কাছে তুমি থাকো যখন তখন আমি দিই না ধরা
বাণী
কাছে তুমি থাকো যখন তখন আমি দিই না ধরা। দূরে থেকে কাঁদো যখন তখনি হই স্বয়ম্বরা।। তখন তোমার অভিসারে মন ছুটে যায় অন্ধকারে তখন ওঠে বিরহেরি ব্যাকুল রোদন পাগল পারা।। প্রিয়, তুমি যবে রহ পাশে — কেন এতো ভয় জাগে গো, কেন মনে দ্বিধা আসে! ভিক্ষা যখন চাও ভিখারি হাত কাঁপে গো দিতে নারি, তুমি চ'লে গেলে লুকিয়ে কাঁদি ভিক্ষা নিয়ে আঁচল ভরা।।
কেন আসিলে ভালোবাসিলে
বাণী
কেন আসিলে ভালোবাসিলে দিলে না ধরা জীবনে যদি। বিশাল চোখে মিশায়ে মরু চাহিলে কেন গো বে–দরদী।। ছিনু অচেতন আপনা নিয়ে কেন জাগালে আঘাত দিয়ে তব আঁখিজল সে কি শুধু ছল একি মরু হায় নহে জলধি।। ওগো কত জনমের কত সে কাঁদন করে হাহাকার বুকেরি তলায় ওগো কত নিরাশায় কত অভিমান ফেনায়ে ওঠে গভীর ব্যথায়। মিলন হবে কোথায় সে কবে কাঁদিছে সাগর স্মরিয়া নদী।।
কবি সবার কথা কইলে এবার
বাণী
কবি, সবার কথা কইলে, এবার নিজের কথা কহ।১ (কেন) নিখিল ভুবন অভিমানের আগুন দিয়ে দহ।। কে তোমারে হান্ল হেলা, কবি! (হায়!) সুরে সুরে আঁক কি গো সেই বেদনার ছবি? কা’র বিরহ রক্ত ঝরায় বক্ষে অহরহ।। কোন্ ছন্দময়ীর ছন্দ দোলে আমার গানে গানে, তোমার সুরের স্রোত ব’য়ে যায় কাহার প্রেমের টানে গো — কাহার চরণ পানে? কাহার গলায় ঠাঁই পেল না ব’লে (তব) কথার মালা ব্যথার মত প্রতি হিয়ায় দোলে, (তোমার) হাসিতে যে বাঁশি বাজে, সে ত’ তুমি নহ।।
১. সবার কথা কইলে কবি নিজের কথা কহ।
কি হবে জানিয়া বল
বাণী
কি হবে জানিয়া বল কেন জল নয়নে তুমি তো ঘুমায়ে আছ সুখে ফুল-শয়নে।। তুমি কি বুঝিবে বালা কুসুমে কীটের জ্বালা, কারো গলে দোলে মালা কেহ ঝরে পবনে।। আকাশের আঁখি ভরি’ কে জানে কেমন করি’ শিশির পড়ে গো ঝরি’, ঝরে বারি শাওনে। নিশীথে পাপিয়া পাখি এমনি তো ওঠে ডাকি’ তেমনি ঝুরিছে আঁখি বুঝি বা অকারণে।। কে শুধায়, আঁধার চরে চখা কেন কেঁদে মরে, এমনি চাতক-তরে মেঘ ঝুরে গগনে।। কারে মন দিলি কবি, এ যে রে পাষাণ-ছবি এ শুধু রূপের রবি নিশীথের স্বপনে।।