বাণী

কল-কল্লোলে ত্রিংশ কোটি-কণ্ঠে উঠেছে গান
জয় আর্যাবর্ত, জয় ভারত, জয় হিন্দুস্থান।।
শিরে হিমালয় প্রহরী, পদ বন্দে সাগর যাঁর,
শ্যাম বনানী কুন্তলা রানী জন্মভূমি আমার।
	ধূসর কভু উষর মরুতে,
	কখনো কোমল লতায় তরুতে,
কখনো ঈশানে জলদ-মন্দ্রে বাজে-মেঘ বিষাণ।।
সকল জাতি সকল ধর্ম পেয়েছে হেথায় টাই
এসেছিল যারা শত্রুর রূপে, আজ সে স্বজন ভাই।।
	বিজয়ীর বেশে আসিল যাহারা,
	আজি মা’র কোলে সন্তান তারা,
(তাই) মা’র কোল নিয়ে করে কাড়াকাড়ি হিন্দু মুসলমান।।
জৈন পার্শী বৌদ্ধ শক্তি খ্রিস্টান বৈষ্ণব
মা’র মমতায় ভুলিয়া বিরোধ এক হয়ে গেছে সব।
	ভুলি’ বিভিন্ন ভাষা আর বেশ
	গাহিছে সকলে আমার স্বদেশ
শত দল মিলে’ শতদল হ’য়ে করিছে অর্ঘ্য দান।।

বাণী

		কোথা চাঁদ আমার!
		নিখিল ভুবন মোর ঘিরিল আঁধার।।
ওগো		বন্ধু আমার, হ’তে কুসুম যদি,
		রাখিতাম কেশে তুলি’ নিরবধি।
		রাখিতাম বুকে চাপি’ হ’তে যদি হার।।
আমার		উদয়-তারার শাড়ি ছিঁড়েছে কবে,
		কামরাঙা শাঁখা আর হাতে কি রবে।
		ফিরে এসো, খোলা আজো দখিন-দুয়ার।।

বাণী

কেন আসিলে যদি যাবে চলি’।
গাঁথিলে না মালা ছিঁড়ে ফুল-কলি।।
কেন বারে বারে আসিয়া দুয়ারে
ফিরে গেলে ‘পারে কথা নাহি বলি’,
কী কথা বলিতে, আসিয়া নিশীথে,
শুধু ব্যথা-গীতে গেলে মোরে ছলি’।।
প্রভাতের বায়ে কুসুম ফুটায়ে,
নিশীথে লুকায়ে উড়ে গেল অলি।।
কবি শুধু জানে, কোন্ অভিমানে,
চাহি যারে গানে কেন তা’রে দলি।।

বাণী

কে দিল খোঁপাতে ধুঁতুরা ফুল লো
খোঁপা খুলে কেশ হলো বাউল লো।।
পথে সে বাজালো মোহন–বাঁশি
তোর ঘরে ফিরে যেতে হলো এ ভুল লো।।
কে নিল কেড়ে তোর পৈঁচী চুড়ি
বৈঁচি মালায় ছি ছি খোয়ালি কুল লো।।
ও সে বুনা পাগল পথে বাজায় মাদল
পায়ে ঝড়ের নাচন শিরে চাঁচর চুল লো।।
দিল নাকেতে নাকছাবি বাবলা ফুলি
কুঁচের চুড়ি আর ঝুঁমকো ফুল দুল লো।।
সে নিয়ে লাজ দু’কূল দিল ঘাঘরি
সে আমার গাগরি ভাসালো জলে বাতুল লো।।

নাটকঃ মহুয়া

বাণী

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
	কে বলে মোর মা-কে কালো,
	মায়ের হাসি দিনের আলো
মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।

বাণী

কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে।
অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।।
বন্ধু আমার আস্‌বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে
মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে,
যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।।
তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে
রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে,
তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।