চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি মাধবী কানন
বাণী
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, মাধবী কানন মধুক্ষরা। মধুর আনন্দ উল্লাসে রাত্রে ভাসে বসুন্ধরা।। মুকুল-সৌগন্ধ ভারে দখিনা পবন নৃত্যের ছন্দে চলে মর্মরিয়া বেণু-বন। তটিনী ঊর্মির মর্ম নিয়া শত ভঙ্গে চন্দ্রে নিবেদিয়া — দুর্নিবার প্রেমোচ্ছ্বাসে কণ্ঠ-কল-গীতে ভরা।। মধুর পূর্ণিমা নিশি, পূর্ণপাত্র শিরাজি হস্তে যেন সাকি, জোছনার মদির স্বপ্নে মুকুলিত মাধবীর আঁখি।। গোলাপের স্নিগ্ধগন্ধে অস্থির অন্তর আজি রাত্রি হাসিছে সমাহিত প্রসন্ন সুন্দর। পরিতৃপ্ত চকোরের রুদ্ধ-কণ্ঠ১ লড়িতে চন্দ্রর পান করি শারাব গেলাস-ভরা।।
১. সম্ভবত এখানে কবি আরো কিছু শব্দ যুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
চন্দ্রমল্লিকা চন্দ্রমল্লিকা
বাণী
চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা — রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।। ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী' হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।। চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে, দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে। ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা, রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা, ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।
চোখের বাঁধন খুলে দে মা
বাণী
চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি। আমি মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।। তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে, তুই তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি। দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে, শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে। চোর হয়ে মা আর কত দিন ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন, তোর অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।
চল মন আনন্দ-ধাম
বাণী
চল মন আনন্দ-ধাম। চল মন আনন্দ-ধাম রে, চল আনন্দ-ধাম।। লীলা-বিহার প্রেম লোক নাই রে সেথা দুঃখ শোক, সেথা বিহরে চির-ব্রজ-বালক — বন্শিওয়ালা শ্যাম রে চল আনন্দ-ধাম।। নাহি মৃত্যু নাহি ভয় নাহি সৃষ্টি, নাহি লয়, খেলে চির-কিশোর চির-অভয় — সঙ্গীত ওম্ না রে চল আনন্দ ধাম।।১ নাহি চরাচর নাহি রে ব্যোম লীলা-সাথী গ্রহ রবি ও সোম, সঙ্গীত ‘ওম্’ নাম রে চল আনন্দ ধাম।।
১. অবাঙ্মনস-গোচরম্