কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি
বাণী
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি’ রহি’।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতীন-সাথে সে যে ঘুরে মরে কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি।। কাজল করি’ যারে রাখি গো আঁখি-পাতে স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপনে অশ্রু-সাথে। বুকে তায় মালা করি’ রাখিলে যায় সে চুরি বাঁধিলে বলয়-সাথে মলয়ায় যায় সে উড়ি’ কি দিয়ে সে উদাসীর মন মোহি’।।
কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়
বাণী
কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়, সে ফিরে ফিরে চায় করুণ চোখে। তার স্মৃতি মেশা হায়, চেনা-অচেনায় তারে দেখেছি কোথায় যেন সে-কোন্ লোকে।। শুনি স্বপ্নে তারি যেন বাঁশি মন-উদাসী তারি বার্তা আসে নব মধু-মাসে, পলাশ আশোকে।। কৃষ্ণচূড়া তার মালা লুটায় — চৈত্র-শেষে বনের ধূলায় কান্না-বিধুর তার ভৈরবী সুর প্রভাতী তারায় অশ্রু ঘনায়, চির-বিরহী চিনি ওকে।।
কাজরি গাহিয়া এসো গোপ-ললনা
বাণী
কাজরি গাহিয়া এসো গোপ-ললনা। শ্রাবণ-গগনে দোলে মেঘ-দোলনা।। পর সবুজ-ঘাগরি চোলি নীল ওড়না, মাখো অধরে মধুর হাসি, চোখে ছলনা।। কদম-চন্দ্রহার প’রে এসো চন্দ্রাবলী তমাল-শাখা-বরণা এসো বিশাখা-শ্যামলী, বাজায় করতাল দূরে তাল-বনা।। লাবনি-বিগলিতা এসো সকরুণ ললিতা যমুনা-কূলে এসো ব্রজবধূ কুল-ভীতা, অলকে মাখিয়া নব জল-কণা।।
কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে
বাণী
কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে হেসে নদীকুলে এলো হেলে দুলে! নূপুর রিনিকি ঝিনি বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।। দূরে মন উদাসি বাজে বাঁশের বাঁশি, বকুল-শাখে পাপিয়া ডাকে — হেরিয়া বুঝি এই বন-বালিকায় রঙিন সাজে রে, বাজে রে।। এ বুঝি নদীর কেউ তাই অধীর হলো জলে ঢেউ। চন্দন-মাখা যেন চাঁদের পুতলি, যত চলে তত রূপ ওঠে উথলি মেঘে লুকালো পরী লাজে রে, বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।