বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো
বাণী
বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো তোমার নেশায় পথিক-ভ্রমর ব্যাকুল হ'ল গুঞ্জরি' গো।। তুমি মায়ালোকের নন্দিনী ন্দনের আনন্দিনী তুমি ধূলির ধরার বন্দিনী, যাও গহন কাননে সঞ্চরি গো।। মৃদু পরশ-কুঞ্চিতা তুমি বালিকা বল্লভ-ভীতা পল্লব অবগণি্ঠিতা মুকুলিকা। তুমি প্রভাত বেলায় মঞ্জরি লাজে সন্ধ্যায় যাও ঝরি' অরণ্যা-বল্লরি শোভা, পুণ্য পল্লী-সুন্দরী।।
বঁধু তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে
বাণী
বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে। তাই যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে।। বারে বারে মোরা কত সে ভুবনে আসি দেখিয়া নিমেষে দুইজনে ভালোবাসি, দলিয়া সহসা মিলনের সেই মালা (কেন) চলিয়া গিয়াছি দোঁহে।। আমরা বুঝি গো বাঁধিব না ঘর, অভিশাপ বিধাতার। শুধু চেয়ে থাকি, কেঁদে কেঁদে ডাকি, চাঁদ আর পারাবার যেন চাঁদ আর পারাবার। মোদের জীবন-মঞ্জরি দুটি হায়! শতবার ফোটে শতবার ঝ'রে যায়; আমি কাদি ব্রজে (বঁধু), তুমি কাঁদ মথুরায়, মাঝে অপার যমুনা বহে।।
বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার
বাণী
বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার। হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥ এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥ হেথা কেহ কারো বোঝে না মন যারে চাই হেলা হানে সে’ জন যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার। তুমি বুঝিবে না কি অভিমান মিলনের মালা করিল ম্লান উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥
বল দেখি মা নন্দরানী
বাণী
বল দেখি মা নন্দরানী ওগো গোকুলবালা (ওমা) কেমন করে তোদের ঘরে (মা) এলো নন্দলালা। (মা তুই) কোন সাধনায় দধি মথন করে তুললি ননী হৃদয় পাত্র ভরে; তুই সেই নবনি দিয়ে যতন করে (মা তুই) গড়লি কি এই ননীর পুতুল আঁধার চিকনকালা।। অমন রসবিগ্রহ মা গড়তে পারে কে? গোপঝিয়ারি গড়তে পারে কে? গোকুল মেয়ে নস্ তুই মা তুই কুমারের ঝি। (মাগো) তুই নস্ যোগিনী তবু স্বগুণ বলে (মা তুই) শ্রীকৃষ্ণে বাঁধলি উদূখলে (আমায়) সেই যোগ তুই শিখিয়ে দে মা বসেই জপমালা।।
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়
বাণী
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়! তুই নির্ভর কর্ আপনার ‘পর আপন পতাকা কাঁধে তুলে ধর্ ওরে যে যায় যাক্ সে, তুই শুধু বল্ ‘আমার হয়নি লয়’! বল্ ‘আমি আছি’, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির-দুর্জয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! যে গেল সে নিজেরে নিঃশেষ করি’ তোদের পাত্র দিয়ে গেল ভরি’! ঐ বন্ধ মৃত্যু পারেনি ক’ তাঁরে পারেনি করিতে লয়! তাই আমাদের মাঝে নিজেরে বিলায়ে সে আজি শান্তিময় বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে রুদ্র তখনি ক্ষুদ্রেরে গ্রাসে আগেই যবে সে ম’রে থাকে ত্রাসে ওরে আপনার মাঝে বিধাতা জাগিলে বিশ্বে সে নির্ভয় এই ক্ষুদ্র কারায় কভু কি ভয়াল ভৈরব বাঁধা রয়? বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে আত্ম-অবিশ্বাসী, ভয়ে-ভীত! কেন হেন ঘন অবসাদ চিত বল্ পর-বিশ্বাসে পর-মুখপানে চেয়ে কি স্বাধীন হয়? তুই আত্মাকে চিন্, বল আমি আছি,’ ‘সত্য আমার জয়’! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!