বাণী

অম্বরে মেঘ-মৃদঙ বাজে জলদ-তালে
লাগিল মাতন ঝড়ের নাচন ডালে ডালে।।
	দিগন্তের ঐ দুর্গ-মূলে
	ধূলি-গৈরিক কেতন দুলে
কে দুরন্ত আগল খুলে ঘুম ভাঙালে।।
থির সাগরের নীল তরঙ্গে আনন্দেরি
সেই নাচনের তালে তালে বাজিল ভেরি।
	মাভৈঃ মাভৈঃ ডাক শুনি যার
	পথ ছেড়ে দে রথ এল তাঁর।
দুর্দিনে সে বজ্র-শিখার আগুন জ্বালে।।

বাণী

অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা।
কালো মেঘে অন্ধ-আকাশ পথিক পথ-হারা।।
	ভক্ত কাঁদে অকূল ভবে,
	গোকূলে তায় ডাকবে কবে।
অশান্ত এ চিত্তে হরি বহাও শান্তি-ধারা।।

বাণী

অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা
শ্বশুর-বাড়ির ফেরত নয়।
দশভুজার করিস পূজা
		ভুলরূপে সব জগতময়।।
নয় গোরী নয় এ উমা
মেনকা যার খেতো চুমা
রুদ্রাণী এ, এযে ভূমা
		এক সাথে এ ভয়-অভয়।।
অসুর দানব করল শাসন এইরূপে মা বারে বারে,
রাবণ-বধের বর দিল মা এইরূপে রাম-অবতারে।
দেব-সেনানী পুত্রে লয়ে মা
এই বেশে যান দিগ্বিজয়ে
সেই রূপে মা’র কর্‌রে পূজা
		ভারতে ফের আসবে জয়।।

বাণী

অকূল তুফানে নাইয়া কর পার
পাপ দরিয়াতে ডুবে মরি কান্ডারি
নাই কড়ি নাই তরী প্রভু পারে তরিবার।।
থির নহে চিত পাপ-ভীত সদা টলমল
পুণ্যহীন শূন্য মরু সম হৃদি-তল নাহি ফুল নাহি ফল
পার কর হে পার কর ডাকি কাঁদি অবিরল
নাহি সঙ্গী নাহি বন্ধু নাহি পথেরি সম্বল।
সাহারায় নাহি জল
শাওন বরিষা সম তব করুণার ধারা
ঝরিয়া পড়ুক পরানে আমার।।

বাণী

অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে।
তোমার পায়ের রেখা জাগে শূন্য গৃহের অঙ্গন-তলে।।
		কেন আমায় জাগালে না
		আঘাতে ঘুম ভাঙালে না,
দ’লে কেন গেলে না গো যাবার বেলা চরণ-তলে।।
কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মত এসেছিলে গভীর রাতে,
আলোর পরশ বুলিয়ে দিলে ঘুমন্ত মোর নয়ন-পাতে;
		তাই রজনীগন্ধা সুখে
		চেয়ে আছে উর্ধ্ব মুখে,
ফুলগুলিরে জাগিয়ে গেলে নিঠুর আমায় গেলে ছ’লে।।

বাণী

অন্নপূর্ণা মা এসেছে অন্নহীনের ঘর
উলু দে রে শঙ্খ বাজা প্রদীপ তুলে ধর।।
		তপস্যাহীন পাপীর দেশে
		মা এসেছে ভালোবেসে,
বিনা পূজায় মায়ের রূপে এলো বিধির বর।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’