হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়
বাণী
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে। মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায়, পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা, হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা। শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।। ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা, নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে
বাণী
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও? আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।। পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায় বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়; কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায় চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।। ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির! যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান, বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান — আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে
বাণী
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে। হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।। সখি তাহার হাতের হেনা গাছে বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে। হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।। শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি? দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার। ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার? আজি আসিবে সে মনে লাগে তারি আসার আভাস মনে জাগে হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।