বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে
বাণী
বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে তার বাঁশির সুর শুনি পবনে॥ রাঙা সে চরণের নূপুর-রোলে রে আকুল এ হৃদয় পুলকে দোলে রে সে নূপুর শুনি’ নাচে ময়ূর কদম তমাল-বনে॥ বুঝি সেই শ্যামের পরশ লাগিল আমার চরণে তাই নাচন জাগিল — ঘিরি শ্যামে দখিন-বামে নেচে বেড়াই আপন মনে॥ এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায় জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায় খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥
ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর কিশোর লীলা-বিলাসী
বাণী
ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর, কিশোর লীলা-বিলাসী সখি গো, আমি তা’রই চিরদাসী। অমৃত-রস-ঘন শ্যামল শোভন, প্রেম-বৃন্দাবন-বাসী॥ চাঁচর চিকুরে শিখী-পাখা যার, গলে দোলে বন-কুসুম হার ললাটে তিলক, কপোলে অলক অধরে মৃদু মৃদু হাসি॥ মকর কুন্ডল দোলে শ্রবণে, বোলে মণি-মঞ্জরি রাতুল চরণে চির অশান্ত, চপল কান্ত বিশ্ব সে রূপ-পিয়াসি॥ বক্ষে শ্রীবৎস কৌস্তুভ শোভে, করে মুরলী ভোলে মধুর রবে, পীত বসনধারী সেই মাধবে যেন যুগে যুগে ভালবাসি॥
বল্ মা শ্যামা বল্ তোর বিগ্রহ কি মায়া জানে
বাণী
বল্ মা শ্যামা বল্ তোর বিগ্রহ কি মায়া জানে। আমি যত দেখি তত কাঁদি ঐ রূপ দেখি মা সকলখানে॥ মাতৃহারা শিশু যেমন মায়ের ছবি দেখে, চোখ ফিরাতে নারে মাগো, কাঁদে বুকে রেখে। তোর মূর্তি মোরে তেমনি ক’রে টানে মাগো মরণ টানে॥ ও-মা, রাত্রে নিতুই ঘুমের ঘোরে দেখি বুকের কাছে, যেন, প্রতিমা তোর মায়ের মত জড়িয়ে মোরে আছে। জেগে উঠে আঁধার ঘরে কাঁদি যবে মা তোরই তরে দেখি প্রতিমা তোর কাঁদছে যেন চেয়ে চেয়ে আমার পানে॥