নাচে গৌরীদিবা হিম-গিরি-দুহিতা
বাণী
নাচে গৌরীদিবা হিম-গিরি-দুহিতা। নাচে দীপ্তিমতী নাচে উমা তপতী নাচে রে চির-আনন্দিতা।। তার কিরণ-আচল দোলে ঝলমল গিরি-পাষাণ অটল করে টলমল গলিয়া তুষার ঝরে নির্ঝর জল তার চরণ-ছন্দ-চকিতা।। তার নাচের মায়ায় প্রাণ পায় জড় জীব ভুলি’ বিরহ সতীর জাগে যোগীন্দ্র শিব, জাগে কুসুম-কলি গাহে বিহগ-অলি, তার রূপে ত্রিদিব হ’ল দীপন্বিতা।।
নামাজী তোর নামাজ হলো রে ভুল
বাণী
নামাজী, তোর নামাজ হলো রে ভুল। মসজিদে তুই রাখিরি সিজ্দা, ছাড়ি ইমানের মূল॥ নামাজে সামিল হয়ে জামাতের, আউড়ালি মুখে সুরা কোরানের, ভাব্লি কি তুই পার হয়ে গেলি, পুলসেরাতের পুল॥ আজ মিলন তীর্থে বাঁধ রে কাতার মনের জায়নামাজে, সেই আরফাতে তোর নুয়ে দে দিল না ফরমানি লাজে, ওজু করে ফের তৌবার নীরে, তহরিম বাঁধ ভীতু নত শিরে, বন্দেগী তোর কবুল হবে রে, কিয়ামতে পাবি কূল ॥
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে
বাণী
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে সেই দেশে যাইও রে কলসি, বন্ধু রয় যে দেশে।। জলকে এসে' কাল সকালে কখন মনের ভুলে ভাসিয়েছিলাম বন্ধুর লাগি' খোঁপার কুসুম খুলে' কূলে এসে লাগলো সে ফুল আজকে বেলাশেষে।। কালকে আমার খোঁপার কুসুম পায়নি খুজেঁ যারে, কলসি আমার যাও রে ভেসে' খুঁজে আনো তারে। আমার নয়ন-জল নিয়ে যাও, ঢেলো বন্ধুর পা'য়; পিদিম জ্বেলে' রইব জেগে তাহারি আশায় আর কতদিন রইব এমন যোগিনীরই বেশে।।
নবীন বসন্তের রানী তুমি
বাণী
পুরুষ : নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ। স্ত্রী : তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ।। পুরুষ : পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’? স্ত্রী : বেয়ে প্রেমের পথের গলি এলাম কঠোর হৃদয় দলি’, হের পায়ে তাহারি রঙ।। পুরুষ : হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি, অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী। স্ত্রী : ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই; পুরুষ : বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে। স্ত্রী : না, না, যাও যাও মন চেয়ো না গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না; আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ।। উভয়ে : যাই চল সেই কাননে নাই কাঁটা ফুলের সনে যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন।।