মান্দ্‌

  • আরো নূতন নূতনতর শোনাও

    বাণী

    আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি গানেওয়ালা।
    আরো তাজা শারাব ঢালো, কর কর হৃদয় আলা।।
    অকুণ্ঠিত চিতে ব’স নিরালা ভোর হাওয়ার সাথে,
    পুরাও আশা পিয়ে সুধা নিতুই নূতন অধর-ঢালা।।
    কর ত্বরা, এ আব-খোরা ভরাও নূতন শারাব দিয়ে,
    নাহি গো মোর সাকির হাতে চাঁদির গেলাস, চাঁদের থালা।।
    কি স্বাদ পেলে জীবন-মধুর শারাব যদি না হয় সাথি,
    স্মরণে তার আরো তাজা আনো শারাব ভর-পিয়ালা।।
    আরো নূতন রঙে রেখায় গন্ধে রূপে, দিল-পিয়ার
    আমার প্রিয়া! আমার তরে কর এ নিখিল উজালা।।
    প্রিয়ার ছায়া-বীথির পথে যাবে যখন, ভোরের হাওয়া,
    নূতন করে শুনায়ো তায় হাফিজের এ গান নিরালা।।
    
  • এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল

    বাণী

    এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল
    এ যে ব্যথা রাঙা হৃদয় আঁখি জলে টলমল।।
    কমল মৃণাল দেহ ভরেছে কন্টক ঘায়
    শরণ লয়েছি গো তাই শীতল দীঘির জল।।
    ডুবেছি আজ কালো জলে কত যে জ্বালা স'য়ে
    শত ব্যথা ক্ষত লয়ে হইয়াছি শতদল।।
    কবি রে কোন ক্ষত মুখে ফোটে যে তোর গীত সুর
    সে ক্ষত দেখিল না কেউ দেখিল তোরে কেবল
    সে গীতি দেখিল না কেউ শুনিল গীতি কেবল।।
    
  • এত জল ও কাজল চোখে

    বাণী

    এত জল ও কাজল চোখে, পাষানী আনলে বল কে।
    টলমল জল-মোতির মালা দুলিছে ঝালর-পলকে ।।
    দিল কি পূব হাওয়াতে দোল, বুকে কি বিঁধিল কেয়া?
    কাঁদিয়া কুটিলে গগন এলায়ে ঝামর-অলকে।।
    চলিতে পৈঁচি কি হাতের বাঁধিল বৈচি-কাঁটাতে?
    ছাড়াতে কাঁচুলির কাঁটা বিঁধিল হিয়ার ফলকে।।
    [যে দিনে মোর দেওয়া-মালা ছিঁড়িলে আনমনে সখি,
    জড়াল জুই-কুসুমি-হার বেণীতে সেদিন ওলো কে।।
    যে-পথে নীর ভরণে যাও বসে রই সে পথ-পাশে
    দেখি, নিত কার পানে চাহি কলসীর সলিল ছলকে।।]
    মুকুলী-মন সেধে সেধে কেবলি ফিরিনু কেঁদে,
    সরসীর ঢেউ পালায় ছুটি' না ছুঁতেই নলিন-নোলকে ।।
    বুকে তোর সাত সাগরের জল, পিপাসা মিটল না কবি
    ফটিক জল ! জল খুঁজিস যেথায় কেবলি তড়িৎ ঝলকে।। 
    
  • এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী

    বাণী

    এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম।
    তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।।
    	কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ
    	চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ,
    ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।।
    ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি,
    এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী।
    পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ
    আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু
    কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।
    
  • কেউ ভোলে না কেউ ভোলে

    বাণী

    কেউ		ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি
    কেউ		দুঃখ ল’য়ে কাঁদে কেউ ভুলিতে গায় গীতি।।
    কেউ		শীতল জলদে হেরে অশনির জ্বালা
    কেউ		মুঞ্জরিয়া তোলে তার শুষ্ক কুঞ্জ–বীথি।।
    হেরে		কমল–মৃণালে কেউ কাঁটা কেহ কমল।
    কেউ		ফুল দলি’ চলে কেউ মালা গাঁথে নিতি।।
    কেউ		জ্বালে না আর আলো তার চির–দুখের রাতে,
    কেউ		দ্বার খুলি’ জাগে চায় নব চাঁদের তিথি।।
    
  • চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়

    বাণী

    চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়
    আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।।
    অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি
    তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি।
    আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।।
    স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান
    দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান
    পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।।
    মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ
    শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ
    বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।
    

  • তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার

    বাণী

    তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
    করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥
    রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা,
    আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥
    সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ,
    সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার।
    অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ,
    চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥
    

    বৈতালিক

  • বাজল কি রে ভোরের সানাই

    বাণী

    বাজ্‌ল কি রে ভোরের সানাই নিদ্‌-মহলার আঁধার-পুরে
    শুন্‌ছি আজান গগন-তলে আঁধার-রাতের মিনার-চূড়ে।।
    সরাই-খানার্‌ যাত্রীরা কি
    ‘বন্ধু জাগো’ উঠ্‌ল হাঁকি’?
    নীড় ছেড়ে ঐ প্রভাত-পাখি
    			গুলিস্তানে চল্‌ল উড়ে’।।
    তীর্থ-পথিক্‌ দেশ-বিদেশের
    আর্‌ফাতে আজ জুট্‌ল কি ফের,
    ‘লা শরীক আল্লহু’ মন্ত্রের
    			নাম্‌ল কি বান পাহাড় ‘তূরে’।।
    আজকে আবার কা’বার পথে
    ভিড় জমেছে প্রভাত হ’তে,
    নামল কি ফের্ হাজার স্রোতে
    			‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে।।
    আবার ‘খালেদ’ ‘তারেক’ ‘মুসা’
    আনল কি খুন-রঙিন ভূষা,
    আস্‌ল ছুটে’ হাসীন ঊষা
    			নও-বেলালের শিঁরিন সুরে।।