বাণী

	ও মন চল অকুল পানে, মাতি হরিপ্রেম-গুণগানে।
	নদী যেমন ধায় অকূলে কূল যত তায় টানে।।
তুই	কোন্ পাহাড়ে ঠেক্‌লি এসে কোন্‌ পাথারের জল
	হরির প্রেমে গ’লে এবার সেই অসীমে চল্,
তুই	স্রোতের বেগে দুল্‌বি রে কূল-বাধা যদি হানে।।
	এ পারের সব যাত্রী যাবে তোর বুকে ওপারে
	তোর কূলে শ্যাম বাজিয়ে বাঁশি আস্‌বে অভিসারে,
	শ্যামের ছবি ধর্‌বি বুকে মাত্‌বি প্রেম-তুফানে।।

বাণী

	ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়।
	সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়।।
আমি 	চাইনে সে-চোখ যে-চোখ দেখে মায়া
	অনিত্য এই সংসারেরই ছায়া,
	যে-দৃষ্টি দেখে নিত্য তোরে সেই দৃষ্টি দে আমায়।।
ওমা 	নিবিয়ে দে এই নয়ন-প্রদীপ দেখায় যাহা দুঃখ শোক,
	এই আলেয়া পথ ভুলিয়ে যায় মা নিয়ে নরক-লোক।
	তোর সৃষ্টি চির-আনন্দময় নাকি
	দেখব সে-লোক, দে মোরে সেই আঁখি,
	দেখে না রোগ-মৃত্যু-জ্বরা তোর সন্তান সেই দৃষ্টি চায়।।

বাণী

ওগো	আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া আমি ভয়ে ভয়ে মরি
	এ নহে মানুষ বুঝি ফেরেশ্‌তা আসিয়াছে রূপ ধরি’॥
		সে নিশীথে যখন বক্ষে ঘুমায়
		চাঁদ এসে তারে চুমু খেয়ে যায়
	দিনে যবে মেষ চারণে সে যায় মেঘ চলে ছায়া করি’,
	সাথে সাথে তার মেঘ চলে ছায়া করি’॥
	মনে হয় যেন লুকাইয়া রাতে তোমার শিশুর পায়
	কত ফেরেশ্‌তা হুর-পরী এসে সালাম করিয়া যায়॥
		সে চলে যায় যবে মরুর উপরে
		বস্‌রা গোলাপ ফোটে থরে থরে
	তার চরণ ঘিরিয়া কাঁদে ফুলবনে অলিকুল গুঞ্জরি’॥

বাণী

ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে।
বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো
			ঢেউ ওঠাতো ঝর্ণা জলে পাহাড়তলিতে।।
তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে
তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে,
বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে।।
আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল,
সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল।
আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না,
রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না —
আমি রইতে নারি না হেরে সেই বন উদাসী কে গো।।

বাণী

ও তুই উলটা বুঝলি রাম
আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।।
আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে,
ও বাব্বা —
আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।।
আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি
	ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম।
	তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।।
আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি
তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি
আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।

বাণী

ওগো	প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ আমার পাওয়ার বহু দূরে।
তবু	মনের মাঝে বেণু বাজে সেই পুরানো সুরে সুরে॥
	বাজে মনের মাঝে বেণু বাজে
	প্রিয় বাজাতে যে বেণু বনের মাঝে আজো তার রেশ মনে বাজে॥
	তব কদম-মালার কেশরগুলি
	আজি ছেয়ে আছে ওগো পথের ধূলি,
	ওগো আজিকে করুণ রোদন তুলি’ বয় যমুনা ভাটি সুরে॥
	(আর উজান বয় না,)
	ওগো আজিকে আঁধার তমাল বনে, বসে আছি উদাস মনে
	ওগো তোমার দেশে চাঁদ উঠেছে আমার দেশে বাদল ঝুরে॥
	সেথা চাঁদ উঠেছে —
	ওগো শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সেথা শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সখি তাদের দেশে আকাশে আজ আমার দেশের চাঁদ উঠেছে।
	ওগো মোর গগনে কৃষ্ণা তিথি আমার দেশে বাদল ঝুরে॥