বাণী

রে অবোধ!		শূন্য শুধু শূন্য ধূলো মাটির ধরা।
শূন্য ঐ		অসীম আকাশ রংবেরং-এর খিলান-করা।।
হাওয়াতে		শূন্য নিমেষ নিমেষে যার হ’য়ে শেষ।
এসেছি		পথিক এ পর-দেশ জীবন-মৃত্যু ভরা।।
হুরী আর		গানের প্রিয়া, সাথে তার শারাব নিয়া
চল ঐ		সবুজ-বিথার ঝর্না-কিনার গোলাব-ঝরা।।
এর অধিক		সুখের বিলাস স্বরগে করিসনে আশ
সে স্বরগ		নাই রে কোথাও এমন উধাও দুখ্-পসরা।।

বাণী

রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে
নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি' বন-মাঝে।।
	বারণ করে তায়
	লতিকা ধরি' পায়
ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে।।
আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে
মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে।
	সে রূপ হেরি' হায়
	মুরলী থামিয়া যায়
পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে।।

বাণী

		রামছাগী গায় চতুরঙ্গ বেড়ার ধারে,
		গাইয়ে ষাঁড়-সাথে বাছুর হাম্বা রবে — ভীষণ নাদ ছাড়ে,
		ফেটে বুঝি গেল কান, প্রাণে মারে!
		শুনিয়া হাই তোলে ভেউ ভেউ রোলে — ভুলোটা পগার পারে।।
তেলেনা: 		ডিম নেরে, তা দেরে, আমি না রে, তুই দেরে,
		নেরে ডিম, দেরে তা, তা দেনা,
		ওদের না না, তাদের না না তুই দেরে ডিম!
		ওদের নারী তাদের নারী দেদার নারী,
		দে রে নারী, যা ধেৎ, টানাটানি!
সরগম:	 	ধ প র ধ র গ, গ র গ ধ, গ র গ ধ,
		ন ধ ম ম, প র ন ম র গ, স র ন ধ স ম।।
তবলার বোল: 	ভেগে যা, মেগে খা, মেরে কেটে খা, মেরে কেটে খা’
		তেড়ে ধরে কাট ধুম, ধরে কেটে রাখুন না রাখুন না,
		কান দুটি যাক তবু কাটা থাক দুম।।

‘চতুরঙ্গ’

বাণী

রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্‌ঝুম্‌
নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।।
	কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে
	বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে
হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।।
	ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি
	ধরণী হলো নবীনা কিশোরী
চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।।
	আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে
	বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে
রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।

বাণী

রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা
পথের মাঝে চম্‌কে’ কে গো থম্‌কে’ যায় ঐ শরম-নতা।।
	কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
	উল্লাসে জল উল্‌সি’ ওঠে,
	অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
			বায় যেন হায় নরম লতা।।
অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে
হান্‌লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্‌বালা এই উর্বশীকে!
	শূন্য তাহার কন্যা হিয়া
	ভর্‌ল বঁধুর বেদ্‌না নিয়া,
	জাগিয়ে গেল পর্‌দেশিয়া
			বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।

বাণী

রহি' রহি' কেন আজো সেই মুখ মনে পড়ে।
ভুলিতে তা'য় চাহি যত, তত স্মৃতি কেঁদে মরে।।
দিয়েছি তাহারে বিদায় ভাসায়ে নয়ন-নীরে,
সেই আঁখি-বারি আজো মোর নয়নে ঝরে।।
হেনেছি যে অবহেলা পাষাণে বাঁধিয়া হিয়া,
তারি ব্যথা পাষাণ সম রহিল বুকে চাপিয়া।
সেই বসন্ত ও বরষা আসিবে গো ফিরে ফিরে,
আসিবে না আর ফিরে অভিমানী মোর ঘরে।।