বাণী

তুষার-মৌলি জাগো জাগো গিরি-রাজ।
পঙ্গু তোমারে আজি হানিতেছে লাজ।।
রুদ্র ও রুদ্রাণী অঙ্কে যাহার,
দৈত্য হরিছে আজ সম্মান তার।
হে মহা-মৌনী, জাগো, পর নব সাজ।।
স্বর্গ তোমার শিরে, পদতলে হায়,
আর্যাবর্ত কাঁদে চির অসহায়
মেঘ-লোক হ’তে হান দৈত্যেরি বাজ।।

বাণী

তব বাঁশরি কি হরি শুনিতে পাব না পাশরিয়া আছি বলে।
তব রাস উৎসবে ভিখারির মত বসে আছি পথ তলে।।
		যে ডাকে, যদি তারি হও একা
		ডাকে না যে, সে কি পাইবে না দেখা,
কাঁদে না যে ছেলে জননী কি তারে ডাকিয়া লয় না কোলে।।
(হরি!) পথ ভুলিয়া যে ঘোরে অরণ্যে দেখাবে না তারে পথ
(তুমি) সেদিনো ফিরায়ে দাওনি কংস দুর্যোধনের রথ।
		হরি! তুমি যদি নাহি ডাক আগে
		তাহার কি কভু হরি-প্রেম জাগে?
না শুনিয়া বাঁশি ব্রজবাসিনীরা যেত কি যমুনার জলে।।

বাণী

তুমি কি আসিবে না
বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।।
	সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল
	আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল
সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।।
ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা
আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা।
	প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায়
	পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায়
পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।

বাণী

	তুমি রহিমুর রহমান আমি গুণাহগার বান্দা।
	হাত ধ’রে মোর পথ দেখাও য়্যা আল্লাহ্ আমি আন্ধা।।
	(মোর)	সারা জীবন গেল কেটে
		পাঁচ ভুতেরই বেগার খেটে,
(এখন)	শেষের বেলা ঘুচাও আল্লা এই দুনিয়ার ধান্দা।।
(আল্লা)	আমি তোমার বনের পাখি, কেন আমায় ধ’রে —
	রাখ্‌লে মায়ার শিক্‌লি বেঁধে এই দেহ-পিঞ্জরে।
		ব’লে এদের বাঁধা বুলি
		আল্লা তোমায় গেছি ভুলি’,
(এবার)	শিক্‌লি কেটে কাছে ডাকো শেষ কর এই কান্দা।।

বাণী

তুমি		আরেকটি দিন থাকো।
		হে চঞ্চল, যাবার আগে মোর মিনতি রাখো।।
আমি		ভালো ছিলাম ভুলে’ একা
		কেন নিঠুর দিলে দেখা,
তুমি		ঝরা-ফুলে গাঁথ্‌লে মালা গলায় দিলে না কো।।
তোমার	কাজের মাঝে আমায় ভোলা সহজ হবে, স্বামী!
		কেমন ক’রে এক্‌লা ঘরে থাক্‌বো ভুলে আমি।
		নিবু নিবু প্রদীপ আশার
তুমি		জ্বালিয়ে দিলে যদি আবার —
প্রিয়		নিভ্‌তে তারে দিও না আর আদর দিয়ে রাখো।।

বাণী

তোমার হাতের সোনার রাখি আমার হাতে পরালে।
আমার বিফল বনের কুসুম তোমার পায়ে ঝরালে।।
		খুঁজেছি তোমায় তারার চোখে
		কত সে-গ্রহে কত সে-লোকে,
আজ কি তৃষিত মরুর আকাশ বাদল-মেঘে ভরালে।।
দূর অভিমানের স্মৃতি কাঁদায় কেন আজি গো!
মিলন-বাঁশি সহসা ওঠে ভৈরবীতে বাজি’ গো!
		হেনেছ হেলা, দিয়েছ ব্যথা
		মনে পড়ে আজ কেন সে-কথা,
মরণ-বেলায় কেন এ গলায় মালার মতন জড়ালে।।