তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে
বাণী
তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে। ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।। মায়ের কালি মাখা কোলে শিশু কি মা, যেতে ভোলে? আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।। কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে? আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে। তোর সংসার কাজে শ্যামা, বাধা আমি হব না মা, মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।
তুমি কে গো কে
বাণী
তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা। আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।। ১মা : আমি মালতী মুকুল ২য় : আমি ব্যাকুলা বকুল ৩য়া, ৪র্থা, ৫মা : মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল। ৬ষ্ঠা : আমি (আঁখি) জলের কমল ৭মা : আমি মাধবীলতা।। ৮মা : আমি গিরি-মল্লিকা ৯মা : আমি হাস্নুহানা ১০মা : আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা ১১শী : আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই। ১২শী : আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ ১৩শী : আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।
নাটক : ‘মধুমালা’
তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
বাণী
তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।। তোর চরণের আলতা লেগে পরান আমার উঠল রেঙে (রে) ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা। তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই, দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই। উড়ে এলি’ দেশান্তরী তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে) তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।
তোমার নূরের রওশনি মাখা
বাণী
তোমার নূরের রওশনি মাখা নিখিল ভুবন, অসীম গগন। তোমার অনন্ত জ্যোতির ইশারা গ্রহ-তারা-চন্দ্র-তপন।। তোমার রূপের ইঙ্গিত খোদা ফুটিছে বনের কুসুমে সদা, তোমার নূরের ঝলক হেরি’ মেঘে বিজলি চমকে যখন।। প্রাণের খুশি শিশুর হাসি মধুর তোমার রূপ দেয় প্রকাশি’, তোমার জ্যোতির সমুদ্রে খোদা আলোর ঝিনুক মোর এ দু’টি নয়ন।। ধানের খেতে নদী-তরঙ্গে দুলে তোমার রূপ মধুর ভঙ্গে, নিতি দেখা দাও হাজার রঙ্গে অরূপ নিরাকার তুমি নিরঞ্জন।।