কদম কেশর পড়ল ঝরি
বাণী
কদম কেশর পড়ল ঝরি তখন তুমি এলে। বাদল মেঘে গগন ঘেরি ঝড়ের কেতন মেলে।। ঝরিয়ে বন-কেয়ার রেণু বজ্ররবে বাজিয়ে বেণু, বৃষ্টি ভেজা দুর্বা দ’লে অরুণ-চরণ ফেলে।। নদীর দু’কূল ভাঙল যবে অধীর স্রোতের জলে, তখন দেখি হে অশান্ত তোমার তরী চলে। যূথীর নীরব অশ্রু ঝরে শ্যামল তোমার চরণ ’পরে, আকাশ চাহে তোমার পথে তড়িৎ প্রদীপ জ্বেলে।।
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো
বাণী
বিকাল বেলার ভুঁইচাঁপা গো সকাল বেলার যুঁই কারে কোথায় দেব আসন তাই ভাবি নিতুই।। ফুলদানিতে রাখব কারে,কারে গাঁথি কণ্ঠ -হারে কারে যেন দেব তারে কারে বুকে থুই।। সমান অভিমানী ওরা সমান সুকোমল চাঁপা আমার চোখের আলো,যুঁই চোখের জল। বর্ষা-মুখর শ্রাবণ-প্রাতে,কাঁদি আমি যুথীর সাথে চাঁপায় চাহি চৈতী-রাতে,প্রিয় আমার দুই।।
যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
বাণী
যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে মাটির পৃথিবী তাই এত ভালো লাগে।। হেথা চাঁদে আছে কলঙ্ক, সাধে অবসাদ হেথা প্রেমে আছে গুরুগঞ্জনা অপবাদ; আছে মান-অভিমান পিরিতি-সোহাগে।। হেথা হারাই হারাই ভয়, প্রিয়তমে তাই ব’ক্ষে জড়ায়ে কাঁদি ছাড়িতে না চাই। স্বর্গের প্রেমে নাই বিরহ-অনল সুন্দর আঁখি আছে, নাই আখি-জল; রাধার অশ্রু নাই কুমকুম-ফাগে।।
নাটকঃ অন্নপূর্ণা (নাট্যকারঃ মণিলাল বন্দোপাধ্যায়)
শিউলি তলায় ভোর বেলায়
বাণী
শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা। শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।। ঘোম্টা খুলিয়া তার পিঠে লুটায় শিথিল কবরী লুটিছে পায়, নৃত্যের ভঙ্গে ফুল তোলে রঙ্গে, আধো আঁধার বন তার রূপে উজালা।। নিলাজ পাঁয়জোরে তার ওঠে ঝঙ্কার রিনিঝিনি, মন কয় চিনি চিনি এ কি গো বন-দেবীর সতিনী শিশির ধরে’ পায় আল্তার রঙ্ চায় পাখি তারি গান গায় বনে নিরালা।।