বাণী

মদন	:	আহা! সুনীল নীরদে ঢাকিল অরুণ, নীহারে ঢাকিল শশী।
মধু	:	চন্দন মেখে শুকতারা হাসে মোর বাতায়নে বসি।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (মদনকুমার ও মধুমালার গান)

বাণী

শ্যামলা বরণ বাংলা মায়ের রূপ দেখে যা, আয় রে আয়
গিরি–দরি, বনে–মাঠে, প্রান্তরে রূপ ছাপিয়ে যায়।।
ধানের ক্ষেতে, বনের ফাঁকে, দেখে যা মোর কালো মা–কে
ধূলি–রাঙা পথের বাঁকে বৈরাগিনী বীণ বাজায়।।
ভীরু মেয়ে পালিয়ে বেড়ায় পল্লীগ্রামে এক্‌লাটি
বিজনমাঠে গ্রাম সে বসায় নিয়ে কাদা, খড়, মাটি
কালো মেঘের ঝারি নিয়ে করুণা–বারি ছিটায়।।
কাজলা–দীঘির পদ্মফুলে যায় দেখা তার পদ্ম–মুখ
খেলে বেড়ায় ডাকাত–মেয়ে বনে লয়ে বাঘ–ভালুক
ঝড়ের সাথে নৃত্যে মাতে বেদের সাথে সাপ নাচায়।।
নদীর স্রোতে পাথর নুড়ির কাঁকন চুড়ি বাজে তার
সাঁঝের বারান্দাতে দাঁড়ায় টীপ প’রে সন্ধ্যা–তারার।
ঊষার গাঙে ঘট ভরিতে যায় সে মেয়ে ভোর বেলায়।
হরিত শস্যে লুটায় আঁচল ঝিল্লিতে নূপুর বাজে
ভাটিয়ালি গায় ভাটির স্রোতে গায় বাউল মাঠের মাঝে (মা)।
গঙ্গা–তীরে শ্মশান–ঘাটে কেঁদে কভু বুক ভাসায়।।

বাণী

অশিব শক্তি হতে হে শঙ্কর
অষ্টসিদ্ধিরে কর ত্রাণ, ত্রাণ কর শঙ্কর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

ঝুমকো-লতার চিকন পাতায়
হেরেছি তোমার লাবনি প্রিয়া।
মহুয়া-ফুলের মদির গন্ধে
তোমারই মুখ-মদের অমিয়া।।
শুকতারায় তব নয়নের মায়া,
তমাল-বনে তারি স্নিগ্ধ-ঘন-ছায়া।
তাল পিয়ালে হেরি দীঘল তনু তব,
ইহুদী দুল্ দুলে শশী-লেখায় নব।।
ডালিম-দানাতে তব গালের লালী,
তোমারি সুরে গাহে পিয়া-পাপিয়া।।

বাণী

কঠিন ধরায় ফোটাতে ফসল-ফুল।
কে জানে মহা-সিন্ধু কেন গো হইয়া ওঠে ব্যাকুল।।
	মেঘ হ’য়ে কেন আকাশ ভরিয়া
	বারিধারা রূপে পড়ে গো ঝরিয়া,
কত লোক ভাবে উৎপাত এলো, কত লোক ভাবে ভুল।।
কার বাঁধা-ঘর ভেঙে গেল হায় বোঝে না’ক তাহা মেঘ,
কুলে কুলে আনে ফুলের বন্যা তাহার প্রেমের বেগ।
	জানে না কাহার করিল সে ক্ষতি
	সে জানে স্নিগ্ধ হ’ল বসুমতী,
যে অকূলের পথে টানে, সে বোঝে না ভাসিল কাহার কুল।।

বাণী

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।।
কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি
ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।।
কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার
দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও
যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার!
নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।