বাণী

চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
(কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম)
বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।।
নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায়
মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা
খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী
পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্‌ঝিম্‌।।
নলে যেম্‌নি দম্ দি অম্‌নি নল-দময়ন্তী
লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু
(ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে)
শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায়
(এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়)
চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায়
প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে)
(দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।।
আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি
সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি
জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!

বাণী

চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ।
দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।।
আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান,
	চল আরফাতের ময়দান,
এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। 
মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।।
যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে
খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, 
	চল মক্কার শহরে।
সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।।
ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত,
সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত;
সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।। 

বাণী

চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন তুম ব্যনে বনওয়ারী।
ছিন লিয়ে হ্যয় গদা-পদম্‌ সব মিল করকে ব্রজনারী।।
	ছার ভুজা আব দো বনায়ে
	ছোড়কে বৈকুণ্ঠ ব্রিজ মে আয়ে,
রাস রচায়ে ব্রিজ্‌কে মোহন ব্যন্ গ্যয়ে মুরলী-ধারী।।
	সত্যভামাকো ছোড়কে আয়ে
	রাধা প্যারী সাথমে লায়ে,
বৈতরণী কো ছোড়কে ব্যন গ্যয়ে যমুনাকে তটচারী।।

বাণী

চল	মন আনন্দ-ধাম।
	চল মন আনন্দ-ধাম রে,
	চল আনন্দ-ধাম।।
	লীলা-বিহার প্রেম লোক
	নাই রে সেথা দুঃখ শোক,
সেথা	বিহরে চির-ব্রজ-বালক — 
	বন্‌শিওয়ালা শ্যাম রে
	চল আনন্দ-ধাম।।
	নাহি মৃত্যু নাহি ভয়
	নাহি সৃষ্টি, নাহি লয়,
খেলে	চির-কিশোর চির-অভয় —
	সঙ্গীত ওম্ না রে
	চল আনন্দ ধাম।।
	নাহি চরাচর নাহি রে ব্যোম
	লীলা-সাথী গ্রহ রবি ও সোম,
	সঙ্গীত ‘ওম্’ নাম রে
	চল আনন্দ ধাম।।

১. অবাঙ্‌মনস-গোচরম্‌

বাণী

চরণ ফেলি গো মরণ-ছন্দে মথিয়া চলি গো প্রাণ।
মর্তের মাটি মহিমান করি স্বর্গেরে করি ম্লান।।
	চিতার বিভূতি মাখিয়া গায়
	লজ্জা হানি গো অন্নদায়,
বাঁধিয়াছি বিদ্যুল্লাতায় — দেবরাজ হতমান।
পাতাল ফুঁড়িয়া করি গো মাতাল রসাতল-অভিযান।।

নাটিকা : ‘সেতু-বন্ধ’

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্দকুমার।
গোপী চিতচোর প্রেম-মনোহর নওল কিশোর
অন্তর মাঝে বাজে বেণু তার নন্দকুমার
	নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
শ্রাবণ আনন্দ নূপুর ছন্দ রুনুঝুনু বাজে
নন্দের আঙিনায় নন্দন চন্দ, নাচিছে হেলে দুলে গোপাল সাজে।
টলমল টলে রাঙা পদতলে লঘু হ’য়ে বিপুল ধরণীর ভার —
	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥
রূপ নেহারিতে এলো লুকায়ে দেবতা
কেহ গোপগোপী হলো, কেহ তরুলতা;
আনন্দ-অশ্রু নদী হ’য়ে বয়ে যায়, উতল যমুনায়।
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজায়,
বনডালায় পূজা ফুল সম্ভার।
	নন্দকুমার, নন্দকুমার, নন্দকুমার॥