হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে। বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।। জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়, দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়। ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়, ডাকিতে পারিনি তাও হে।। এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে। কিছু নাহি প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।। সন্তান তব বিপথগামী, ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী। পাপী তাপী তবু সন্তান আমি ধূলা মুছে-কোলে নাও হে।।
হৃদয় কেন চাহে হৃদয় আমি জানি মন জানে
বাণী
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়, আমি জানি মন জানে জানে নদী কেন যে সে, যায় ছুটে সাগর পানে।। কেহ বারি কেন চাহে, জানে চাতক, জানে মেঘ, জানে চকোর সুদূর নভে, চাঁদ কেন তারে টানে।। কুসুম কেন চাহে শিশির, জানে শিশির, জানে ফুল, জানে বুলবুল আছে কাঁটা, তবু যায় গুল-বাগানে। আঁখি চাহে আঁখি-বারি , মন চাহে মনোব্যথা প্রাণ আছে যার সেই জানে, কেন চাহে প্রাণে প্রাণে।।
হে বিধাতা হে বিধাতা হে বিধাতা
বাণী
হে বিধাতা! হে বিধাতা! হে বিধাতা! দুঃখ-শোক-মাঝে, তোমারি পরশ রাজে, কাঁদায়ে জননী-প্রায়, কোলে কর পুনরায়, শান্তি-দাতা।। ভুলিয়া যাই হে যবে সুখ-দিনে তোমারে স্মরণ করায়ে দাও আঘাতের মাঝারে। দুঃখের মাঝে তাই, হরি হে, তোমারে পাই দুঃখ-ত্রাতা।। দারা-সুত-পরিজন-রূপে হরি, অনুখন তোমার আমার মাঝে আড়াল করে সৃজন। তুমি যবে চাহ মোরে, লও হে তোদের হ’রে ছিঁড়ে দিয়ে মায়া-ডোর, ক্রোড়ে ধর আপন। ভক্ত সে প্রহ্লাদ ডাকে যবে ‘নারায়ণ’, নির্মম হয়ে তার পিতারও হর জীবন। সব যবে ছেড়ে যায় দেখি তব বুকে হায় আসন পাতা।।
হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়
বাণী
হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়। তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়।। আমার হয়ত কিছু ছিল কভু সব নিয়েছেন কেড়ে প্রভু আমায় তিনি নেননি তবু তাঁহার রাঙা পায়।। তোমায় তিনি পথ দেখালেন ভাবনা কিসের ভাই তোমার আছে ভিক্ষা ঝুলি আমার তাহাও নাই। চাইনে তবু আছি পড়ে সংসারে জড়িয়ে ধরে কবে তোমার মতন পথের ধূলি মাখব সারা গায়।।