শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা
বাণী
শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয় আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয় তার হৃদয়ের তরে কাঁদি গো হারায়েছি শ্যামের হৃদয়। যে হৃদয় ছিল একা গোপিকার রাধিকার কুবুজা করেছে তারে জয়, সখি গো কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে যে রাধা ছাড়া জানত না সই কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে কুবুজা করেছে তারে জয়। কি হবে মথুরা গিয়া, হেরি সে হৃদয়হীন পাষাণ দেবতায় সে কিছুই দেবে না, দেবতাই বটে গো সে দেবতাই বটে গো পাষাণ খুঁজে না রাধা তার প্রিয় আনন্দঘন শ্যামরায় তোরা যেতে চাস যা লো — ঠাকুর দেখিতে তোরা যেতে চাস যা লো, সখি গো ধরম-করম মম তনু-মন-যৌবন সঁপিনু চরণে যার সে পর-পুরুষ, হ’ল আজি অপরার পুরুষ স্বভাব ভ্রমবার। সে ভ্রমরাই সমতুল ফুলে ফুলে ভ্রমে সে ভ্রমরাই সমতুল তারে, দেখলে ভ্রমে জাতিকুল, ভ্রমরাই সমতুল পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার যা’র হরি ছাড়া বোধ নাই প্রবোধ দিস্নে তায়, সজনী সবারই পোহাবে নিশি, পোহাবে না রাধারই এ আঁধার রজনী॥
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।
ও কে বিকাল বেলা ব’সে
বাণী
ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ। হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ।। বসনের শাসন নাই অঙ্গে তাহার উথ্লে পড়ে মুক্ত-দেহে যৌবন-জোয়ার, খুলে’ খুলে’ পড়ে কেশের কাঁটা বেণীর লেশ।। আঙুলগুলি নাচের ভঙ্গিতে, খেলে বেড়ায় বেণীর বিনুনিতে। কভু বাঁকায় ভুরু কভু বাঁকায় গ্রীবা ঠিক্রে পড়ে আয়নায় রূপের বিভা, জাগে সহসা গালে তা’র সিঁদুর-ডিবার রঙের রেশ।।
আধো-আধো বোল লাজে-বাধো-বাধো বোল
বাণী
আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল ব’লো কানে কানে। যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল ব’লো কানে কানে।। যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায় শরমে মরম-পাতে দোলে আন্মনা, হায় যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল ব’লো কানে কানে।। যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল। যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ — ব’লো কানে কানে।।