তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
বাণী
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।। চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল ফুল বলে না তো সে আমার ভুল মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী, মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।। জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী। হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর। মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ।।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
বাণী
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! আস্ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল, সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে, মহাকালের চন্ড–রূপে ধূম্র–ধূপে বজ্র–শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর! ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! দ্বাদশ রবির বহ্নি–জ্বালা ভয়াল তাহার নয়ন–কটায়, দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়! বিন্দু তাহার নয়ন –জলে সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে কপোল–তলে! বিশ্ব –মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর ‘পর – হাঁকে ঐ “জয় প্রলয়ংকর!” তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! মাভৈঃ, ওরে মাভৈঃ, মাভৈঃ, মাভৈঃ জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে জরায়–মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ–লুকানো ঐ বিনাশে। এবার মহা–নিশার শেষে আসবে ঊষা অরুণ হেসে করুণ্ বেশে! দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু–চাঁদের কর! আলো তার ভরবে এবার ঘর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
বাণী
তৌহিদেরি বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে দুনিয়া জাহান ডুবু-ডুবু সেই স্রোতে যায় ভেসে।। সেই জোয়ারে আমার নবী পারের তরী নিয়ে 'আয় কে যাবি পারে'-ডাকে দ্বারে দ্বারে গিয়ে যে চায় না তারেও নেয় সে নায়ে আপনি ভালবেসে।। পথ দেখায় সে ঈদের চাঁদের পিদিম নিয়ে হাতে হেসে,হেসে,দাঁড় টানে চা’র আসহাব তাঁরি সাথে। নামাজ-রোজার,ফুল-ফসলে শ্যামল হ’ল মরু প্রেমের রসে উঠল পুরে নীরস মনের তরু খোদার রহম এলো রে আখেরি নবীর বেশে।।
তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে
বাণী
তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥ মোর শিশু আহমদে যেদিন কাঁদিয়া হালিমার হাতে দিয়াছি সঁপিয়া সেই দিন হ’তে কেঁদে কেঁদে মোর কাটিছে দিন রজনী॥ পিতৃহীন সে সন্তান হায় বঞ্চিত মা’র স্নেহে তারে ফেলে দূরে কোল খালি করে (আমি) থাকিতে পারি না গেহে। অভাগিনী তার মা আমিনায় মনে করে সে কি আজো কাঁদে হায় বলিস তাহারি আসার আশায় দিবানিশি দিন গণি॥
তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
বাণী
তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥ রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা, আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥ সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ, সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার। অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ, চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥
বৈতালিক