বাণী

তুই কে ছিলি তাই বল?
কোন কাননের পুষ্পরানী কোন সরসীর জল।।
তুই কি ছিলি কবিতা আর আমি চরণ তা'রি
তুই কি ছিলি পিয়াসি শুক আমি আতুর সারী
তুই কি দুঃখী দুয়োরানী আমি চোখের জল।।
	কোন বরষার সিক্ত প্রাতে
	কোন শরতের জোছনা রাতে
কোন জগতের অরুণ ঊষার প্রথম দেখা বল।।
নতুন মোদের নতুন ক'রে পরিচয়ের পালা
কন্ঠে মোদের মিলন-বাণী হাতে মিলন-মালা
মোরা এক বিরহীর দু'টি চোখের ঝরা দু'টি মুক্তাফল।।

বাণী

তব গানের ভাষায় সুরে বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি
এত দিনে পেয়েছি তারে আমি যারে খুঁজেছি।।
ছিল পাষাণ হয়ে গভীর অভিমান
সহসা, এলো সহসা আনন্দ-অশ্রুর বান।
বিরহ-সুন্দর হয়ে সেই এলো
দেবতা বলে যাঁরে পুজেছি
			বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।।
তোমার দেওয়া বিদায়ের মালা পুন প্রাণ পেল প্রিয়
হ’য়ে শুভদৃষ্টি মিলন-মালিকা বুকে ফিরে এলো — এলো প্রিয়।
	যাহারে নিষ্ঠুর বলেছি
	নিশীথে গোপনে কেঁদেছি
নয়নের বারি হাসি দিয়ে মুছেছি
			বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।।

বাণী

তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর দুর কর নাথ ভক্তি দাও।
যেখানে হোক তুমি আছ — এই বিশ্বাস শক্তি দাও।।
	যে কোন জনমে আমি
	পাইব পাব তোমায় আমি
অবিশ্বাসের আঁধার রাতে তোমায় পাওয়ার পথ দেখাও।।
শত দুঃখ ব্যথার মাঝে এইটুকু দাও শন্তি নাথ।
কাঁদিবে তুমি আমার দুঃখে আজকে যতই দাও আঘাত।।
	হয়ত কোটি জনম পরে
	পাব তোমায় আমার করে,
তোমায় আমায় মিলন হবে এই আশাতেই মন দোলাও।।

বাণী

তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে একটু রাখিও ঠাঁই।
মরণে যেন সে পরশ পাই গো জীবনে যা পাই নাই।।
	তোমারে চাহিয়া ওগো প্রিয়তম
	কাঁদিয়া আমার কাটিল জনম,
কেঁদেছি বিরহে এবার যেন গো মিলনে কাঁদিতে পাই।।
ঐ কবরের বাসর ঘরে গো তোমার বুকের কাছে
কাঁদিবে লায়লী, মজনু তোমার য’দিন ধরণী আছে।
	যে যাহারে চায় কেন নাহি পায়,
	কেন হেথা প্রেম-ফুল ঝ’রে যায় —
প্রেমের বিধাতা থাকে যদি কেউ শুধাইব তারে তাই।।

নাটিকা: ‌‘লায়লী মজনু’

বাণী

তওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলিম-জাঁহা পুনঃ হোক আবাদ।
দাও সেই হারানো সালতানাত দাও সেই বাহু সেই দিল আজাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর ওলীদ
দাও সেই উমর হারুন অল রশীদ
দাও সেই সালাহউদ্দীন আবার পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ
দাও সে আকবর সেই শাহজাহান দাও তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
দাও ভা'য়ে ভা'য়ে সেই মিলন
সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
হোক বিশ্ব-মুসলিম এক জামাত উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।

বাণী

তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।।
	চেয়ে’ চেয়ে’ দেখি ফোটে যবে ফুল
	ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি’ ঝুরে’ চাতকিনী, মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।।
জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী।
	হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর
	পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর নয়নের সেই সাধ।।