বাণী

তুমি		হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
মোর		কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।।
তব		কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
		বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
তব		নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।।
		যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
		মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
		অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
		আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
যেন		রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।

বাণী

তুমি সুন্দর কপট হে নাথ! মায়াতে রাখ বিভোর।
তোমার ছলনা যে বোঝে না নাথ সেই সে দুঃখী ঘোর।।
	কত শত রূপে নিঠুর আঘাতে
	তুমি চাও নাথ তোমারে ভোলাতে
তবু যে তোমারে ভুলিতে পারে না ধরা দাও তারে চোর।।
কাঁদাও তাহারে নিশিদিন তুমি যপে যে তোমার নাম
তোমারে যে চাহে শত বন্ধনে বাঁধ তারে অবিরাম।
	সাগরে মিশাতে চায় বলে নদী
	জনম গোঁয়ায় কেঁদে নিরবধি
ভক্তে তেমনি দিয়াছ যে নাথ অসীম আঁখি - লোর।।

বাণী

তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
	এসো আমার বুকের কাছে
যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।

বাণী

		তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি।
		তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলে তারি ধূলা মাখি’ হে।।
যেমন		পা ফেলেছ গিরিমাটির রাঙা পথের ধূলাতে,
		অমনি করে আমার বুকে চরণ যদি বুলাতে,
আমি		খানিক জ্বালা ভুলতাম ঐ মানিক বুকে রাখি’ হে।।
আমার	খাওয়া পরার নাই রুচি, আর ঘুম আসে না চোখে হে,
আমি		আউরী হয়ে বেড়াই পথে, হাসে পাড়ার লোকে
					দেখে হাসে পাড়ার লোকে।
আমি		তাল পুকুরে যেতে নারি — একি তোমার মায়া হে,
আমি		কালো জলে দেখি তোমার কালো রূপের ছায়া হে;
আমার	কলঙ্কিনী নাম রটিয়ে তুমি দিলে ফাঁকি হে।।

বাণী

তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার
আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর
	এ ভার বইতে নারি আর।।
	সংসারেরি তরে খেটে
	জনম আমার গেল কেটে
(ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।।
বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত
তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ।
	অভাবকে আর করি না ভয়
	তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয়
তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।

বাণী

(তোমায়)		যেমন ক’রে ডেকেছিল আরব মরুভূমি।
		ওগো আমার নবী প্রিয় আল্ আরবি —
		তেমনি ক’রে ডাকি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		যেমন	কেঁদে’ দজলা ফোরাত নদী
			ডেকেছিল নিরবধি,
		হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী!
		তেমনি ক’রে কাঁদি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		(যেমন)	মদিনা আর হেরা পাহাড়
			জেগেছিল আশায় তোমার,
		হে হজরত মম, হে মোর প্রিয়তম!
		তেমনি ক’রে জাগি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
			মজলুমেরা কাবা ঘরে
			কেঁদেছিল যেমন ক’রে,
		হে আমিনা-লালা, হে মোর কম্‌লিওয়ালা!
		তেমনি ক’রে চাহি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।