কিশোরী মিলন-বাঁশরি
বাণী
কিশোরী, মিলন-বাঁশরি শোন বাজায় রহি’ রহি’ বনের বিরহী — লাজ বিসরি’ চল জল্কে। তার বাঁশরি শুনি’ কথার কুহু ডেকে ওঠে কুহুকুহু - মুহুমুহু; রস-যমুনা-নীর হ’ল অধীর, রহে না থির; ও তার দু-কূল ছাপায়ে তরঙ্গদল ওঠে ছল্কে॥ কেন লো চম্কে দাঁড়ালি থম্কে — পেলি দেখতে কি তোর প্রিয়তম্কে! পেয়ে তারি কি দেখা নাচিছে কেকা, হ’ল উতলা মৃগ কি দেখে চপল্কে॥
নাটকঃ ‘চক্রব্যূহ’
কলঙ্কে মোর সকল দেহ হলো কৃষ্ণময়
বাণী
কলঙ্কে মোর সকল দেহ হলো কৃষ্ণময় শ্যামের নামে হউক এবার আমার পরিচয়।। কলঙ্কিনীর তিলক এঁকে কলঙ্ক-চন্দন মেখে' আমি শোনাব গো ডেকে ডেকে কলঙ্কেরি জয়, কৃষ্ণ-কলঙ্কেরি জয়।। ভুবনে মোর ঠাঁই পেয়েছি ভবন হতে নেমে' হয়ে বৈরাগিনী আমার কৃষ্ণ-প্রিয়তমের প্রেমে। যারে কৃষ্ণ টানে বিপুল টানে সে কি কুলের বাধা মানে এই বিশ্ববৃজে ভাগ্যবতী সেই শ্রীমতী হয়।।
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
কাজরি গাহিয়া এসো গোপ-ললনা
বাণী
কাজরি গাহিয়া এসো গোপ-ললনা। শ্রাবণ-গগনে দোলে মেঘ-দোলনা।। পর সবুজ-ঘাগরি চোলি নীল ওড়না, মাখো অধরে মধুর হাসি, চোখে ছলনা।। কদম-চন্দ্রহার প’রে এসো চন্দ্রাবলী তমাল-শাখা-বরণা এসো বিশাখা-শ্যামলী, বাজায় করতাল দূরে তাল-বনা।। লাবনি-বিগলিতা এসো সকরুণ ললিতা যমুনা-কূলে এসো ব্রজবধূ কুল-ভীতা, অলকে মাখিয়া নব জল-কণা।।