রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে
বাণী
রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল। আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে, চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে - আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥ শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি, শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি - সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, - যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥ তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে, অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে; মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥
রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
বাণী
রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥ মা’র চরণামৃত খেয়ে অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে, দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥ তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে, মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে। মা’র ভক্তের চরণ ধূলি নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে
বাণী
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে। কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।। কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে, মনের বনের মুকুল খোলে নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।। হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো, মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো। ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’, গরজাক গুরুজন ভবনবাসী — আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।
নাটকঃ ‘অর্জুন বিজয়’
রাঙামাটির পথে লো
বাণী
রাঙামাটির পথে লো মাদল বাজে, বাজে বাঁশের বাঁশি, বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো, মন লাগে না কাজে লো, রইতে নারি ঘরে ওলো প্রাণ হলো উদাসী লো।। মাদলীয়ার তালে তালে অঙ্গ ওঠে দুলে লো, দোল লাগে শাল পিয়াল বনে, নোটন খোঁপার ফুলে লো, মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে মাতাল চাঁদের হাসি লো।। চোখে ভালো লাগে যাকে, তারে দেখবো পথের বাঁকে, তার চাঁচড় কেশে বেঁধে দেবো ঝুমকো জবার ফুল তার গলার মালার কুসুম কেড়ে করব কানের দুল। তার নাচের তালের ইশারাতে বলবো ভালোবাসি লো।।
রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে
বাণী
রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ! আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।। তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে, বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে) এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।। তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে, জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে। আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি, কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে) আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।