বাণী

		তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি।
		তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলে তারি ধূলা মাখি’ হে।।
যেমন		পা ফেলেছ গিরিমাটির রাঙা পথের ধূলাতে,
		অমনি করে আমার বুকে চরণ যদি বুলাতে,
আমি		খানিক জ্বালা ভুলতাম ঐ মানিক বুকে রাখি’ হে।।
আমার	খাওয়া পরার নাই রুচি, আর ঘুম আসে না চোখে হে,
আমি		আউরী হয়ে বেড়াই পথে, হাসে পাড়ার লোকে
					দেখে হাসে পাড়ার লোকে।
আমি		তাল পুকুরে যেতে নারি — একি তোমার মায়া হে,
আমি		কালো জলে দেখি তোমার কালো রূপের ছায়া হে;
আমার	কলঙ্কিনী নাম রটিয়ে তুমি দিলে ফাঁকি হে।।

বাণী

তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা।
আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।।
১মা	:	আমি মালতী মুকুল
২য়	:	আমি ব্যাকুলা বকুল
৩য়া, ৪র্থা, ৫মা	:	মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল।
৬ষ্ঠা	:	আমি (আঁখি) জলের কমল
৭মা	:	আমি মাধবীলতা।।
৮মা	:	আমি গিরি-মল্লিকা
৯মা	:	আমি হাস্নুহানা
১০মা	:	আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা
১১শী	:	আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই।
১২শী	:	আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ
১৩শী	:	আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
(তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
(আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
(যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
(এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
(তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।

বাণী

তুমি যেয়ো না তুমি যেয়ো না।
মিলনের সাধ না মিটিতে চাঁদ বিদায় চেয়ো না।।
	শোনো গো আমার বক্ষের মাঝে
	সাত সাগরের ক্রন্দন বাজে,
জোয়ারের তরী এখনই বন্ধু ভাটার স্রোতে বেয়ো না।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

তোমার বীণার মূর্ছনাতে বাজাও আমার বাণী।
তোমার সুরে শোনাও আমার গানের আধেকখানি।।
	শুনব শুধু তোমার কথা
	এবার আমার নীরবতা,
আমার সুরের ছবি আঁকুক তোমার পদ্মপাণি।।

বাণী

তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি আগত ঐ
টুটিল আগল নিখিল পাগল সর্বসহা আজি সর্বজয়ী।।
বহিছে উজান অশ্রু-যমুনায়
হৃদি-বৃন্দাবনে আনন্দ ডাকে, (ওরে) ‌‘আয়’,
বসুধা যশোদার স্নেহধার উথলায়
(ওগো) কাল্‌-রাখাল নাচে থৈ-তা-থৈ।।
বিশ্ব ভরি' ওঠে স্তব নমো নমঃ
অরির পুরী-মাঝে এলো অরিন্দম।
ঘিরিয়া দ্বার বৃথা জাগে প্রহরী জন
বন্ধ কারায় এলো বন্ধ-বিমোচন,
ধরি' অজানা পথ আসিল অনাগত
জাগিয়া ব্যথাহত ডাকে, মাভৈঃ।।