নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী
বাণী
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায় দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥ মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল, মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥ জুম্মার মস্জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত, অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত। নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে ‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্ত্ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥
নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল
বাণী
নবীর মাঝে রবির সম আমার মোহাম্মদ রসুল। খোদার হবিব দীনের নকিব বিশ্বে নাই যার সমতুল।। পাক আরশের পাশে খোদার গৌরবময় আসন যাঁহার, খোশ-নসীব উম্মত আমি তাঁর (আমি) পেয়েছি অকূলে কূল।। আনিলেন যিনি খোদার সালাম; তাঁর কদমে হাজার সালাম; ফকির দরবেশ জপি' সেই নাম (সবে) ঘর ছেড়ে হলো বাউল।। জানি, উম্মত আমি গুনাহগার হবো তবু পুলসরাত পার; আমার নবী হযরত আমার করো মোনাজাত কবুল।।
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ
বাণী
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ ডোবে আর উঠে গো। এলোকেশে ঢেউয়ে জড়াজড়ি ক’রে পড়ে লুটে গো।। নীল-শাড়ি-বিজড়িত কিশোরী কলসী ল’য়ে ফেরে সাঁতরি’ চাঁদ ভেবে মুদিত কুঁড়ি হেসে ওঠে ফুটে গো।। সরসির পড়শি পলাশ, পারুল সুরভিত সমীরণ হাসিয়া আকুল, কলষে কঙ্কণে রিনিঝিনি সুর বাজে-তরঙ্গে সজল বিধুর, কমলিনী হরষে ঢ’লে পড়ে পরশে অধর-পুটে গো।।
নাচে গৌরীদিবা হিম-গিরি-দুহিতা
বাণী
নাচে গৌরীদিবা হিম-গিরি-দুহিতা। নাচে দীপ্তিমতী নাচে উমা তপতী নাচে রে চির-আনন্দিতা।। তার কিরণ-আচল দোলে ঝলমল গিরি-পাষাণ অটল করে টলমল গলিয়া তুষার ঝরে নির্ঝর জল তার চরণ-ছন্দ-চকিতা।। তার নাচের মায়ায় প্রাণ পায় জড় জীব ভুলি’ বিরহ সতীর জাগে যোগীন্দ্র শিব, জাগে কুসুম-কলি গাহে বিহগ-অলি, তার রূপে ত্রিদিব হ’ল দীপন্বিতা।।