বিদেশি অতিথি সিন্ধু পারে
বাণী
পুরুষ : বিদেশি অতিথি সিন্ধু পারে পথহারা ফিরি দ্বারে দ্বারে। স্ত্রী : বাইরে হিম ঝরে ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বন্ধু এসো এপারে।। পুরুষ : তোমারে বুঝি না বুঝি বা আধেক স্ত্রী : নয়নের ভাষা বঁধু সব দেশে এক, পুরুষ : তুমি ঊষা, ল’য়ে তুষার কর খেলা — ভোরবেলা। স্ত্রী : পুবের তপন সম রাঙাও জীবন মম তোমার কিরণধারে।। পুরুষ : তব কণ্ঠে সুর শুনি হায় সকরুণ স্মৃতি জাগায়, স্ত্রী : বিদেশি চেরী-কুসুমের মালিকা লহ গলায়। উভয়ে : চল যাই যেথা নাই দেশের বন্ধন নাহি গো ক্রন্দন, নিরুদ্দেশের পথে প্রেম অভিসারে।।
বল রাঙা হংসদূতি তা’র বারতা
বাণী
বল রাঙা হংসদূতি তা’র বারতা। দাও তা’র বিরহ-লিপি, বল সে কোথা।। কেমনে কাটে তা’র অলস বেলা আজো কি গাঙের ধারে কাঁদে একেলা, দু’জনের আশা-তরী ডুবিল যথা।। দীপ জ্বালেনি কি কেউ তাহার ঘরে, ভাঙা ঘর বেঁধেছে কি নূতন ক’রে। দেখা হ’লে তা’রে কহিও নিরালায় আমি মরিয়াছি — মোর প্রেম মরেনি, হায়! (মোর) অন্তরে সে আজো অন্তর-দেবতা।।
বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ
বাণী
বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক'রে আজ ফুটলো কি বকুল। অবেলায় কুঞ্জবীথি মুঞ্জরিতে এলে কি বুলবুল। এলে কি পথ ভুলে মোর আঁধার রাতে ঘুম-ভাঙানো চাঁদ, অপরাধ ভুলেছ কি, ভেঙেছে কি অভিমানের বাঁধ। মরণ আজ মধুর হলো পেয়ে তব চরণ রাতুল।। ওগো প্রদীপ নিভে আসে ইহারি ক্ষীণ আলোকে, দেখে নিই শেষ দেখা যত সাধ আছে চোখে। হে চির-সুন্দর মোর, বিদায়-সন্ধ্যা মম রাঙালে এ কি রঙে উদয় ঊষার সম ঝ'রে পড়ুক তব পায়ে আমার এই জীবন-মুকুল।।
বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্
বাণী
আবৃত্তি: কুমারী রাধিকা ঘোষের প্রতি শ্রীমৎ ক্যাগ বিমাতার উক্তি: বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্। বলি কুল আর তুই খাস্নে (রাধে কুল আর তুই খাস্নে) ওলো গোকুল ঘোষের কন্যা যে তুই কুল গাছ পানে চাস্নে (পরের কুল গাছ পানে চাস্নে) ও কুল গাছে বড় কাঁটা গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা (রাধে গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা) কলঙ্ক দিলি (কলঙ্ক দিলি) তুই যারি তারি কুল চুরি করে খেলি গোকুলের কুলে কলঙ্ক দিলি (কুলে কলঙ্ক দিলি) রাধে গো। ওলো ভাবিস এখনও বয়েস হয়নি কারণ বেড়াস ফ্রক পরে। ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক (ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক) তোর কুল খাওয়া বের হবে ফুলে হবি ঢাক (ফুল হবি জয় ঢাক)। বলি পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে (রাধে পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে) ওই কুলেরি কাঁটায় দুকুল ছিঁড়িস বেণী আঁটিস খুলে (রাধে বেণী আঁটিস খুলে) খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল (খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল) অত কুল খেয়ে রাতে পেট ডাকে কুল কুল কুল কুল। ওলো কুলোতে নারি (কুলোতে নারি) ওলো তোর কুল দিয়ে আর কুলোতে নারি (দিয়ে কুলোতে নারি) ছিল কুলুঙ্গীতে কুলের আচার তাও খেয়েছিল কুল খোয়ারী (কুলুঙ্গীর ও কুলের আচার তাও খেয়েছিস কুল খোয়ারী)। ওই কুল গাছ ধরে (সখি গো রাধে গো) (বহুত আচ্ছা দাদা বহুত আচ্ছা বহুত আচ্ছা) ওই কুল গাছ ধরি কোলাকুলি করি ফ্যাসাদ বাধাবি শেষে আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে (আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে)॥
ব্রজগোপী খেলে হোরী
বাণী
ব্রজ–গোপী খেলে হোরী খেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে। রাঙা অধরে ঝরে হাসির কুম্কুম্ অনুরাগ–আবীর নয়ন–পাতে।। পিরীতি–ফাগ মাখা গোরীর সঙ্গে হোরি খেলে হরি উন্মাদ রঙ্গে। বসন্তে এ কোন্ কিশোর দুরন্ত রাধারে জিনিতে এলো পিচ্কারী হাতে।। গোপীনীরা হানে অপাঙ্গ খর শর ভ্রুকুটি ভঙ্গ অনঙ্গ আবেশে জর জর থর থর শ্যামের অঙ্গ। শ্যামল তনুতে হরিত কুঞ্জে অশোক ফুটেছে যেন পুঞ্জে পুঞ্জে রঙ–পিয়াসি মন ভ্রমর গুঞ্জে ঢালো আরো ঢালো রঙ প্রেম–যমুনাতে।।