বাণী

ওহে রসিক রসাল কদলী।
ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।।
আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান
বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান।
বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।।
তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত,
ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত।
নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর
তোমার কৃপার কাঙালি।।

কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’

বাণী

ওরে	আজ ভারতের নব যাত্রা পথের
	বাঁশি বাজলো, বাজলো বাঁশি
	ফেলে তরুর ছায়া ভুলে ঘরের মায়া
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
	তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে
	তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে
	তারা তরুণ তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে
	সাহস জাগায় চিতে তাদের অট্টহাসি॥
	মোরা প্রাচীরের পরে রে প্রাচীর তুলে
	ভাই হয়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে।
	আজ ভেঙে প্রাচীর হল ঘরের বাহির
	একই অঙ্গনে দাঁড়ালো উন্নত শির
	এলো মুক্ত গগন তলে প্রাণ পিয়াসি
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥

বাণী

ওরে ও দরিয়ার মাঝি! মোরে নিয়ে যা রে মদিনা।
তুমি মুর্শিদ হ'য়ে পথ দেখাও ভাই আমি যে পথ চিনি না।।  
	আমার প্রিয় হজরত সেথায়
	আছেন নাকি ঘুমিয়ে ভাই,
আমি প্রাণে যে আর বাঁচি না রে আমার হজরতের দরশ বিনা।। 
নদী নাকি নাই ও দেশে, নাও না চলে যদি —
আমি চোখের সাঁতার পানি দিয়ে বইয়ে দেব নদী। 
	ঐ মদিনার ধূলি মেখে
	কাঁদবো 'ইয়া মোহাম্মদ' ডেকে ডেকে রে —
কেঁদেছিল কারবালাতে, (ওরে) যেমন বিবি সাকিনা।।

বাণী

ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

বাণী

		ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে, দে এই পথের ধূলি দে।
		যে পথে শ্যামের রথ চ’লে গেছে, দে সেই পথের ধূলি দে।।
আখর	:	[ধুলি নয় ধুলি নয়, এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়,
		এ যে হরি-চন্দন, অঙ্গ শীতল করা।
		ওর ভাগ্য ভালো, রাধার চেয়ে ওর ভাগ্য ভালো —
		ঐ, ধূলি মাথায় তুলে দে লো।]
		ঐ পথের বুকে গেছে কৃষ্ণের রথ, সখী আমি কেন হই নাই ঐ ধূলি-পথ।
আখর	:	[বধূ, চ’লে যে যেত গো আমার, হিয়ার উপর দিয়া চ’লে যে যেত
		আমার, সকল জনম সফল হ’ত, চ’লে যে যেত গো]
		অনুরাগের রজ্জু দিয়া বাঁধিতাম সে-রথে
		নিয়ে যেতাম সে-রথ প্রেমপথে (ওলো ললিতে)
আখর	:	[নিয়ে যেতাম, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে,
		প্রেমের পথে, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে।

বাণী

	ওকি ঈদের চাঁদ গো! চলে মদিনারই পথে গো!
যেন	হাসিন্ য়ুসোফ্ ফিরে এলো ফিরদৌস হতে গো।।
	যাহারা তার রূপ দেখে তারা ঝুরিছে আস্‌মানে
	গুল্ ভুলে তাই বুল্‌বুলি চেয়ে আছে গুলিস্তানে।
	বুঝি বেহেশ্‌তেরই বাদশাজাদা এলো সোনার রথে গো।।
	সাদা কবুতরের মত চরণ দুটি ছুঁয়ে,
	গোলাপ চাঁপা উঠছে ফুটে ধূলিমাখা ভুঁয়ে গো।
সেই	চাঁদের মুখে জোছনা সম খোদার কালাম ঝরে
তা’র	রূপ দেখে, তা’র গুণ শুনে মোর মন রহে না ঘরে লো,
আমি	উন্মাদিনী সেই মাদানী নবীর মোহব্বতে গো।।