তুমি কে গো কে
বাণী
তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা। আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।। ১মা : আমি মালতী মুকুল ২য় : আমি ব্যাকুলা বকুল ৩য়া, ৪র্থা, ৫মা : মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল। ৬ষ্ঠা : আমি (আঁখি) জলের কমল ৭মা : আমি মাধবীলতা।। ৮মা : আমি গিরি-মল্লিকা ৯মা : আমি হাস্নুহানা ১০মা : আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা ১১শী : আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই। ১২শী : আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ ১৩শী : আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।
নাটক : ‘মধুমালা’
তুমি আশা পুরাও খোদা
বাণী
তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে। সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ'রে।। দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া ফিরি যখন শূন্য হাতে, তোমার দানের শির্নি তখন আসে আমায় পথ দেখাতে, দেখি হঠাৎ শূন্য তোমার দানে গেছে ভ'রে।। খোদা, তোমায় ভরসা করি' নামি যখন কোন কাজে, সে কাজ হাসিল হয় সহজে শত বিপদ বাধার মাঝে (খোদা) তোমায় ছেড়ে অন্য জনে শরণ নিলে যায় সে সরে।। মাঝ দরিয়ায় ডুবলে জাহাজ তোমায় যদি ডাকি তোমার রহম কোলে করি তীরেতে যায় রাখি দুখের অনল কুসুম হয়ে ফুটে ওঠে থরে থরে।।
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত
বাণী
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত। যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।। কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্ নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।। কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে। মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত — হজরত তোমারি সুরত।। যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে। তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত হজরত তোমার মুহব্বত।।
তুমি সুন্দর কপট হে নাথ
বাণী
তুমি সুন্দর কপট হে নাথ! মায়াতে রাখ বিভোর। তোমার ছলনা যে বোঝে না নাথ সেই সে দুঃখী ঘোর।। কত শত রূপে নিঠুর আঘাতে তুমি চাও নাথ তোমারে ভোলাতে তবু যে তোমারে ভুলিতে পারে না ধরা দাও তারে চোর।। কাঁদাও তাহারে নিশিদিন তুমি যপে যে তোমার নাম তোমারে যে চাহে শত বন্ধনে বাঁধ তারে অবিরাম। সাগরে মিশাতে চায় বলে নদী জনম গোঁয়ায় কেঁদে নিরবধি ভক্তে তেমনি দিয়াছ যে নাথ অসীম আঁখি - লোর।।
তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
বাণী
তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।। তোর চরণের আলতা লেগে পরান আমার উঠল রেঙে (রে) ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা। তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই, দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই। উড়ে এলি’ দেশান্তরী তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে) তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।