ্র মাস, ভাদ্র মাসে আপনার বৌ হলো ভাদ্র বধূ (বাবু গো)
    আশ্বিন মাসে চাখলাম না হায় পূজার মজার মধু
    আমার পরাণ লাফায় পাঁঠা যেমন দাপায় হাঁড়িকাঠে ও দাদা গো।।
    শ্যালিকা: তারপর কি?
    জামাইবাবু: তারপর? তারপর আর নেই!
    শ্যালিকা: বা-রে! এই তো মাত্র ভাদ্র-আশ্বিন হলো। আর ছ'মাস যে বাকি রইলো।
    জামাইবাবু: না-রে ভাই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই।
    শ্যালিকা: বলবে না? বলবে না তো? আহা ভাল লাগলো কিনা, তাই এতো খোসামুদি করছি। না গাইবে তো
    যাও, তোমার সঙ্গে আর আমি কখখনো...
    জামাইবাবু : ওরে ওরে ওরে ওরে, শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌, ও ভাবে যাস্‌ নি, যাস্‌ নি। ওরে তুই রাগ করিস নে
    রে ভাই, তুই রাগ করিস নে। দ্যাখ, এই বার মাস বিরহে বিরহে আমার কাটছে। ওরে তুই আমার
    একমাত্র শান্ত্বনা। তুই যদি রাগ করে চলে যাস তাহলে আমার অবস্থাটা কি হবে একবার বোঝ্‌।
    আচ্ছা, গাইছি শোন্‌।
    কার্তিক মাস, হ্যাঁ? কার্তিকে মোর ময়ূরী এই কার্তিককে ফেলে (ওরে)
    ও তার দাদার ঘরের রাধা হয়ে বেড়ায় পেখম মেলে
    শ্যালিকা: যাঃ, ভারি দুষ্টু!
    জামাইবাবু: না, না, সত্যি, সত্যি, সত্যি, শোন্‌ না, শোন্‌ না।
    অঘ্রাণ, অঘ্রাণে ধান কাটে চাষা আমার কেঁদে কাটে ও দাদা গো।।
    পৌষ মাস, পৌষে আমার বৌ সে কোথায় গুড়ের পিঠা খায় (বাবু গো)
    আর হেথায় আমার জিহ্বা দিয়া নাল ঝরিয়া যায়
    মাঘ মাস, ওরে মাঘ মাসে যার মাগ নাই সে যাক না শ্মশান ঘাটে ও বাবু গো।।
    ফাল্গুন মাস, ফাল্গুনে ছাই ডাল-নুনে কি মেটে প্রেমের খিদে
    হাতের কাছে কাকে খুঁজি রাতের বেলায় নিদে (আমি)
    চৈত্র মাস, চৈত্র মাসে মধু খুঁজি হায়রে কদুর বাটে।।
    
  • আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন

    বাণী

    আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, দমকল ডাক ওলো সই।
    শিগ্‌গির ফোন কর বঁধুরে, নইলে পুড়ে ভস্ম হই॥
    	অনুরাগ দিশ্‌লাই নিয়ে
    	চোখের লম্প জ্বালতে গিয়ে,
    আমার প্রাণের খোড়ো ঘরে লাগল আগুন ওই লো ওই॥
    	প্রেমের কেরোসিন যে এত
    	অল্পে জ্বলে জানিনে তো,
    কি দাবানল জ্বলছে বুকে জানবে না কেউ আমা বই॥
    	প্রণয় প্রীতির তোষক গদি
    	রক্ষে করতে চায় সে যদি
    মনে ক’রে আনতে বলিস (তারে) আদর সোহাগ বালতি মই॥
    
  • আমি মূলতানী গাই

    বাণী

    	আমি মূলতানী গাই
    শ্রোতারা বাছুর সম মুখপানে চেয়ে মম
    	ঘন ঘন তোলে হাই।।
    জাপটে সুরের দাড়ি
    শ্বশুরের দাড়ি, ভাসুরের দাড়ি
    	সাপটে তান মারি-আ-আ-আ
    	জাপটে সুরের দাড়ি
    পমকে ধমক দেই, মীরে মাড় চটকাই।।
    হায় হায় রে হায়-
    বোলতানে আবোল-তাবোল তানে খেলি হা-ডু-ডু
    কিত-কিত - হা-ডু-ডু- হা-ডু-ডু-কিত-কিত-কিত-কিত-কিত
    	মোড়-মোড়-মোড়
    আমি	বাটের চাট মেরে সুরে করি চিত
    আমি	তালের সিঙ দিয়ে বেদম গুতাই।।
    মোর	মুখের হা দেখে হিপোপটেমাস
    	আফ্রিকার জঙ্গলে ভয়ে করে বাস
    আমি	যত নাহি গাই তার অধিক রাগাই।।
    
  • আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার

    বাণী

    ঘোড়া-পূজার মন্ত্র : 
    ওঁ নমস্তে শ্রী বিলাতী অশ্ব সাহেব হর্স নমোহ নমঃ।
    চতুষ্পদ একপুচ্ছ শৃঙ্গহীন জীব আদর্শ —
    			সাহেব হর্স নমো নমঃ।।
    অ্যাই, আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার ঘোড়া ছুইট্যা যাও।
    ক্যাৎরাইয়া দুই চক্ষুরে ঘোড়া ছ্যাৎরাইয়া চাইর পাও।।
    স্বর্গপানে ল্যাজ উঠাইয়া, (ছোট) চিঁহি চুঁহু চিঁহি চুঁহু ডাইক্যা
    আমরা দুজন রাত্র জাগুম ছোলা ভিজাইয়া রাইখ্যা (রে)
    ফাস্‌টো যদি না হও ঘোড়া, (তোমার) ঘোড়ানীর মাথা খাও
    					হালা কচ্‌মচাইয়া খাও।।
    		তোমার ঘোড়ানীর মাথা কচ্‌মচাইয়া খাও।।
    

    নাটিকা : ‘বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা’

  • উচ্ছে নহে ঝিঙে নহে নহে সে পটল

    বাণী

    		উচ্ছে নহে, ঝিঙে নহে, নহে সে পটল ব্রজের আলু
    		পিয়া হতে জনম তাই পি’য়াজ সুডোল ব্রজের আলু।।
    		রসঘন রসুনের সে গন্ধতুত দাদা, ও দাদা
    		রস কিছু কম হলে হতো আম আদা, ও দাদা
    সে		আরো খানিক ডাগর হলে ঐ হতো ওল, ব্রজের আলু।।
    		পরম বৈষ্ণব সে যে ফল-দল মাঝে — ও দাদা
    		হের তার শিরে চৈতন-চুট্‌কী বিরাজে — ও দাদা
    আবার	মাথাটি বাবাজীর মতো চাঁচাছোলা গোল
    তার		মাথাটি বাবাজীর মতো চাঁচা ছোলা গোল, ব্রজের আলু।।
    কাঁদে		ছল ক’রে সব বিরহিণী ইহাকে থ্যাত্‌লাতে — ও দাদা
    		চক্ষু বুজে পন্ডিতে খান, বলেন ‘আলুভাতে’ — ও দাদা
    ওরে		পাতে তুলেছি তুলব জাতে ব’দলে এবার ভোল, ব্রজের আলু।।
    
  • ও গিন্নী বদন তোল

    বাণী

    ও গিন্নী বদন তোল একটু হানো নয়না।
    আমি জুয়েলারীর দোকান হব গায়ে হব গয়না।।
    (তোমার) সিঁথের হব সিঁথিপাটি কেশে হেয়ার পিন
    চিরুনি হয়ে খোপায় বিঁধে রইব চিরদিন।
    টায়রা ঝাপটা লেসপিন তাহলে মন্দ হয় না।।
    টানা টিকলি কাঁটা হব ফুলের নয় গো চুলের
    টাপ মাকড়ি দুল হব গো একটু বেশি ঝুলের।
    কানের উপর কান হব গো নাকছাবি ঐ নাকের,
    কাঁচ পোকা আর খয়েরি টিপ হব ভুরূর ফাঁকে,
    নোলক বেসর তাও হব যা আজকাল লোক ছোঁয় না।।
    গলার হব হার নেকলেস গজমতির মালা,
    হাতে হব বাজু বন্দ, পৈঁচী চুড়ি বালা।
    তাগা, কেয়ুর, রুলি, শাঁখা, জসম, আংটি, খাড়ু
    তাবিজ হব নোয়া হব অনন্ত সূচারু।
    ভুলে গেছি — নথ নৈলে গিন্নীর মান রয় না।।
    নূপুর তোড়া হ্যাদে দেখো ভুলেই দেছি দেখি
    ঝুমকো ঢেঁড়ি চিকের কথা মাদুলাও বাকি,
    জাল পাটরি কি হই আর কী ফেলে রাখি
    বাদ কি গেল দাও লিস্টি মুখ ভার আর সয় না।।
    

    ‘গিন্নীর কাছে গয়নার ফর্দ’

  • ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে

    বাণী

    	ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
    (ওসে)	কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।।
    		দিন রাত্তির অঙ্ক কষে
    		পান্ হতে চুন কখন্ খসে,
    	স্ত্রী ব’লে আন্‌নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।।
    	প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্‌তি বেণীর গুল্‌তি ঢিলে’
    	মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে।
    		যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই
    		তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই
    	ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্‌ল গিলে।।
    
  • ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই

    বাণী

    ওগো	দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই (গদাইচন্দ্র) বিবাহ না করে,
    	কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই ধ’রে॥
    	আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে উড়ত
    	হাল্‌কা দু’খান পা দিয়ে সে (গদাই) নাচ্‌ত, কুঁদ্‌ত ছুঁড়ত॥
    ওগো	বিয়ে করে গদাই
    	দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে সদাই।
    তার	এ্যাডিশনাল দু’খানা ঠ্যাং বেড়ায় পিছে ন’ড়ে॥
    	গদাই-এর পা দু’খানা মোটা, আর তার বৌ-এর পা দু’খানা সরু,
    	ছোট বড় চারখানা ঠ্যাং ঠিক যেন ক্যাঙারু
    গদাই	(দেখতে) ঠিক যেন ক্যাঙ্গারু।
    	আপিসে পদ বৃদ্ধি হয় না (গদাইচন্দ্রের), কিন্তু ঘরে ফি-বছরে,
    	পা বেড়ে যায় গড়পড়তায় দু’চারখান ক’রে।
    তার	বৌ শোনে না মানা —
    তিনি	হন্যে হয়ে কন্যে আনেন মা, ষষ্টির ছানা
    	মানুষ থেকে চার পেয়ে জীব, শেষ ছ’পেয়ে মাছি,
    	তারপর আটপেয়ে পিঁপড়ে, বাবা গদাই বলে, একেবারে গেছি
    	আর বলে, ও বাবা বিয়ে করে মানুষ এই কেলেঙ্কারীর তরে (বাবা)॥
    
  • ওরে আমার চটি আমার ঠনঠনিয়ার চটি

    বাণী

    		ওরে আমার চটি
    		আমার ঠনঠনিয়ার চটি
    		যাত্রা শুনতে কাহার সাথে গেলি তুই পালটি।।
    মোর		শ্রীচরণ ভরসা গেলি কাহার পায়ে গ'লে
    তুই		দু'বছর পায়ে ছিলি তোরে জানতাম সতী ব'লে
    তুই		কাহার গোদা চরণ দেখে গেলি শেষে পটি'।
    তোরে		নিয়ে গেছেন যিনি তার চটিখানি ফেলে
    		এ চটি তো নয় রামচটিতং আছেন বদন মেলে'
    				সদা আছেন বদন মেলে',
    যেন		অষ্টাবক্র বেঁকে হয়ে গিয়েছেন ঠিক আঁশবঁটি
    				বেঁকে হয়েছেন আঁশবঁটি।।
    		চটি কেন তোরে রাখিনিকো বগল-দাবা ক'রে
    বুঝি		এতক্ষণ সে ফাটিয়ে তোরে ফেলেছে পা' ভ'রে
    		শেষে আস্তাকুড়েঁ দেছে ফেলে সে যে হয়তো চটিমটি'।।
    আমি		ভাবি, এ তার পায়ের জুতো না তার গায়ের  নিমা
    		আমারচটির পাশে ইনি ঠিক যেন দিদি মা
    ওরে		চটি রে তোর দিদি হলেও চলতো মোটামুটি
    তুই		চটপটিয়ে আয় চ'লে নয় সত্যি যা'ব চটি'।।
    
  • ওরে ভবের তাঁতি

    বাণী

    ওরে ভবের তাঁতি! হরিনামের এঁড়ে গরু কিনিস্‌নে।
    তুই মূলে শেষে হাবাত্ হবি ঠাকুরকে তুই চিনিস্‌নে।
    		রসিক ঠাকুরকে তুই চিনিস্‌নে।।
    তুই খাচ্ছিস্ বেশ ভবের তাঁত বু’নে
    চালিয়ে মাকু, ঘুরিয়ে টাকু, তাঁতের গান শু’নে
    (ও তুই) সুখে খাবি আয়েশ পাবি
    ঐ গরু কেনার টাকাতে তুই জরু আনার জিনিসনে।।
    পরমার্থের কিনলে এঁড়ে, অর্থ যাবে ছেড়ে
    তোর ঘাড়েরই লাঙল তোকে শেষে আসবে তেড়ে!
    কুল যাবে তোর, যাবে জাতি মান
    (এই গো-কুলের এঁড়ে এনে) যাবে জাতি মান,
    দুঃখ অভাব শোক এসে তোর ধরবে রে দুই কান
    শেষে কি কান খোয়াবি কানা হবি ভ’জে কানাই শ্রীকৃষ্ণে।।
    
  • ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে

    বাণী

    ওরে		হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্‌নে হেঁসেল্।
    তুই		কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্‌নে রাস্কেল্।।
    আমি		স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি,
    		গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।।
    		ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস,
    		নাদ্‌নার বাড়ি খেয়ে কোন্‌দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্‌,
    কেঁদে		মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।।
    		তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্,
    শুনে		ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্,
    তোরে	বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।।
    		বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও,
    		বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও,
    তুই		উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।
    
  • ওহে রসিক রসাল কদলী

    বাণী

    ওহে রসিক রসাল কদলী।
    ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।।
    আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান
    বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান।
    বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।।
    তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত,
    ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত।
    নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর
    তোমার কৃপার কাঙালি।।
    

    কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’

  • গিন্নির চেয়ে শালী ভালো

    বাণী

    গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসোর চেয়ে মামা।
    আর ডাইনের চেয়ে ডুগি ভালো অর্থাৎ কিনা বামা।।
    একশালা সে দোশালা আচ্ছা, চন্ডুর চেয়ে গাঁজা,
    আর হাতের চেয়ে ভালো, তেনার হাতদিয়ে পান সাজা,
    আর ধাক্কার চেয়ে গুঁতো ভালো, উকোর চেয়ে ঝামা।।
    টিকির চেয়ে বেণী ভালো, ধূতির চেয়ে শাড়ি,
    আর পাঠার চেয়ে মুরগি ভালো, থানার চেয়ে ফাঁড়ি
    ঠুঁটোর চেয়ে নুলো ভালো, প্যান্ট চেয়ে পায়জামা।।
    আর পেয়াদার চেয়ে যম ভালোরে (ভাই), শালের চেয়ে বাঁশ,
    আর দাঁড়ির চেয়ে গোফ্ ভলো ভাই আঁটির চেয়ে শাঁস,
    আর ছেলের চেয়ে ছালা ভালো (ওগো), ঝুড়ির চেয়ে ধামা।।
    পাকার চেয়ে কাঁচা ভালো, কালোর চেয়ে ফরসা
    আর পেত্‌নীর চেয়ে ভূত ভালো ভাই, ছাড়বার থাকে ভরসা,
    আর ঝগ্‌ড়ার চেয়ে কুস্‌তি ভালো, কাল্লুর চেয়ে গামা।।
    
  • গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা

    বাণী

    গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা, প্রসীদ! কর ক্ষমা! দেবী নমস্তে।
    শতমুখীধারিণী ভীমহুঙ্কারিণী যেন গন্ডারিনী দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে।দেবী নমস্তে।।
    চীৎকারে মাঝ রাতে পড়শীরা জেগে যায়
    তক্তাপোষের নীচে ছেলে পিলে ভেগে যায়
    পদভরে দুদ্দাড় ভেঙ্গে পড়ে ঘর দ্বার
    চেড়ীদের সর্দার হাতা-বেড়ী-হস্তে।দেবী নমস্তে।।
    শান্ত শিষ্ট এই গোবেচারা স্বামী
    তোমার পুলিশ কোর্টে চিরকাল আসামী
    তেড়ে আসে বীরজায়া তুমি কুঁদো মোটকা।
    বেগতিক দেখে ছুটি আমি রোগা পট্‌কা।
    কাঁছাকোঁচা বেসামাল ব্যস্তে সমস্তে।দেবী নমস্তে।।
    তুমি পূর্বজন্মে ছিলে ভোজপুরি দারোয়ান
    আমি বলীবর্দ তুমি ছিলে গাড়োয়ান;
    ময়দা ছিলাম আমি তুমি নিয়ে ঠাসতে।
    আহা হা টুটি কেন টিপে ধর? আস্তে, শ্বস্তে।দেবী নমস্তে।।
    
  • টারালা টারালা টারালা টা টারালা

    বাণী

    	টারালা টারালা টারালা টা টারালা টারালোল্লা
    নাচে	শুটকী শুকনো সাহেবকে ধ'রে মুটকি মিস আরসোল্লা।
    		হা-হা- হা-হা- হা।।
    	খুরওয়ালা জুতা পরে খটখট ঠেংরী নাড়ে
    	চাবুক খেয়ে জোড়া ঘোড়ায় যেন পেছলি ঝাড়ে!
    দেখে	পাদ্রি, পুরুত, মোল্লা বাবাজী কাছা খোল্লা।
    		আর বাবাজী কাছা খোল্লা।।
    দেখে	আণ্ডাওয়ালা ভাবে বুঝি খেল ডাণ্ডাগুলি
    হা	গণ্ডার মার্কা ষণ্ডা বিবি খেল ডাণ্ডাগুলি
    হা	ভাব-আবেশের নয়ন তাহার হলো নয়ান ঝুলি;
    	নেকু বাবুর ঢেকুর ওঠে পেটে মেকুর আচড়ায়!
    	কাল্লু ভাবে মেম পালোয়ান সাহেবকে বুঝি পাছড়ায়। ( হায় হায় হায়)
    	যতো কাবলিওয়ালা মাউড়া সব হো গিয়া ভাই বাউড়া
    	মোষের গাড়োয়ান প্রেম-রসে হলো রসগোল্লা।।
    
  • টিকি আর টুপিতে লেগেছে দ্বন্দ্ব

    বাণী

    টিকি আর টুপিতে লেগেছে দ্বন্দ্ব বচন যুদ্ধ ঘোর
    কে বড় কে ছোট চাই মীমাংসা, কার আছে কর-জোর॥
    টিকি বলে শিরে আমি বিরাজিলে হয় আহা কিবা শোভা।
    যেন প্রকান্ড কুষ্মান্ডের বৃন্তটি মনোলোভা।
    এ যে চতুর্বর্গ ফলেরি বোঁটা।
    শুনে টুপি ফিক্ ক’রে হেসে বল্লেঃ ‘ভায়া, শিরে বিরাজ করবার
    শোভার কথা যদি বল তো ও বড়াই আমারি মুখে মানায়,
    ও বড়াই আমার মুখে মানায়।’
    আমি বাঁকা হয়ে যবে শিরে বসি, দেখে বিবিরা মূর্ছা যায়॥
    টিকি বলে, মোরে বলে চৈতন্ কভু বা আর্কফলা
    আর আমারি প্রসাদে প্রণামীটা মেলে দুটি বেলা চাল-কলা॥
    (মেলে দাদা) দুটি বেলা চাল-কলা॥
    [শুনে বাদশাহী চালে টুপি বল্লেঃ ‘আরে তোবা তোবা
    চাল আর কলা? ওসব আবার খাদ্য নাকি হে? এ্যাঁ?]
    বাদশাহী চালে টুপি বলে ওসব খাদ্য নাকি?
    দেখো, আমারি দোয়ায়, আহা তোফা জুটে যায়, গোস্ত ও রামপাখি।
    টিকি বলে মিয়া, আমার কৃপায় স্বর্গে free pass মেলে
    (আর) আমারঃ through দিয়ে মগজে বুদ্ধি electricity খেলে
    মিয়া আমার কৃপায় স্বর্গে free pass মেলে।
    এ যে পারে যাবার টিকিট - শুধু টিকিট নয়।
    [শুনে টুপি রেগে কাঁই, বল্লেঃ]
    বেহেশ্‌তে মোর একচেটে অধিকার
    কাফেরের তরে no admission খোদার ইস্তাহার।
    (এই রূপে) ক্রমশঃ তর্ক বাড়িল ভীষণ বচনে বেজায় দড়,
    এ উহারে কয় মোর ঠাঁই উঁচু তুমি বাপু স’রে পড়॥
    সহসা মুন্ড ছিন্ন হইল শক্র কৃপাণ ঘায়।
    টুপি আর টিকি একই সঙ্গে ভূঁয়ে গড়াগড়ি যায়॥
    
  • ঠাকুর তেমনি আমি বাঘা তেঁতুল

    বাণী

    ঠাকুর! তেমনি আমি বাঘা তেঁতুল (তুমি) যেমন বুনো ওল।
    তোমার কুলের কথা (গোকুলের কথা) রটিয়ে দোবো
    বাজিয়ে ঢাক ঢোল, বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    কেঁদে হেঁই হেঁই যে করে, তার তরে তোমার প্রেম নেই,
    তুমি আয়ান ঘোষকে দেখা দিলে দেখলে লাঠি যেই।
    সেদিনও নদীয়াতে কল্‌সি কানার এক ঘায়েতে
    পাপ নিয়ে জগাই মাধাই-এ দিলে তুমি কোল, বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    ঐ অগ্রদ্বীপে ভোগ দিল না গোবিন্দ ঘোষ,
    তারে বাবা ব’লে করলে আপোষ;
    বাগবাজারে ধমক খেয়ে
    সাজ্‌লে তামাক মদ্‌না হয়ে
    বদ্‌লে ফেলে ভোল, ঠাকুর বাজিয়ে শ্রীখোল।।
    ভালো চাও ত’ শুনিয়ো নূপুর, রাত্রি দুপুর কালে,
    মন্দিরে মোর নেই অধিকার এসো ঘরের চালে –
    আমার ভাঙা কুঁড়ের চালে।
    জান আমি ভীষণ গোঁয়ার, ধার ধারি না ভক্তি ধোঁয়ার
    ধরব যেদিন বুঝবে ইয়ে,
    চাঁচর কেশ মুড়িয়ে ঢাল্‌ব মাথায় ঘোল।।
    
  • তুমি নামো হে নামো শামো

    বাণী

    [কেডারে? কেডা? উ-কেলিকদম্ব গাছে এই ডাল ঐ ডাল কইরা লাফ দিয়া বেড়াইত্যাছ? ও — ঘোষ পাড়ার হেই বখাইট্রা পোলাটা না? 
    উ-হুঁ-হুঁ, আবার পিরুক কইরা বাঁশি বাজান হইত্যাছে ? নাম্যা, আসো। ভরদুপুর বেলা মাইয়াগো সান ঘাটের কাছে — অ্যাঁ-হ্যাঁ-হ্যাঁ আবার কিষ্ট সাজাছেন?
    বলি কেষ্ট সাজছো? নামো শিগগিরে নামো পোড়া কপাইল্যা নামো —]
    তুমি নামো হে নামো শামো হে শামো কদম্ব ডাল ছাইড়া নামো। দুপরি রৌদ্রে বৃথাই ঘামো ব্যস্ত রাধা কাজে, ওহে শামো হে শামো॥ আরে তোমার ললিতাদেবী কি করতেয়াছে জাননি? তোমার ললিতাদেবী? আরে ললিতাদেবী সলিতা পাকায়, বিশাখা ঝোলে হিজল শাখায়। আর বৃন্দাদুতী কি করছে জান? বৃন্দাদুতী? বৃন্দাদুতী পিন্দা ধুতি গোষ্টে গেছেন তোমার ‘পোস্টে’ সাজিয়া রাখাল সাজে আর চন্দ্রা গ্যাছেন অন্ধ্র দেশে মান্দ্রাজী জাহাজে॥ আবার ইতি উতি চাও ক্যা? ইতি উতি চাইবার লাগছ ক্যা? এ্যা? আমি কমুনা কোন্‌খানে তোমার যমুনা - তা আমি কমু না? আরে (তুমি) ইতি উতি চাও বৃথাই আমি কমু না কোথায় তোমার যমুনা কইলকাতা আর ঢাকা রমনার লেকে পাবে তার নমুনা। আরে তোমার যমুনা লেক হইয়া গ্যাছে গিয়া! বুঝ্‌লা? হালার যমুনা ল্যাক হইয়া গ্যাছে গিয়া। কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম সুদাম শ্রীদাম সুদাম কলেজে যাইতেয়াছে, আর তুমি এখানে বাঁশি বাজাইতেয়াছ অ্যাঁ! পোড়া কপাইল্যা — কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম সুদাম, মেরে মাল কোঁচা খুলিয়া বোতাম লাঙ্গল ছাড়িয়া বলরাম ডাম্বেল মুঘার ভাঁজে। ওহে শামো হে শামো আরে তুমি নামো, পোড়া কপাইল্যা নামো॥