বাণী

দুলে চরাচর হিন্দোল-দোলে
বিশ্বরমা দোলে বিশ্বপতি-কোলে।।
গগনে রবি-শশী গ্রহ-তারা দুলে,
তড়িত-দোলনাতে মেঘ ঝুলন ঝুলে।
	বরিষা-শত-নরী
	দুলিছে মরি মরি,
	দুলে বাদল-পরী
		কেতকী-বেণী খোলে।।
নদী-মেঘলা দোলে, দোলে নটিনী ধরা,
দুলে আলোক নভ-চন্দ্রাতপ ভরা।
করিয়া জড়াজড়ি দোলে দিবস-নিশা,
দোলে বিরহ-বারি, দোলে মিলন-তৃষা।
	উমারে লয়ে বু’কে
	শিব দুলিছে সুখে,
	দোলে অপরূপ
		রূপ-লহর তোলে।।

বাণী

দুঃখ-ক্লেশ-শোক-পাপ-তাপ শত
শ্রান্তি মাঝে হরি শান্তি দাও দাও॥
কান্ডারি হে আমার, পার কর কর পার,
উত্তাল তরঙ্গ অশান্তি পারাবার,
অভাব দৈন্য শত হৃদি-ব্যথা-ক্ষত,
যাতনা সহিব কত প্রভু কোলে তুলে নাও।।
হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু,
অম্বর ব্যাপি’ ঝরে তব কৃপা-বিন্দু,
মরুর্‌ মতন চেয়ে আছি নব ঘনশ্যাম —
আকুল তৃষ্ণা ল’য়ে প্রভু পিপাসা মিটাও॥

বাণী

দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে অধীর আনন্দে
তরঙ্গে দুলে আজি নাইয়া রণ-তুরঙ্গ-ছন্দে।।
অশান্ত অম্বর-মাঝে মৃদঙ্গ গুরুগুরু বাজে,
আতঙ্কে থরথর অঙ্গ মন অনন্তে বন্দে।।
ভূজঙ্গী দামিনীর দাহে দিগন্ত শিহরিয়া চাহে,
বিষন্ন ভয়-ভীতা যামিনী খোঁজে সেতারা চন্দে।।
মালঞ্চে এ কি ফুল-খেলা, আনন্দে ফোটে যূথী বেলা,
কুরঙ্গী নাচে শিখী-সঙ্গে মাতি’ কদম্ব-গন্ধে।।
একান্তে তরুণী তমালী অপাঙ্গে মাঝে আজি কালি,
বনান্তে বাঁধা প’ল দেয়া কেয়া-বেণীর বন্ধে।।
দিনান্তে বসি’ কবি একা পড়িস্‌ কি জলধারা-লেখা,
হিয়ায় কি কাঁদে কুহু-কেকা আজি অশান্ত দ্বন্দ্বে।।