অনাদরে স্বামী পড়ে আছি আমি
বাণী
অনাদরে স্বামী প’ড়ে আছি আমি তব কোলে তুলে নাও নিয়ে ধরণীর ধূলি আছি আমি ভুলি’ চরণের ধূলি দাও॥ বিভবে বিলাসে সংসার কাজে অশান্ত প্রাণ কাঁদে বন্ধন মাঝে বৃথা দ্বারে দ্বারে চেয়েছি সবারে এবার তুমি মোরে চাও॥ যাহা কিছু প্রিয় জীবনের মম হরিয়া লহ তুমি, লও প্রিয়তম। সূর্যের পানে সূর্যমুখী ফুল যেমন চাহিয়া রয় বিরহ-ব্যাকুল তেমনি প্রভু আমার এ মন তোমার পানে ফিরাও॥
অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম
বাণী
অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম নামের তরী মায়া মোহের ঝড় বাদলে এবার আমি ভয় না করি। যে নাম লেখা তারায় তারায় যে নাম ঝরে অশ্রুধারায় যাত্রা শুরু সেই নামেরি জপমালা বক্ষে ধরি।। এই আঁধারের অন্তরালে লক্ষ রবি চন্দ্র জ্বলে নিত্য ফোটে আলোর কমল জানি তোমার চরণ তলে। এবার ওগো অশিব নাশন থামাও তোমার ঢেউর নাচন সেই ত অমর মরণ যদি ধ্যান সাগরে ডুবে মরি।।
অনেক ছিল বলার যদি সেদিন
বাণী
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্তে গো। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্তে গো।। আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্তে গো।। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্কে কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্কে। আস্তে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুক্লা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্তে।।
অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে
বাণী
অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে একটি কথা। বলতে নারি সেই কথাটি তাই এ মুখর ব্যাকুলতা।। সেই কথাটি ঢাকার ছলে অনেক কথা যাই গো ব’লে ভাসি আমি নয়ন-জলে বলতে গিয়ে সেই বারতা।। অবকাশ দেবে কবে কবে সাহস পাবে প্রাণে লজ্জা ভুলে সেই কথাটি বলব তোমায় কানে কানে। মনের বনে অনুরাগে কত কথার মুকুল লাগে সেই মুকুলের বুকে জাগাও ফুটে ওঠার ব্যাকুলতা।।