কোন্ মহাব্যোমে ধ্বনি ওঠে ওম্
বাণী
কোন্ মহাব্যোমে ধ্বনি ওঠে ওম্, আদি আকাশ বাণী। কোন্ মহামৌনীর ধ্যান ভাঙে কোন্ বিরহের বীণাপাণি — নাহি জানি নাহি জানি।। নিথর শূন্য অসীমে কোথায় কে সে প্রণব-শঙ্খ বাজায়, সেই ধ্বনি বুঝি জ্যোতির্জ্জগতে বাহিরে আনিছে টানি।। কোন্ অজানার অলখ-জটায় কথার গঙ্গা কাঁদে কোন্ মায়াতীত সুন্দর হ’ল পড়িয়া মায়ার ফাঁদে। কার সাথে এত কথা কহিবার এত সে-গোপন সাধ ছিল তার, তাহারি বাঁশরি-ধ্বনির কথা কি ব্রজে হয় কানাকানি।।
কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো
বাণী
কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো? ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।। কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ! যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ! মোর তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো! তাই তারায় সে দেখে নাই।। রাখে লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো) কোটি আলোর সহস্র দল তোর রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।। তোর নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা ঝিকিমিকি করে গো — মা তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল ফোটে আবার ঝরে গো — তুমি হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।
কত দূরে তুমি ওগো আঁধারের সাথি
বাণী
কত দূরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথি। হাত ধর মোর নিভিয়া গিয়াছে বাতি।। চলিতে চলিতে তোমার তীর্থ-পথে হারায়ে গিয়াছি অন্ধকারের স্রোতে, এসে তু’লে লও তোমার সোনার রথে — (লহ) প্রভাতের তীরে, শেষ হয় যথা রাতি।। যে ধ্রুব-তারার পথ দেখাইয়া নীরবে চলেছ তুমি, সে-পথ ভুলিয়া আসিলাম মায়া-তৃষ্ণার মরুভূমি। সাড়া নাহি পাই আর আজ ডেকে ডেকে কাঁদিছ কি তুমি মোরে সাথে নাহি দেখে? হয়ত ফিরিবে অমৃতের তীর থেকে — সেই আশে আছি পথ পানে আঁখি-পাতি’।।
কত আর এ মন্দির দ্বার হে প্রিয় রাখিব খুলি
বাণী
কত আর এ মন্দির দ্বার, হে প্রিয়, রাখিব খুলি' বয়ে যায় যে লগ্নের ক্ষণ, জীবনে ঘনায় গোধূলি।। নিয়ে যাও বিদায়-আরতি, হ'ল ম্লান আঁখির জ্যোতি; ঝরে যায় শুষ্ক স্মৃতির মালিকা-কুসুমগুলি।। কত চন্দন ক্ষয় হ'ল হায়, কত ধূপ পুড়িল বৃথায়; নিরাশায় সে পুষ্প কত ও পায়ে হইল ধূলি।। ও বেদী-তলে কত প্রাণ — হে পাষাণ নিলে বলিদান; তবু হায় দিলে না দেখা — দেবতা, রহিলে ভুলি'।।
কুনুর নদীর ধারে ঝুনুর ঝুনুর বাজে
বাণী
পুরুষ : কুনুর নদীর ধারে ঝুনুর ঝুনুর বাজে বাজে বাজে লো ঘুঙুর কাহার পায়ে। স্ত্রী : হাতে তল্তা বাঁশের বাঁশি মুখে জংলা হাসি কে ঐ বুনো গো বড়ায় আদুল গায়ে।। পুরুষ : তার ফিঙের মত এলোখোঁপায় ঝিঙেরি ফুল স্ত্রী : যেন কালো ভোম্রার গা কালার ঝামর চুল। দ্বৈত : ও যদি না হতো পর দু’জনের হতো ঘর একই গাঁয়ে গো।। পুরুষ : ওর বাঁকা ভঙ্গিমা দেখে তৃতীয়ার চাঁদ ডেকে, হতে চাহে ওর হাঁসুলি-হার। স্ত্রী : ঝিলের শঙ্খ ঝিনুক বলে কিনুক বিনামূলে আমরা হব কালার কণ্ঠেরই হার। পুরুষ : ও মেয়ে না পাহাড়ি-ঝর্নার সুর স্ত্রী : ও পুরুষ না কষ্টি পাথরের ঠাকুর দ্বৈত : যদি বাসত ভালো, যদি আসত কাছে রাখতাম হিয়ায় লুকায়ে গো।।