তোমার হাতের সোনার রাখি
বাণী
তোমার হাতের সোনার রাখি আমার হাতে পরালে। আমার বিফল বনের কুসুম তোমার পায়ে ঝরালে।। খুঁজেছি তোমায় তারার চোখে কত সে-গ্রহে কত সে-লোকে, আজ কি তৃষিত মরুর আকাশ বাদল-মেঘে ভরালে।। দূর অভিমানের স্মৃতি কাঁদায় কেন আজি গো! মিলন-বাঁশি সহসা ওঠে ভৈরবীতে বাজি’ গো! হেনেছ হেলা, দিয়েছ ব্যথা মনে পড়ে আজ কেন সে-কথা, মরণ-বেলায় কেন এ গলায় মালার মতন জড়ালে।।
তুমি আমার সকাল বেলার সুর
বাণী
তুমি আমার সকালবেলার সুর হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।। ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়, ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায় রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।। তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল। অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।
তোমার দেওয়া ব্যথা সে যে
বাণী
তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান। তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।। তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু বিরহ মোর হল মধু, সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।। আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল, জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল। তোমার দেবালয়ে মোরে রাখলে পূজারিণী ক’রে, সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।