বাণী

	তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
	তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড়
	তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
	আস্‌ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল,
	সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল!
	মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে, মহাকালের চন্ড–রূপে ধূম্র–ধূপে
	বজ্র–শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর!
				ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর!
				তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
	দ্বাদশ রবির বহ্নি–জ্বালা ভয়াল তাহার নয়ন–কটায়,
	দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়!
		বিন্দু তাহার নয়ন –জলে
		সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে
			কপোল–তলে!
	বিশ্ব –মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর ‘পর –
			হাঁকে ঐ “জয় প্রলয়ংকর!”
			তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
মাভৈঃ, ওরে মাভৈঃ, মাভৈঃ, মাভৈঃ জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে
জরায়–মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ–লুকানো ঐ বিনাশে।
		এবার মহা–নিশার শেষে
		আসবে ঊষা অরুণ হেসে
			করুণ্ বেশে!
দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু–চাঁদের কর!
			আলো তার ভরবে এবার ঘর!
			তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!

বাণী

তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়।
ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়।
	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
তুমি কাঁদায়েছ বসুদেব দেবকীরে,
নন্দ যশোদা ব্রজের গোপীরে,
কাঁদাইলে তুমি শত শ্রীমতীরে হে নিরদয়।
	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
তোমারে চাহিয়া কোটি নয়নে বিরহ অশ্রু ঝুরে,
ধরণী যে আজ ডুবু ডুবু শ্যাম সাগর সলিলে পুরে।
ভক্তে কাঁদাতে হে ব্যথা বিলাসী
যুগে যুগে আসি’ বাজাইলে বাঁশি
তবুও এ-প্রাণ তোমারি পিয়াসি মানে না ভয়।
	তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়।

বৈতালিক

বাণী

তুম প্রেমকে হো ঘনশ্যাম ম্যায় প্রেম কি শ্যাম-প্যায়ারী।
প্রেমকা গান তুমহারে দান ম্যায় হুঁ প্রেম-ভিখারি।।
	হৃদয় বিচমে যমুনা তীর
	তুমহারি মুরলী বাজে ধীর,
নয়ন নীর কি বহত যমুনা প্রেম সে মাতোয়ারী।।
যুগ যুগ হোয়ে তুমহারি লীলা মেরে হৃদয় বনমে,
তুমহারে সুন্দর-মন্দির মোহন সোহত মেরে মনমে।
	প্রেম-নদী নীর নিত বহি যায়
	তুমহারে চরণ কো কবহুঁ না পায়,
রোয়ে শ্যাম-প্যায়ারী সাথ ব্রিজনারী আও মুরলীধারী।।

বাণী

তোর বিদায়-বেলার বন্ধুরে দেখে নে নয়ন পুরে’।
সে যায় মিশে’ ঐ কোন্ দূরে দিন শেষের’ — শেষ সুরে।।
	ঘুমের মাঝে বন্ধু তোর
	ছিঁড়বে বাহুর বাঁধন-ডোর,
যাবে নয়ন, রবে নয়ন-লো — যায় রে বিহগ যায় উড়ে।।
	(তুই) বহাবি নদী কেঁদে
	পাষাণে হৃদয় বেঁধে,
তবু যেতে হবে তায় অসহায় অচিন্ পুরে।।

নাটক : ‘সাবিত্রী’

বাণী

তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা।
আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।।
১মা	:	আমি মালতী মুকুল
২য়	:	আমি ব্যাকুলা বকুল
৩য়া, ৪র্থা, ৫মা	:	মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল।
৬ষ্ঠা	:	আমি (আঁখি) জলের কমল
৭মা	:	আমি মাধবীলতা।।
৮মা	:	আমি গিরি-মল্লিকা
৯মা	:	আমি হাস্নুহানা
১০মা	:	আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা
১১শী	:	আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই।
১২শী	:	আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ
১৩শী	:	আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
(তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
(আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
(যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
(এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
(তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।