বাণী

(হরি) নাচত নন্দদুলাল
শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর
নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল।
নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি
দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি
নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি
রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।

নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

বাণী

হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে।
হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।।
	সখি তাহার হাতের হেনা গাছে
	বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে।
হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।।
শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি
আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি?
দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার।
ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার?
	আজি আসিবে সে মনে লাগে
	তারি আসার আভাস মনে জাগে
হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।

বাণী

হিন্দোলি’ হিন্দোলি’ 
		ওঠে নীল সিন্ধু
গগনে উঠিল তার
		কোন্ পূর্ণ ইন্দু।।
শত শুক্তি-আঁখি দিয়া
পিইছে চাঁদ-অমিয়া,
শিশির রূপে ঝরিয়া
		পড়ে জোছনা-বিন্দু।।

বাণী

	হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে
মোর	স্মৃতি তাই রেখে' যাই শত গীতে।।
	বিষাদিত সন্ধ্যায় শুনিবে দূরে
	বিরহী বাঁশি ঝুরে আমারি সুরে
	আমারি করুণ গাথা গাহিবে কে কোথা
	সজল মেঘ-ঘেরা নিশীথে।।
	গোধূলি-ধূসর ম্লান আকাশে
	হেরিবে আমার মূরতি ভাসে
	তব পদদলিত ফুলের বাসে
	পড়িবে মনে আমারে চকিতে।।

বাণী

হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের দুই আঁখি-তারা।
এক বাগানে দুটি তরু — দেবদারু আর কদমচারা।।
	যেন গঙ্গা সিন্ধু নদী
	যায় গো ব’য়ে নিরবধি,
এক হিমালয় হতে আসে, এক সাগরে হয় গো হারা।।
	বুলবুল আর কোকিল পাখি
	এক কাননে যায় গো ডাকি’,
ভাগীরথী যমুনা বয় মায়ের চোখের যুগল-ধারা।।
পেটে-ধরা ছেলের চেয়েও চোখে ধরার মায়া বেশি,
অতীতে ছিল অতিথি, আজ সে সখা প্রতিবেশী।
	ফুল পাতিয়ে গোলাপ বেলি
	এক সে-মায়ের বুকে খেলি,
পাগল তারা — ভিন্ন ভাবে আল্লা ভগবানে যারা।।

বাণী

হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়।
তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়।।
	আমার হয়ত কিছু ছিল কভু
	সব নিয়েছেন কেড়ে প্রভু
আমায় তিনি নেননি তবু তাঁহার রাঙা পায়।।
তোমায় তিনি পথ দেখালেন ভাবনা কিসের ভাই
তোমার আছে ভিক্ষা ঝুলি আমার তাহাও নাই।
	চাইনে তবু আছি পড়ে
	সংসারে জড়িয়ে ধরে
কবে তোমার মতন পথের ধূলি মাখব সারা গায়।।