বাণী

লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে সোনার ঝাঁপি লয়ে করে।
কমল-বনের কমলা গো বিহর হৃদি-কমল পরে।।
	কোজাগরী-পূর্ণিমাতে
	দাঁড়াও আকাশ-আঙ্গিনাতে,
মা গো, তোমার লক্ষ্মী শ্রী জোছনা-ধারায় পড়ুক ঝরে।।
চঞ্চলা গো, এই ভবনে থাকো অচঞ্চলা হয়ে,
দারিদ্র্য আর অভাব যত দূর হোক মা তোর উদয়ে।
	সুমঙ্গলা দুঃখ-হরা।
	অমৃত দাও পাত্র-ভরা,
ঐশ্বর্য উপ্‌চে পড়ুক, হরি-প্রিয়া তোমার বরে।।

‘লক্ষ্মী-বন্দনা’

বাণী

উপস্থাপকের বক্তব্যঃ [লেডিস্ এ্যান্ড জেন্টেল্‌ম্যান !
আজ আমাদের এই প্রীতি সম্মিলনে আপনারা যে অনুগ্রহ ক’রে যোগদান করেছেন, তার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে সর্ব প্রথমেই আপনাদের অভিবাদন করবেন লোক-প্রিয় হাস্যরসিক শ্রী রঞ্জিত রায়। তিনি পরিবেশন করবেন ‘নাচের চুম্বক’। অর্থাৎ প্রত্যেক শ্রেণীর নৃত্যের সারটুকু। ইয়েস্ রেড়ি বয়, ওয়ান ! টু !!]
লাম্ পম্ লাম্ পম্, লাম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্।
দুর্বল ডান্সের লম্-ফম্, ফম্ ঝম্-ফম্ ভুড়ি কম্‌-পম্
মারে ডম্‌ফাই দিল্লী বোম্বাই হনুলুলু হংকং॥
বাঁশের কঞ্চি এগার ইঞ্চি নাচে মেমের বোন্‌ঝি,
হ্যাঁদা-খ্যাঁদার পরান ছ্যাঁদা, ভিজল ঘামে গেঞ্জি,
	তার ভিজল ঘামে গেঞ্জি।
কেৎরে চক্ষু দেখে মট্‌কু, আরে ও-চামারু ছক্‌কু —
	সে চোম্‌ড়ায় দাড়ি গুম্‌ফম্॥
ল্যাংড়া-লেংড়ি হিল্লায় ঠেংরি, উস্‌খুস্‌, করে চ্যাংড়া-চেংড়ি।
যেন এই ট্যাংরার হাটে গল্‌দা চিংড়ি ঝুড়িতে খেলে পিং-পং॥

বাণী

ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
	বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
	কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
তার পীত বসন দিয়ে ক'রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
	সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
	তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
তার বনমালার বাসি ফুলে ভ'রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।

বাণী

লহ সালাম লহ, দ্বীনের বাদশাহ, জয় আখেরি নবী।
পীড়িত জনগণে মুক্তি দিতে এলে হে নবীকুলের রবি।।
	তুমি আসার আগে ধরার মজলুম
	করিত ফরিয়াদ, চোখে ছিল না ঘুম,
ধরার জিন্দানে, বন্দী ইনসানে আজাদি দিতে এলে হে প্রিয় আল-আরবি।।
	তব দামন ধরি’ যত গোনাহগার,
	মাগিল আশ্রয়, তুমিই করিবে পার।
	মানুষ ছিল আগে বন্য পশু প্রায়
	কাঁদিত পাপে তাপে অভাব ও বেদনায়,
শান্তি-দাতা রূপে সহসা এলে তুমি ফুটিল দুনিয়াতে নব বেহেশ্‌তের ছবি।।

বাণী

লাল টুক্‌টুক্‌ মুখে হাসি মুখখানি টুলটুল।
বিনি পানে রঙ দেখে যায় লাল-ঝুঁটি বুলবুল।।
দেখতে আমার, খুকুর বিয়ে
সূয্যি ওঠেন উদয় দিয়ে,
চাঁদ ওঠে ঐ প্রদীপ নিয়ে গায় নদী কুল্‌কুল্‌।।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।