বাণী

নন্দলোক হতে (আনন্দলোক হতে) আমি এনেছি রে মহামায়ায়।
				এনেছি মা মহামায়ায়।
বন্ধ যথায় বন্দী যত কংসরাজার অন্ধকারায়।।
	বন্দী জাগো! ভাঙো আগল,
	ফেল রে ছিঁড়ে পায়ের শিকল;
বুকের পাষাণ ছুঁড়ে ফেলে মুক্তলোকে বেরিয়ে আয়।।
আমার বুকের গোপালকে রে রেখে এলাম ‘নন্দালয়ে’
সেইখানে সে বংশী বাজায় আনন্দ-গোপ-দুলাল হয়ে।
	মা’র আদেশে বাজাবে সে
	অভয় শঙ্খ দেশে দেশে,
(তোরা) নারায়ণী সেনা হবি, এবার নারায়ণীর কৃপায়।।

বাণী

নিম ফুলের মউ পি’য়ে ঝিম হয়েছে ভোমরা।
মিঠে হাসির নূপুর বাজাও ঝুমুর নাচো তোমরা।।
কভু কেয়া কাঁটায়, কভু বাব্‌লা-আঠায়
বারে বারে ভোমরার পাখা জড়ায়ে গো — পাখা জড়ায়
দেখে হেসে লুটিয়ে পড়ে ফুলের দেশের বউরা।।

বাণী

নাচিয়া নাচিয়া এসো নন্দদুলাল,
মোর প্রাণে মোর মনে, এসো ব্রজগোপাল॥
এসো নূপুর রুনুঝুনু পায়ে, এসো প্রেম যমুনা নাচায়ে
এসো বেণু বাজায়ে, এসো ধেনু চরায়ে এসো কানাই রাখাল॥
ঝুলনে হোরিতে রাসে, এসো কুরুক্ষেত্র রণে এসো প্রভাসে,
(এসো) শিশু রূপে, এসো কিশোর বেশে
এসো কংস, অরি, এসো মৃত্যুকরাল॥

বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

বাণী

নিশি-রাতে রিম ঝিম ঝিম বাদল-নূপুর
বাজিল ঘুমের মাঝে সজল মধুর।।
দেয়া গরজে বিজলি চমকে
জাগাইল ঘুমন্ত প্রিয়তমকে
আধো ঘুম-ঘোরে চিনিতে নারি ওরে
'কে এলো কে এলো' ব'লে ডাকিছে ময়ূর।।
দ্বার খুলি' পড়শি কৃষ্ণা-মেয়ে আছে চেয়ে'
	মেঘের পানে আছে চেয়ে —
কারে দেখি আমি কারে দেখি
	মেঘলা আকাশ না ঐ মেঘলা-মেয়ে।
ধায় নদী জল মহাসাগর পানে
বাহিরে ঝড় কেন আমায় টানে
জমাট হয়ে আছে বুকের কাছে
নিশীথ-আকাশ যেন মেঘ ভারাতুর।।

বাণী

নিদাঘের খর তাপে ক্লান্ত এ ধরণী।
মাধুরী হারায়ে হল পাণ্ডুর বরণী।।
পিঙ্গল জটাজাল, তেজ তার অশনি।
বৈশাখী ভোরে স্মরি’ রুদ্রাণী জননী।।
ধূলি-ধূসরিত প্রসারিত অম্বর
বুক-ভরা তৃষা তার, চাহে সে নটবর,
শ্যামলী মেঘ-মালা, সেই তার জলধর —
দাহনের অবসানে জুড়াইবে আপনি।।