বাণী

ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার নূতন করে সওদা কর।।
জীবন ভ'রে করলি লোকসান আজ হিসাব তার খতিয়ে নে;
বিনিমূলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতী নজর।।
কোরানের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে, লুটে নে সব, ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।
কেয়ামতের বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহুৎ —
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার লও রে ইহার সিল-মোহর।।
আরশ হতে পথ ভুলে এ এলো মদিনা শহর,
নামে মোবারক মোহাম্মদ — পুঁজি 'আল্লাহু আকবর'।।

বাণী

তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি।
দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি।
			আমি ভয় করি কি হরি।।
	আমি শূন্য করে তোমার ঝুলি
	দুঃখ নেব বক্ষে তুলি,
আমি করব দুঃখের অবসান আজ সকল দুঃখ বরি।।
	কত সে মন কত কিছুই
	হজম করে ফেলি নিতুই,
এক মনই তো দুঃখ দেবে তারে নাহি ডরি।।
	তুমি তুলে দিয়ে সুখের দেয়াল,
	ছিলে আমার প্রাণের আড়াল,
আজ আড়াল ভেঙে দাঁড়ালে মোর সকল শূন্য হরি।।

বাণী

কোকিল, সাধিলি কি বাদ।
নিশি অবসান হল না মিটিতে সাধ।।
	মিলনের মোহ কেন
	ডাকিয়া ভাঙিলি হেন,
তুই রে সতিনী যেন — চন্দ্রাবলীর ফাঁদ।।
	সারা নিশি অভিমানে
	চাহিনি শ্যামের পানে,
জেগে দেখি কুহু-তানে — নাহি শ্যামচাঁদ।।
	ননদিনী কুটিলা কি
	পাঠায়েছে তোরে পাখি,
সুরের বাসরে ডাকি’ — আনিলি বিষাদ।।

বাণী

মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।

বাণী

যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'।
তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।।
আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর
দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর।
এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'।
পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় —
ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়।
ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।

বাণী

ভোলো ভোলো ভোলো মান, ভোল আমারে।
আঁধারে যে ফুল ফোটে, ভোলো তাহারে॥
ভুলিতে যদি গো লাগে বুকেতে ব্যথা’
নিঠুর মরম-বাণে না ক’য়ো কথা,
দরদি গো সে-ব্যথারে রাখিবি কাহারে॥