সিন্ধু-ভৈরবী

  • উম্মত আমি গুনাহগার

    বাণী

    উম্মত আমি গুনাহগার তবু ভয় নাহি রে আমার।
    আহমদ আমার নবী যিনি খোদ্ হবিব খোদার।।
    যাঁহার উম্মত্ হ’তে চাহে সকল নবী,
    তাঁহারি দামন ধরি’ পুলসরাত হব পার।।
    	কাঁদিবে রোজ হাশরে সবে
    	যবে ‘নফ্‌সি য়্যা নফ্‌সি’ রবে,
    ‘য়্যা উম্মতী’ ব’লে একা কাঁদিবেন আমার মোখতার।।
    কাঁদিবেন সাথে মা ফাতেমা ধরিয়া আরশ্ আল্লার।
    হোসায়নের খুনের বদলায় মাফী চাই পাপী সবাকার।
    দোজখ্ হয়েছে হারাম যে-দিন পড়েছি কলেমা।
    যেদিন হয়েছি আমি কোরানের নিশান-বর্দার।।
    
  • কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া

    বাণী

    কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি।
    ‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি।
    		দু’লে কয় কুসুম-কলি॥
    ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস —  
    আসিবে না আর এ মধুমাস,
    কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’।
    		জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥
    কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে
    আমি যাই সুদূর বাসে’,
    ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’।
    		ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥
    

  • চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে

    বাণী

    চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
    সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
    আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
    তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
    যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
    অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
    

    নাটকঃ‘আলেয়া’

  • দেখে যা রে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী

    বাণী

    দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
    বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
    আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
    আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
    হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
    আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
    আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
    বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥
    
  • ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায়

    বাণী

    ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায়
    ওগো ঝরা ফুল আর ফেরে না শাখায়।।
    	শীতের হাওয়ায় তুষার হয়ে
    	গলি' খরতাপে বারি যায় ব'য়ে
    গলে নাক' আর হৃদয়-তুষার এ উষ্ণ ছোঁওয়ায় ।।
    	গাঁথি' ফুলমালা নাহি দিয়া গলে
    	শুকালে নিঠুর তব মুঠি-তলে,
    হাসিবে না সে ফুল শত আঁখি-জলে আর সে শোভায়।
    	স্রোতের সলিলে
    	যে বাঁধ বাঁধিলে
    ভাঙিয়ে সে বাঁধ তোমারে ভাসায়।।
    
  • সই ভালো করে বিনোদ বেণী

    বাণী

    সই		ভালো ক’রে বিনোদ–বেণী বাঁধিয়া দে
    মোর		বঁধু যেন বাঁধা থাকে বিননী–ফাঁদে।।
    সই		বাঁধিতে সে বাঁধন–হারা বনের হরিণ
    সই		জড়ায়ে দে জরীণ ফিতা মোহন ছাঁদে।।
    সই		চপল পুরুষ সে তাই কুরুশ কাঁটায়
    		রাখিব খোঁপারি সাথে বিঁধিয়া লো তায়।
    তাহে		রেশমি জাল বিছায়ে দে ধরিতে চাঁদে।।
    		প্রথম প্রণয়–রাগের মত আলতা রঙে
    		রাঙায়ে দে চরণ মোর এমনি ঢঙে।
    সই		পায়ে ধ’রে সে যেন লো আমারে সাধে।।
    
  • সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে

    বাণী

    সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
    গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
    	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
    	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
    অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
    পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
    গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
    	মনে আমার পাইনে লো খেই;
    	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
    কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।