কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো
বাণী
কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো খোঁপা খুলে কেশ হলো বাউল লো।। পথে সে বাজালো মোহন–বাঁশি তোর ঘরে ফিরে যেতে হলো এ ভুল লো।। কে নিল কেড়ে তোর পৈঁচী চুড়ি বৈঁচি মালায় ছি ছি খোয়ালি কুল লো।। ও সে বুনা পাগল পথে বাজায় মাদল পায়ে ঝড়ের নাচন শিরে চাঁচর চুল লো।। দিল নাকেতে নাকছাবি বাবলা ফুলি কুঁচের চুড়ি আর ঝুঁমকো ফুল দুল লো।। সে নিয়ে লাজ দু’কূল দিল ঘাঘরি সে আমার গাগরি ভাসালো জলে বাতুল লো।।
নাটকঃ মহুয়া
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু
বাণী
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম। বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম।। পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায় দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম।।
নাটকঃ‘সাবিত্রী’
কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি
বাণী
কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি ঝিনুকের বুকে লুকিয়ে থাকে যেমন মোতি।। ঐ কলমা জপে যে ঘুমের আগে ঐ কলমা জপিয়া যে প্রভাতে জাগে, দুখের সংসার যার সুখময় হয়, তা’র — তার মুসিবত আসে নাকো, হয় না ক্ষতি।। হরদম জপে মনে কলমা যে জন খোদায়ী তত্ত্ব তা’র রহে না গোপন দিলের আয়না তার হয়ে যায় পাক সাফ আল্লার রাহে তার রহে মতি। সদা আল্লার রাহে তার রহে মতি।। এসমে আজম হতে কদর ইহার পায় ঘরে ব’সে খোদা রসুলের দিদার তাহারি হৃদয়াকাশে সাত বেহেশত নাচে আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি। তার আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।
কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও
বাণী
কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়। আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।। হাজিদের ঐ যাত্রা-পথে দাঁড়িয়ে আছি সকাল হ’তে, কেঁদে’ বলি, কেউ যদি মোর সালাম নিয়ে যায়।। পঙ্গু আমি, আরব সাগর লঙ্ঘি কেমন ক’রে, তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি প’ড়ে। বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ মোর সালাম নিয়ে গেল না কেউ, তুই দিস্ মোর সালামখানি মরুর ‘লু’-হাওয়ায়।।
কালো জল ঢালিতে সই
বাণী
কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে। কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥ কালো জলে দীঘির বুকে কালায় দেখি নীল-শালুকে (আমি) চম্কে উঠি, ডাকে যখন কালো কোকিল বনে॥ কল্মিলতার চিকন পাতায় দেখি আমার শ্যামে লো পিয়া ভেবে দাঁড়াই গিয়ে পিয়াল গাছের বামে লো। উড়ে গেলে দোয়েল পাখি ভাবি কালার কালো আঁখি আমি নীল শাড়ি পরিতে নারি কালারি কারণে লো কালারি কারণে॥