চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয়
বাণী
চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয় গালি, আমার গায়ে ঢ’লে প’ড়ে কুলে দিলে কালি।। লোহা বলে, হায় পাষাণী তুমিই লহ বুকে টানি’, (কেন) সোনা-রূপা ফেলে দিয়ে আমায় টান খালি।। চুম্বক আর লোহায় চলে দ্বন্দ্ব সারা বেলা, কে’দে মরে, বুঝতে নারে (এ) কোন্ নিঠুরের খেলা। হঠাৎ তাদের দৃষ্টি গেল খুলে ঊর্দ্ধ পানে চায় নয়ন তুলে, (দেখে) খেলেন তাদের নিয়ে রস-শেখর বনমালি।।
চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম
বাণী
চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে। নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।। যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে, তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।। অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’, অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী। মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও, কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও — হে উদাসীন আনমনে।।
চাঁপার কলির তুলিকায় কাজল লেখায়
বাণী
চাঁপার কলির তুলিকায়, কাজল লেখায় শ্রীমতী শ্রীহরির ছবি আঁকে। রাই ছবি আঁকে পটে গো, যারে হেরে নিতি গোঠে যেতে যমুনার তটে গো, সে বংশী বাজায়ে মঞ্জির পায়ে নাচে ছায়া বটে গো, রাই ছবি আঁকে পটে গো। আঁকিয়া শ্যামের মূরতি আঁকিল না রাধা শ্রীচরণ , রাধা চরণ আঁকে না, তুলি তুলিয়া রাখে চরণ আঁকে না। তখন ললিতা বলে- ‘রাধা! রাধা! রাধা! তুই আঁকলি না কেন চরণ রাধা!’ ‘জীবন মরণ যে চরণে বাঁধা, আঁকলি না কেন চরণ রাধা — বিশ্বের ত্রাণ বৃন্দাবনের ধ্যানজ্ঞান ব্রজগোপী সাধা’ — ‘আঁকলি না কেন চরণ রাধা’ —! তখন রাধা কেঁদে বলে- ‘ওগো ললিতা — সখি আঁকিলে চরণ যাবে সে পালায়ে আমি হব পদদলিতা। পলায়ে যাবে গো মথুরায়, আবার পালায়ে যাবে গো — চির চপল সে মথুরায় আবার পালায়ে যাবে গো — থাক লুকানো হৃদয়ে শ্রীচরণ।’
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে
বাণী
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা। সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।। আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব্যথা তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।। যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
নাটকঃ‘আলেয়া’