বাণী

	রাঙামাটির পথে লো মাদল বাজে, বাজে বাঁশের বাঁশি,
	বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো, মন লাগে না কাজে লো,
	রইতে নারি ঘরে ওলো প্রাণ হলো উদাসী লো।।
	মাদলীয়ার তালে তালে অঙ্গ ওঠে দুলে লো,
	দোল লাগে শাল পিয়াল বনে, নোটন খোঁপার ফুলে লো,
	মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে মাতাল চাঁদের হাসি লো।।
	চোখে ভালো লাগে যাকে, তারে দেখবো পথের বাঁকে,
তার 	চাঁচড় কেশে বেঁধে দেবো ঝুমকো জবার ফুল
তার 	গলার মালার কুসুম কেড়ে করব কানের দুল।
তার 	নাচের তালের ইশারাতে বলবো ভালোবাসি লো।।

বাণী

রসুল নামের ফুল এনেছি রে (আয়) গাঁথবি মালা কে
এই মালা নিয়ে রাখবি বেঁধে আল্লা তালাকে॥
	অতি অল্প ইহার দাম
	শুধু আল্লা রসুল নাম
এই মালা প’রে দুঃখ শোকের ভুলবি জ্বালাকে॥
এই ফুল ফোটে ভাই দিনে রাতে (ভাইরে ভাই) হাতের কাছে তোর
ও তুই কাঁটা নিয়ে দিন কাটালি রে তাই রাত হ’ল না ভোর।
	এর সুগন্ধ আর রূপ র’য়ে যায়
	নিত্য এসে তোর দরজায় রে
পেয়ে ভাতের থালা ভুললি রে তুই চাঁদের থালাকে॥

বাণী

রাখিস্‌নে ধরিয়া মোরে, ডেকেছে মদিনা আমায়।
আরাফাত্‌ময়দান হতে তারি তক্‌বীর শোনা যায়।।
কেটেছে পায়ের বেড়ি, পেয়েছি আজাদী ফরমান,
কাটিল জিন্দেগী বৃথাই দুনিয়ার জিন্দান-খানায়।।
ফুটিল নবীর মুখে যেখানে খোদার বাণী
উঠিল প্রথম তক্‌বীর ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি,
যে দেশে পাহাড়ে মুসা দেখিল খোদার জ্যোতি — 
রব না দারুল হরবে যেতে দে যেতে দে সেথায়।।
যে দেশে ধূলিতে আছে হজরতের চরণ-ধূলি
সে ধূলি করিব সুরমা চুমিব নয়নে তুলি’,
যে দেশের মাটিতে আছে নবীজীর মাজার শরিফ — 
নবীজীর দেহের পুষ্প ভাসে রে যে দেশের হাওয়ায়।।

বাণী

রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥

বাণী

রাঙা পির্‌হান প'রে শিশু নবী খেলেন পথে।
দেখে হুর-পরীরা সব লুকিয়ে বেহেশ্‌ত হ'তে।।
মোহনী সুরত বাঁকা চাঁদে চন্দন মাখা।
নূরানী রওশনী তাঁর চমকে দিনের আলোতে।।
নাচের তালে তালে সোনার তাবিজ দোলে,
চরণ তলে ধূলি কাঁদে মোহাম্মদ ব'লে।
নীল রেশমি রুমাল বাঁধা তাঁর চাঁচর কেশে
রাঙা সালোয়ার প'রে নাচে সে হেসে হেসে,
খোদার আরশ টলে সে রূপ-সুধা-স্রোতে।।

বাণী

রাই বিনোদিনী দোলো ঝুলন দোলায়॥
একা লাগে না ভালো
সাথে এসে দোলো শ্যামরায়॥
রাঙা চরণ দেখিতে পাব বলে
ওগো দাঁড়াইয়া এই তরুতলে
শ্যাম বাঁধিয়া বাহু ডোরে
আশ্রয় দাও মোরে একা বড় ভয় পায়॥

চলচ্চিত্রঃ ‘বিদ্যাপতি’