হে মাধব হে মাধব হে মাধব
বাণী
হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব! তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।। সুখের সাগরে লহরি সমান হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।। তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে। যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয় বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময় কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।
হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও
বাণী
হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।। ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো; ভোলাও ভোলাও মৃত্যু–আতঙ্ক।। মৃত্যু জীবনের শেষ নহে নহে — শোনাও শোনাও — অনন্ত কাল ধরি’ অনন্ত জীবন প্রবাহ বহে। দুর্মদ দুরন্ত যৌবন–চঞ্চল ছাড়িয়া আসুক মা’র স্নেহ–অঞ্চল; বীর সন্তানদল করুক সুশোভিত মাতৃ–অঙ্ক।।
হায় গো ভালোবেসে অবশেষে
বাণী
(হায় গো) ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল। ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।। শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা, এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া। (হায় গো) নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।। এবার ধ’রে দিস্ যদি তায় রাখ্ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়, কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।। সোঁদা-মাখা নিস্নে কেশে, গন্ধে যে লো তার মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার। এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।
বাউল
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক