মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
বাণী
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা তোরেই সে ডোর খুলতে হবে। খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর (আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।। ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয় মনের কালিমা অমনি হয় লয়, অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়; আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।। শত অপরাধ করে দিনের খেলায় ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়; সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি, মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি। আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।
ওগো মা — ফাতেমা ছুটে আয়
বাণী
ওগো মা — ফাতেমা ছুটে আয়, তোর দুলালের বুকে হানে ছুরি। দ্বীনের শেষ বাতি নিভিয়া যায় মাগো, বুঝি আঁধার হ’ল মদিনা-পুরী।। কোথায় শেরে খোদা, জুলফিকার কোথা, কবর ফেঁড়ে এসো কারবালা যথা — তোমার আওলাদ বিরান হ’ল আজি, নিখিল শোকে মরে ঝুরি’।। কোথায় আখেরী নবী, চুমা খেতে তুমি, যে গলে হোসেনের সহিছ কেমনে? সে গলে দুশমন হানিছে শমসের। রোজ্হাশরে নাকি কওসরের পানি পিয়াবে তোমরা গো গোনাহ্গারে আনি, দেখ না কি চেয়ে, দুধের ছেলেমেয়ে পানি বিহনে মরে পুড়ি।।
ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ
বাণী
ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ প্রাণের বাঁধন ভাঙল রে! আমার মনের পুঞ্জিত মেঘ অরুণ-রঙে রাঙল রে।। নাচ ভুলেছে বনের কেকা দ্বন্দ ভুলে’ হলাম একা, ময়ূরকণ্ঠী শুভ্র-হংস-মালার পরশ লাগল রে।। মেহেদি ফুলের মঞ্জরি মোর মন কেবলি রঙ লুকায়, শিলায় দলি’ রূপের কলি, আল্তা হবো তাহার পায়। জ্বাল দীপালি খোল রে দুয়ার আসে শারদ-জ্যোতির জোয়ার, আবার আনন্দিনীর আগমনের কৃপার আশা জাগল রে।।
তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি
বাণী
তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি', তুমি চাও আমি নিশি-দিন যেন তব নাম ধরে ডাকি।। হে লীলা-বিলাসী অন্তরতম, অন্তর-মধু চাও বুঝি মম গোপনে করিতে পান, ওগো বঁধু, অন্তরালে সে থাকি।। বিরহ তোমার ছল, কেন নাহি বুঝি! আমাতে রহিয়া কাঁদাও আমারে তবু কেন মরি খুঁজি'। ভুলিয়া থাকি সুখের মোহে তাই বুঝি প্রিয় কাঁদাও বিরহে — বন্ধু, ওগো বন্ধু; তুমি অন্তরে এলে রাজ-সমারোহে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি।।