বনে যায় আনন্দ-দুলাল
বাণী
বনে যায় আনন্দ-দুলাল বাজে চরণে নূপুরের রুনুঝুনু তাল বনে যায় গোঠে যায়। ও কি নন্দ-দুলাল, ও কি ছন্দ-দুলাল ও কি নন্দন-পথ, ভোলা নৃত্য-গোপাল।। বেণু-রবে ধেনুগণ আগে যেতে পিছে চায় ভক্তের প্রাণ গ'লে উজান বহিয়া যায় লুকিয়ে দেখিতে এলো দেবতারি দল (তায়) হয়ে কদম তমাল- ব্রজ-গোপিকার প্রাণ তার চরণে নূপুর শ্রীমতী রাধিকা তার বাশরির সুর। সে যে ত্রিলোকের স্বামী তাই ত্রিভঙ্গ-রূপ করে বিশ্বের রাখালি সে চির-রাখাল।।
বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও
বাণী
বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও ভীম বজ্র-বিষাণে দুর্জয় মহা-আহ্বান তব। বাজাও! অগ্নি তূর্য কাঁপাক সূর্য বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নট-মল্লার দীপক-রাগে জ্বলুক তড়িৎ-বহ্নি আগে, ভেরির রন্ধ্রে মেঘ-মন্দ্রে জাগাও বাণী জাগ্রত নব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি ভিক্ষুকের এ লজ্জা-বৃত্তি, বিনাশ জাতির দারুণ এ লাজ, দাও তেজ দাও মুক্তি-গরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! খুন দাও নিশ্চল এ হস্তে শক্তি-বজ্র দাও নিরস্ত্রে, শীর্ষ তুলিয়া বিশ্বে মোদেরও দাঁড়াবার পুন দাও গৌরব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! ঘুচাতে ভীরুর নীচতা দৈন্য প্রের হে তোমার ন্যায়ের সৈন্য, শৃঙ্খলিতের টুটাতে বাঁধন আন আঘাত প্রচন্ড আহব।। দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নিবীর্য্য এ তেজঃসূর্য্যে, দীপ্ত কর হে বহ্নি-বীর্য্যে, শৌর্য, ধৈর্য্য মহাপ্রাণ দাও, দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব।।
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
বাণী
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে পানিয়া ভরণে চলো লো গোরী চলো জলে চলো কাঁদে বনতল ডাকে ছলছল জল-লহরি।। দিবা চ’লে যায় বলাকা-পাখায় বিহগের বুকে বিহগী লুকায়। কেঁদে চখা-চাখি মাগিছে বিদায় বারোয়াঁর সুরে ঝুরে বাঁশরি।। ওগো বে-দরদি ও রাঙা পায়ে মালা হয়ে কে গো গেল জড়ায়ে। তব সাথে কবি পড়িল দায়ে পায়ে রাখি তারে না গলে পরি।।