এ কোন মধুর শরাব দিলে
বাণী
এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।। তৌহিদের শিরাজি নিয়ে ডাকলে সবায় যারে পিয়ে, নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।। বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে, আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে। নরনারী বাদশা ফকির তোমার রূপে হয়ে অধীর যা ছিল নজ্রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।
এসো শঙ্কর ক্রোধাগ্নি হে প্রলয়ঙ্কর
বাণী
এসো শঙ্কর ক্রোধাগ্নি হে প্রলয়ঙ্কর। রুদ্রভৈরব! সৃষ্টি সংহর, সংহর।। জ্ঞান-হীন তমসায় মগ্ন পাপ-পঙ্কিলা বিশ্ব জুড়ি’ চলে শিবহীন যজ্ঞের লীলা, শক্তি যথায় করে আত্ম-বিসর্জন ঘৃণায় — ধ্বংস কর সেই অশিব-যজ্ঞ — অসুন্দর।। যথা দেবী শক্তি — নারী অপমান সহে গ্লানিকর হানাহানি চলে ধরমের মোহে, হানো সংঘাত, অভিসম্পাৎ সেথা নিরন্তর।।
এসো মা ভারত-জননী আবার
বাণী
এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে। রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥ শিশু-জগতেরে মায়ের মতন, তুমি মা প্রথম করিলে পালন, আজ মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥ আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি; হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥ দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা, মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা, রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
এ কোথায় আসিলে হায়
বাণী
এ কোথায় আসিলে হায়, তৃষিত ভিখারি। হায়, পথ-ভোলা পথিক, হায়, মৃগ মরুচারী।। মোর ব্যথায় চরণ ফেলে চির-দেবতা কি এলে, হায়, শুকায়েছে যবে মোর নয়নে নয়ন-বারি।। তোমার আসার পথে প্রিয় ছিলাম যবে পরান পাতি’, সেদিন যদি আসিতে নাথ হইতে ব্যথার ব্যথী। ধোওয়ায়ে নয়ন-জলে পা মুছাতাম আকুল কেশে আজ কেন দিন-শেষে এলে নাথ মলিন বেশে! হায়, বুকে ল’য়ে ব্যথা আসিলে ব্যথা-হারী।। স্মৃতির যে শুকানো মালা যতনে রেখেছি তুলি’ ছুঁয়ে সে হার ঝরায়ো না ম্লান তার কুসুমগুলি, হায়, জ্বলুক বুকে চিতা, তা’য় ঢেলো না আর বারি।।