ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল
বাণী
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল। হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।। রোদের দাহে বালুচরে মরা নদী কেঁদে মরে গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।। ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ, ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক। ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে এমনি নীরব কান্না দোলে, করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে
বাণী
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে। সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।। ওরে যে ঠাকুরে পরান যাচে সে নামের মাঝে লুকিয়ে আছে, যেমন বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।। বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই, তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই। তোর কোন্ পথ নাম জপের শেষে দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে, তোর জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে। তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।
ওরে আজ ভারতের নব যাত্রা পথের
বাণী
ওরে আজ ভারতের নব যাত্রা পথের বাঁশি বাজলো, বাজলো বাঁশি ফেলে তরুর ছায়া ভুলে ঘরের মায়া এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥ তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে তারা তরুণ তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে সাহস জাগায় চিতে তাদের অট্টহাসি॥ মোরা প্রাচীরের পরে রে প্রাচীর তুলে ভাই হয়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে। আজ ভেঙে প্রাচীর হল ঘরের বাহির একই অঙ্গনে দাঁড়ালো উন্নত শির এলো মুক্ত গগন তলে প্রাণ পিয়াসি এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
ওগো অন্তর্যামী ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন
বাণী
ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন যেন থাকে নিশিদিন তোমারি সেবায় মোর তনু-প্রাণ-মন।। নয়নে কেবল দেখি যেন আমি তোমারই স্বরূপ ত্রিভুবন-স্বামী শিরে বহি যেন তোমারি পূজার অর্ঘ্য অনুক্ষণ।। এ রসনা শুধু জপে তব নাম এই বর দাও নাথ; তোমারি চরণ সেবায় লাগুক মোর এই দুটি হাত। ওঠে তব নাম প্রতি নিঃশ্বাসে শ্রবনে কেবল তব নাম ভাসে তব মন্দির-পথে যেন সদা চলে মোর এ চরণ।।
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া
বাণী
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর। তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।। (এলো মা, আমার মা) মাকে ভুলে ছিলাম ওরে কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে, আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।। মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে, মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে। মা এসেছে ছুটে রে তাই ভয় নাইরে আর ভয় নাই, মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।