বাণী

রংমহলের রংমশাল মোরা আমরা রূপের দীপালি।
রূপের কাননে আমরা ফুলদল কুন্দ মল্লিকা শেফালি।।
	রূপের দেউলে আমি পূজারিণী
	রূপের হাটে মোর নিতি বিকিকিনি,
	নৌবতে আমি প্রাতে আশাবরি,
			আমি সাঁঝে কাঁদি ভূপালী।।
	আমি শরম-রাঙা চোখের নেশা,
	লাল শারাব আমি আঙুর-পেষা,
	আঁখিজলে গাঁথা আমি মোতি-মালা,
			দীপাধারে মোরা প্রাণ জ্বালি।।

বাণী

রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্
	খেজুর পাতার নূপুর বাজায়ে কে যায়।
ওড়না তাহার ঘূর্ণি হাওয়ায় দোলে
	কুসুম ছড়ায় পথের বালুকায়।।
তার ভুরুর ধনুক বেঁকে ওঠে তনুর তলোয়ার,
সে যেতে যেতে ছড়ায় পথে পাথর-কুচির হার।
তার ডালিম ফুলের ডালি গোলাপ-গালের লালি
			ঈদের-চাঁদ ও চায়।।
আরবি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে, বাদ্‌শাজাদা বুঝি
সাহারাতে ফেরে সেই মরীচিকা খুঁজি
কত তরুণ মুসাফির পথ হারালো, হায়!
কত বনের হরিণ মরে তারি-রূপ তৃষায়।।

সিনেমাঃ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে
নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি' বন-মাঝে।।
	বারণ করে তায়
	লতিকা ধরি' পায়
ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে।।
আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে
মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে।
	সে রূপ হেরি' হায়
	মুরলী থামিয়া যায়
পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে।।

বাণী

রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি’ —
নাচিছে আরবি নটিনী বাঁদি।।
বেদুঈনী সুরে বাঁশি বাজে
রহিয়া রহিয়া তাঁবু মাঝে,
সুদূরে সে-সুরে চাহে ঘোম্‌টা তুলিয়া শাহজাদী।।
যৌবন-সুন্দর নোটন কবুতর নাচিছে মরু-নটী
গাল যেন গোলাপ কেশ যেন খেজুর-কাঁদি।।
চায় হেসে হেসে চায় মদির চাওয়ায়,
দেহের দোলায় রং ঝ’রে যায় ঝর্‌ঝর্‌,
ছন্দে দুলে ওঠে মরু মাঝে আঁধি।।

বাণী

রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি যাই চ’লে যাই একা।
শুকতারাতে রইল আমার চোখের জলের লেখা।।
	ফোটার আগে ঝরে যে ফুল
	সঙ্গী আমার সেই সে-মুকুল,
ছায়াপথে জাগে আমার বিদায় পথ-রেখা।।
অনেক ছিল আশা আমার অনেক ছিল সাধ,
ব্যর্থ হ’ল না পেয়ে কা’র আাঁখির পরসাদ।
	দীপ নেভানো শূন্য ঘরে
	এসো না আর খুঁজতে মোরে,
তারার দেশে চন্দ্রলোকে হবে আবার দেখা।।

বাণী

রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥
	মা’র চরণামৃত খেয়ে
	অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে,
দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥
তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে,
মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে।
	মা’র ভক্তের চরণ ধূলি
	নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি
মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥