বাণী

		এবার যখন উঠ্‌বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে
		দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।।
			চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে
			কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে,
		তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।।
		যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ
		পড়বে মনে গো —
		সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ।
			পায়নি গো, তাই অভিমানে
			চ’লে গেলে দূর বিমানে,
(দেখো)	সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে
							দ্বিধা নাহি আসে।।

বাণী

এই দেহেরই রঙমহলায় খেলিছেন লীলা-বিহারী।
মিথ্যা মায়া নয় এ কায়া কায়ায় হেরি ছায়া তাঁরি।।
	রূপের রসিক রূপে রূপে
	খেলে বেড়ায় চুপে চুপে,
মনের বনে বাজায় বাঁশি মন-উদাসী বন-চারী।।
	তার খেলা-ঘর তোর এ দেহ
	সে ত নহে অন্য কেহ
সে যে রে তুই, — তবু মোহ ঘুচল না তোর হায় পূজারি।।
	খুঁজিস্ তারে ঠাকুর-পূজায়
	উপাসনায় নামাজ রোজায়,
চাল কলা আর সিন্নি দিয়ে ধর্‌বি তারে হায় শিকারি!
পালিয়ে বেড়ায় মন-আঙিনায় সে যে শিশু প্রেম-ভিখারি।।

বাণী

এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়
	চির জনমের স্বামী-
তোমার কারণে এ তিন ভুবনে
	শান্তি না পাই আমি।।
	অন্তরে যদি লুকাইতে চাই
এ আগুন আমি কেমনে লুকাই, ওগো অন্তর্যামী।।
মুখ থাকিতেও বলিতে পারে না বোবা স্বপনের কথা;
বলিতেও নারি লুকাতেও নারি; তেমনি আমার ব্যথা।
	যে দেখেছে প্রিয় বারেক তোমায়
	বর্ণিতে রূপ- ভাষা নাহি পায়
পাগলিনী-প্রায় কাঁদিয়া বেড়ায় অসহায়, দিবাযামী।।

বাণী

এলো মিলন-রাতি
জ্বলে বাসর-বাতি
ওগো পরান-সাথি
	এসো পরানে।।
প্রেম-কুসুম গাঁথি
ছিনু আসন পাতি
ছিনু হরষে মাতি
	তব বরণ-গানে।।
প্রেম-মদির-আঁখি
আঁখিতে রাখি,
শুধু চাহিয়া থাকি
	তব মুখের পানে।।

নাটক : ‘কাফন-চোরা’

বাণী

এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ
যে দিকে চাই স্নিগ্ধ শ্যামল চোখ জুড়ানো রূপ অশেষ।।
চন্দনিত শীতল বাতাস বয় এ দেশে নিরন্তর
জোছনা সম কোমল হয়ে আসে হেথায় রবির কর
জীবন হেথায় স্নেহ সরস সরল হৃদয় সহজ বেশ।।
নিত্য হেথা করছে মেঘে স্বর্গ হতে শান্তি জল
মাঠে ঘাটে লক্ষ্মী হেথায় ছড়িয়ে রাখে ফুল কমল।
হাঙ্গোর কুমির শার্দুল সাপ খেলার সাথি এই জাতির
দিল্লির যশ করল হরণ এই দেশেরি প্রতাপ বীর
একদা এই দেশের ছেলে জয় করেছে দেশ বিদেশ।।

রেকর্ড: ‘প্রতাপদিত্য’, (নাটিকার: যোগেশ চৌধুরী)

বাণী

এ দেবদাসীর পূজা লহ হে ঠাকুর।
দয়া কর, কথা কও, হ’য়ো না নিঠুর।।
লহ মান অভিমান, দেহ প্রাণ মন
মম প্রেম-ধূপ নাও রূপচন্দন,
এই লহ আভরণ, চুড়ি-কঙ্কন –
চোখের দৃষ্টি নাও কণ্ঠের সুর।।
আজ, শেষ ক’রে আপনারে দিব তব পায়,
চাও চাও মোর কাছে যাহা সাধ যায়।
কহিবে না কথা কি গো তুমি কিছুতেই?
আরতির থালা তবে ফেলে দিনু এই,
নাচিব না, বাজুক না মৃদঙ্গ তাল –
খুলিয়া রাখিনু এই পায়ের নূপুর।।