বাণী

দূর দ্বীপ–বাসিনী, চিনি তোমারে চিনি।
দারুচিনির দেশের তুমি বিদেশিনীগো, সুমন্দভাষিণী।।
	প্রশান্ত সাগরে
	তুফানে ও ঝড়ে
শুনেছি তোমারি অশান্ত রাগিণী।।
বাজাও কি বুনো সুর পাহাড়ি বাঁ‍শিতে?
বনান্ত ছেয়ে যায় বাসন্তী–হাসিতে।
	তব কবরী–মূলে
	নব এলাচীর ফুল দুলে
		কুসুম–বিলাসিনী।।

বাণী

	দে জাকাত, দে জাকাত, তোরা দে রে জাকাত।
	তোর দিল্‌ খুলবে পরে ওরে আগে খুলুক হাত।।
	দেখ পাক্‌ কোরআন শোন্‌ নবীজীর ফরমান
	ভোগের তরে আসেনি দুনিয়ায় মুসলমান।
তোর	একার তরে দেননি খোদা দৌলতের খেলাত।।
তোর	দর্‌ দালানে কাঁদে ভুখা হাজারো মুসলিম
আছে	দৌলতে তোর তাদেরও ভাগ, বলেছেন রহিম।
	বলেছেন রহমানুর রহিম, বলেছেন রসুলে করিম।
	সঞ্চয়ে তোর সফল হবে পাবি রে নাজাত।।
	এই দৌলত বিভব রতন যাবে না তোর সাথে
	হয়তো চেরাগ জ্বলবে না তোর গোরে শবেরাতে।
	এই জাকাতের বদলাতে পাবি বেহেশ্‌তী সওগাত।।

বাণী

		দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি ক্বাবার পানে।
		পড়িব নামাজ মা'রফাতের আরফাত ময়দানে।।
		খোদার ঘরের দিদার পাইব, হজ্জের পথের জ্বালা জুড়াইব,
(মোর)	মুর্শিদ হয়ে হজরত পথ দেখান সুদূর পানে।।
		রোজা রাখা মোর সফল হইবে, পাবো পিয়াসার পানি;
		আবে জম্‌জম্‌ তৌহিদ পিয়ে ঘুচাব পথের গ্লানি।
		আল্লার ঘর তওয়াফ করিয়া কাঁদিব সেথায় পরান ভরিয়া,
		ফিরিব না আর, কোরবানি দেবো এই জান সেইখানে।।

বাণী

[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা]
		দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
		এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥
		ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা
		আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥
		উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ
		ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ
		শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি
		গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥
(আর)		ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে
		কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে।
		পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে
(ওগো)	কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি।
		গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ
		ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প।
		সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে
		দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি
		হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি
		এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে
		ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে
		হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥

বাণী

দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ,
আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব।
	জানি জানি হে উদাসীন
	দুঃখ পাব অন্ত বিহীন
বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।।
তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে,
সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে।
	দয়া যে চায় যাচুক চরণ
	আমার আশা করব বরণ
বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।

বাণী

দিনের সকল কাজের মাঝে
		তোমায় মনে পড়ে।
কাজ ভুলে যাই (আমি), মন চ’লে যায়
		সুদূর দেশান্তরে।।
	তুলসী তলায় দীপ জ্বালিয়ে
	দূর আকাশে রই তাকিয়ে,
সাঁঝের ঝরা ফুলের মতো অশ্রু বারি ঝরে।।
আঁধার রাতে বাতায়নে একলা ব’সে থাকি,
চাঁদকে শুধায় তোমার কথা ঘুমহারা মোর আঁখি।
	প্রভাত বেলায় গভীর ব‍্যথায়
	মন কেঁদে কয় তুমি কোথায়,
শূন্য লাগে এ তিন ভুবন প্রিয় তোমার তরে।।