তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে
বাণী
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না! যে ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥ মোর জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে, তব স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥ তুমি অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে — সেই বক্ষে এসো দিন ফুরালে তুমি আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥
তুমি অনেক দিলে খোদা
বাণী
তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত — আমি লোভী, তাইতো আমার মেটে না হসরত।। কেবলই পাপ করি আমি — মাফ করিতে তাই, হে স্বামী, দয়া করে শ্রেষ্ঠ নবীর করিলে উম্মত। তুমি নানান ছলে করছ পূরণ ক্ষতির খেসারত।। মায়ের বুকে স্তন্য দিলে, পিতার বুকে স্মেহ; মাঠে শস্য ফসল দিলে আরাম লাগি' গেহ। ঈদের চাঁদের রং মশালে রঙীন বেহেশ্ত পথ দেখালে আখেরেরই সহায় দিলে আখেরী হজরত। তুমি আজান দিলে না ভুলিতে মসজিদেরই পথ।।
তোমার দেওয়া ব্যথা সে যে
বাণী
তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান। তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।। তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু বিরহ মোর হল মধু, সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।। আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল, জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল। তোমার দেবালয়ে মোরে রাখলে পূজারিণী ক’রে, সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।
তব বাঁশরি কি হরি শুনিতে পাব না
বাণী
তব বাঁশরি কি হরি শুনিতে পাব না পাশরিয়া আছি বলে। তব রাস উৎসবে ভিখারির মত বসে আছি পথ তলে।। যে ডাকে, যদি তারি হও একা ডাকে না যে, সে কি পাইবে না দেখা, কাঁদে না যে ছেলে জননী কি তারে ডাকিয়া লয় না কোলে।। (হরি!) পথ ভুলিয়া যে ঘোরে অরণ্যে দেখাবে না তারে পথ (তুমি) সেদিনো ফিরায়ে দাওনি কংস দুর্যোধনের রথ। হরি! তুমি যদি নাহি ডাক আগে তাহার কি কভু হরি-প্রেম জাগে? না শুনিয়া বাঁশি ব্রজবাসিনীরা যেত কি যমুনার জলে।।