বাণী

বসিয়া নদী-কূলে,এলোচুলে			কে উদাসিনী
কে এলে, পথ ভুলে, এ অকূলে		বন-হরিণী।।
কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায়		কুল-বধূরা,
কেঁদে যায় ফুলে, ফুলে, পদমূলে,		সাঁঝ-তটিনী।।
দলিয়া কত ভাঙা-মন, ও চরণ,		করেছ রাঙা
কাঁদায়ে কত না দিল, এলে নিখিল		মন-মোহিনী।।
হারালি গোধূলি-লগন কবি,			কোন নদী কিনারে,
একি সেই স্বপন-চাঁদ, পেতেছে ফাঁদ		প্রিয়ার সতিনী।।

বাণী

বরণ করে নিও না গো নিও হরণ ক’রে।
ভীরু আমায় জয় কর গো তোমার মনের জোরে।।
	পরান ব্যাকুল তোমার তরে
	চরণ শুধু বারণ করে,
লুকিয়ে থাকি তোমার আশায় রঙিন বসন প’রে।।
লজ্জা আমার ননদিনী জটিলারই প্রায়,
যখনই যাই, শ্যামের কাছে দাঁড়ায়ে আছে ঠায়।
	চাইতে নারি চোখে চোখে
	দেখে পাছে কোন লোকে,
নয়নকে তাই শাসন (বারণ) করি অশ্রুজলে ভ’রে।।

বাণী

বাঁশি বাজায় কে কদম তলায় ওলো ললিতে
শুনে সরে না পা পথ চলিতে।।
তার বাঁশির ধ্বনি যেন ঝুরে ঝুরে
আমারে খোঁজে লো ভুবন ঘুরে
(ওসে) কি যেন চাহে মোরে বলিতে।।
আছে গোকুল নগর আরো কত নারী
কত রূপবতী বৃন্দাবন-কুমারী
	আছে গোকুল নগরে।
কেন আমারি নাম লয়ে বংশীধারী
আসে নিতি-নিতি মোরে ছলিতে।
সখি নির্মল কুলে মোর কৃষ্ণ -কালি
কেন লাগালে কালিয়া বনমালী
আমার বুকে দিল তুষের আগুন জ্বালি
আরো কত জনম যাবে জ্বলিতে।।

বাণী

বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে শান্তি ত’ নাহি পাই।
রূপ ধরে এসো, দাঁড়াও সুমুখে, দেখিয়া আঁখি জুড়াই॥
	আমার মাঝারে যদি তুমি রহ
	কেন তবে এই অসীম বিরহ
কেন বুকে বাজে নিবিড় বেদনা মনে হয় তুমি নাই॥
চাঁদের আলোকে ভরে না গো মন, দেখিতে চাই যে চাঁদ,
ফুলর গন্ধ পাইলে, জাগে যে ফুল দেখিবার সাধ।
	(ওগো) সুন্দর, যদি নাহি দেবে ধরা
	কেন প্রেম দিলে বেদনায় ভরা
রূপের লাগিয়া কেন প্রাণ কাঁদে রূপ যদি তব নাই॥

বাণী

পুরুষ	:	(বেয়ান, বলি ও বেয়ান ঠাকরুন)
		বেয়ান তোমার আলু চেরা চোখে আমি মরে আছি
স্ত্রী	:	বেয়াই আমি তাইতো তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
		ও তোমার গোদা পায়ে শরণ যাচি।
পুরুষ	:	(বলি ও বয়ান তোমার)
		দাঁতে ছাতা গালে ছুলি গলায় পেটে কোলাকুলি
		আমি দেখেই ছুটি কাছা খুলি
		(আমি) দেখেই ছুটি ও আমার কাছা খুলে গো
		দেখেই ছুটি হরিবোল বোলে রে
		দেখেই ছুটি ও হরিবোল বোলে রে
		আমি কাছা খুলে বাহু তুলে দেখেই ছুটি।
স্ত্রী	:	(বলি ও বেয়াই, ও কাছা তো নয়) এ যে লেজুড়েরি কাছাকাছি।
পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান ঠাকরুন তোমার)
		ফোকলা দাঁতে প্রেমের বুলি শুনেই কাঁধে নিলেম ঝুলি।
স্ত্রী	:	(বুঝি গৌর নামের ঝুলি, বলি ও বেয়াই উঁ)
		বেয়াই নিয়ে এবার যাবে রাঁচি
		যাবে রাঁচি গৌর হে ওহে গৌর (যাবে রাঁচি)
		কাছা খুলে বাহু তুলে যাবে রাঁচি (তুমি)।
পুরুষ	:	(বলি ও বেয়ান)
		ভাগলপুরি বিবির মতন নাদুস নুদুস কি সে গঠন
স্ত্রী	:	(বলি ও হামদো বুড়ো) তুমি মাম্‌দো ভূত যে চামড়া খেকো
		ও আমায় করতে এলে আমড়া গাছি।

বাণী

বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে এসো কিশোর বংশীধারী।
চূড়ায় আঁধার ময়ূর-পাখা বামে লয়ে রাধাপ্যারী।।
	আমার আঁধার প্রাণের মাঝে
	এসো অভিসারের সাজে,
নয়ন-জলের যমুনাতে উজান বেয়ে ছুটুক বারি।।
এমনি চোখে তোমায় আমি দেখতে যদি না পাই হরি,
দেখাও পদ্মপলাশ আঁখি, তোমার প্রেমে অন্ধ করি’।
হরি হে, ঘুচাও এবার মায়ার বেড়ী,
	পরাও তিলক কলঙ্কেরি,
শ্যাম রাখি কি কুল রাখি’ ভাব শ্যাম হে আর সইতে নারি।।