হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়
বাণী
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে। মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায়, পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা, হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা। শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।। ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা, নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে
বাণী
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি' এসো বলাকার তরণী বাহি' সারস মরাল সাথে গাহি' চরণ রাখি' শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ'তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙ লাগে কুমুদে রাঙা কমলে।।
হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর
বাণী
হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই। এক বৃন্তে দু’টি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই॥ সৃষ্টি যাঁর মুসলিম রে ভাই হিন্দু সৃষ্টি তাঁরি মোরা বিবাদ ক’রে খোদার উপর করি যে খোদকারি। শাস্তি এত আজ আমাদের হীন-দশা এই তাই॥ দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে। দুই জনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে — সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে ভেদ নাই॥
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক