টুটি’ স্বপন-বিলাস ফুটিল
বাণী
টুটি’ স্বপন-বিলাস ফুটিল রৌদ্র-দগ্ধ মরুর কাতরতা, ছিল লুকায়ে ব্যথা — প্রাণে গোপন অন্তরালে। তুমি পরশি’ সে-ব্যথা সহসা প্রকাশ-আলোকে জাগালে।। একি বেদনা একি ভাষা! আকাশের পাখি ব্যথার ধূলায় মানুষের দুখে বাঁধিল বাসা। তুমি সৃজিলে বেদনা-গীতা ভস্ম-বিভূতি হে শিব এ কোন্ সাধনা জ্বালিয়া চিতা? তুমি ভৈরব যুগ-সম্ভব, তুমি সুন্দর, আরো শোনও তোমার উদাত্ত সুর বিপুল বেদনার মন্থর, ওহে সুন্দর।।
টারালা টারালা টারালা টা টারালা
বাণী
টারালা টারালা টারালা টা টারালা টারালোল্লা নাচে শুটকী শুকনো সাহেবকে ধ'রে মুটকি মিস আরসোল্লা। হা-হা- হা-হা- হা।। খুরওয়ালা জুতা পরে খটখট ঠেংরী নাড়ে চাবুক খেয়ে জোড়া ঘোড়ায় যেন পেছলি ঝাড়ে! দেখে পাদ্রি, পুরুত, মোল্লা বাবাজী কাছা খোল্লা। আর বাবাজী কাছা খোল্লা।। দেখে আণ্ডাওয়ালা ভাবে বুঝি খেল ডাণ্ডাগুলি হা গণ্ডার মার্কা ষণ্ডা বিবি খেল ডাণ্ডাগুলি হা ভাব-আবেশের নয়ন তাহার হলো নয়ান ঝুলি; নেকু বাবুর ঢেকুর ওঠে পেটে মেকুর আচড়ায়! কাল্লু ভাবে মেম পালোয়ান সাহেবকে বুঝি পাছড়ায়। ( হায় হায় হায়) যতো কাবলিওয়ালা মাউড়া সব হো গিয়া ভাই বাউড়া মোষের গাড়োয়ান প্রেম-রসে হলো রসগোল্লা।।
টলমল টলমল পদভরে
বাণী
টলমল টলমল পদভরে বীরদল চলে সমরে॥ খরধার তরবার কটিতে দোলে রণন ঝনন রণ-ডঙ্কা বোলে ঘন তূর্য-রোলে শোক-মৃত্যু ভোলে দেয় আশিস সূর্য সহস্র করে॥ চলে শ্রান্ত দূর-পথে মরু দুর্গম পর্বতে চলে বন্ধুবিহীন একা, মোছে রক্তে ললাট-কলঙ্ক-লেখা। কাঁপে মন্দিরে ভৈরবী - এ কি বলিদান! জাগে নিঃশঙ্ক শঙ্কর ত্যজিয়া শ্মশান! দোলে ঈশান মেঘে কাল প্রলয় নিশান! বাজে ডম্বরু, অম্বর কাঁপিছে ডরে॥
টিকি আর টুপিতে লেগেছে দ্বন্দ্ব
বাণী
টিকি আর টুপিতে লেগেছে দ্বন্দ্ব বচন যুদ্ধ ঘোর কে বড় কে ছোট চাই মীমাংসা, কার আছে কর-জোর॥ টিকি বলে শিরে আমি বিরাজিলে হয় আহা কিবা শোভা। যেন প্রকান্ড কুষ্মান্ডের বৃন্তটি মনোলোভা। এ যে চতুর্বর্গ ফলেরি বোঁটা। শুনে টুপি ফিক্ ক’রে হেসে বল্লেঃ ‘ভায়া, শিরে বিরাজ করবার শোভার কথা যদি বল তো ও বড়াই আমারি মুখে মানায়, ও বড়াই আমার মুখে মানায়।’ আমি বাঁকা হয়ে যবে শিরে বসি, দেখে বিবিরা মূর্ছা যায়॥ টিকি বলে, মোরে বলে চৈতন্ কভু বা আর্কফলা আর আমারি প্রসাদে প্রণামীটা মেলে দুটি বেলা চাল-কলা॥ (মেলে দাদা) দুটি বেলা চাল-কলা॥ [শুনে বাদশাহী চালে টুপি বল্লেঃ ‘আরে তোবা তোবা চাল আর কলা? ওসব আবার খাদ্য নাকি হে? এ্যাঁ?] বাদশাহী চালে টুপি বলে ওসব খাদ্য নাকি? দেখো, আমারি দোয়ায়, আহা তোফা জুটে যায়, গোস্ত ও রামপাখি। টিকি বলে মিয়া, আমার কৃপায় স্বর্গে free pass মেলে (আর) আমারঃ through দিয়ে মগজে বুদ্ধি electricity খেলে মিয়া আমার কৃপায় স্বর্গে free pass মেলে। এ যে পারে যাবার টিকিট - শুধু টিকিট নয়। [শুনে টুপি রেগে কাঁই, বল্লেঃ] বেহেশ্তে মোর একচেটে অধিকার কাফেরের তরে no admission খোদার ইস্তাহার। (এই রূপে) ক্রমশঃ তর্ক বাড়িল ভীষণ বচনে বেজায় দড়, এ উহারে কয় মোর ঠাঁই উঁচু তুমি বাপু স’রে পড়॥ সহসা মুন্ড ছিন্ন হইল শক্র কৃপাণ ঘায়। টুপি আর টিকি একই সঙ্গে ভূঁয়ে গড়াগড়ি যায়॥