রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে
বাণী
রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি' বন-মাঝে।। বারণ করে তায় লতিকা ধরি' পায় ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে।। আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে। সে রূপ হেরি' হায় মুরলী থামিয়া যায় পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে।।
রাধাকৃষ্ণ নামের মালা
বাণী
দ্বৈত : রাধাকৃষ্ণ নামের মালা জপ দিবানিশি নিরালা॥ পুরুষ : অগতির গতি গোকুলের পতি স্ত্রী : শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি দেয় যে শ্রীমতী পুরুষ : ভব-সাগরে কৃষ্ণ নাম ধ্রুবজ্যোতি দ্বৈত : সেই কৃষ্ণের প্রিয়া ব্রজবালা॥ স্ত্রী : পাপ-তাপ হবে দুর হরির নামে শ্রীমতী রাধা যে হরির বামে পুরুষ : ঐ নাম জপি’ যাবি গোলকধামে দ্বৈত : সেই রাধা নাম হবে দুঃখ জ্বালা॥ স্ত্রী : সাধনে সিদ্ধ হবে রাধা ব’লে ডাকো পুরুষ : কৃষ্ণ-মূরতি হৃদি-মন্দিরে রাখো দ্বৈত : জপ রে যুগল নাম রাধাশ্যাম এই আঁধার জগৎ হবে আলো॥
রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি
বাণী
রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি যাই চ’লে যাই একা। শুকতারাতে রইল আমার চোখের জলের লেখা।। ফোটার আগে ঝরে যে ফুল সঙ্গী আমার সেই সে-মুকুল, ছায়াপথে জাগে আমার বিদায় পথ-রেখা।। অনেক ছিল আশা আমার অনেক ছিল সাধ, ব্যর্থ হ’ল না পেয়ে কা’র আাঁখির পরসাদ। দীপ নেভানো শূন্য ঘরে এসো না আর খুঁজতে মোরে, তারার দেশে চন্দ্রলোকে হবে আবার দেখা।।
রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্ঝুম্
বাণী
রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্ঝুম্ নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।। কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।। ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি ধরণী হলো নবীনা কিশোরী চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।। আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।