বাণী

নীল আকাশের কোলে শুয়ে হেরে শ্রান্ত মেঘের দল,
পল্লবে-ফুলে পূর্ণ হ’লো কি ধরণীর অঞ্চল।।
	দেয়া গরজে না, উপবনে তাই
	বেণী-বন্ধনে কেয়া ফুল নাই,
গুণ্ঠন খুলি’ প্রকৃতি হাসিছে, মেলি’ এলো-কুন্তল।।
সায়র ছেয়েছে শাপ্‌লা শালুকে, ‘নায়রে’ চলেছে বৌ,
বৌ-কথা-কও ডাকে ফুলবনে, ঝরে মমতার মৌ।
	বাজে আনন্দ-বেণু শারদীয়া
	মিলন পিয়াসি ডাকে পিয়া পিয়া,
সৌরভ-মধু ভারে বেদনায় কার প্রেম-শতদল, করে টলমল।।

বাণী

নয়নে ঘনাও মেঘ, মালবিকা!
গগনে জাগাও তব নীরদ-লিখা।।
বিদ্যুৎ হানে যদি গরজায় বাজ
সুন্দর মৃত্যুরে নাহি ভয় আজ,
আমার এ বনে এসো মনোবালিকা।।
ঝরুক এ শিরে মোর ঘন বরষা
ফুটিবে কাননে ফুল আছে ভরসা,
এসো জল-ছল-ছল পথে অভিসারিকা।।

বাণী

নূপুর মধুর রুনুঝুনু বোলে।
মন-গোকুলে রুনুঝুনু বোলে।।
	কূলের বাঁধন টুটে,
	যমুনা উথলি' ওঠে,
পুলকে কদম ফোটে পেখম খোলে
	শিখী পেখম খোলে।।
ব্রজনারী কুল ভুলে'
	লুটায় সে পদমুলে
চোখে জল, বুকে প্রেম- তরঙ্গ দোলে।।
	শ্রীমতি রাধারই সাথে
	বিশ্ব ছুটেছে পথে,
হরি হরি ব'লে মাতে ত্রিভুবন ভোলে।
	নামে ত্রিভুবন ভোলে।।

বাণী

নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে
ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি
ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।।
	মিঠে রোদে শীতের দিনে
	তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে
ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।।
মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড়
বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর
	ওগো মিষ্টিতে ভরপুর।
	মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি
	মধুর এ রস ও বিদেশি,
রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।

বাণী

নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে জাগো চন্ডিকা মহাকালি।
মৃতের শ্মশানে নাচো মৃত্যুঞ্জয়ী মহাশক্তি দনুজ-দলনী করালি॥
		প্রাণহীন শবে শিব-শক্তি জাগাও
		নারায়ণের যোগ-নিদ্রা ভাঙাও
অগ্নিশিখায় দশদিক রাঙাও বরাভয়দায়িনী নৃমুন্ডমালি॥
শ্রী চন্ডিতে তোরই শ্রীমুখের বাণী
কলিতে আবির্ভাব হবে তোর ভবানী।
		এসেছে কলি, কালিকা এলি কই
		শুম্ভ-নিশুম্ভ জন্মেছে পুন ঐ
অভয়বাণী তব মাভৈঃ মাভৈঃ শুনিব কবে মাগো খর করতালি॥

বাণী

নতুন ক’রে রেজওয়ান জিন্নত সাজায়
আজ রোজায় আজ রোজায় আজ রোজায়।
লাগল চাবি দোজখেরি দরওয়াজায়।।
	মসজিদেরি মিনার-চুড়ে
	আজ বেহেশতী নিশান উড়ে
গাফলতি নাই আর কারো নামাজ কাজায়।।
	রোজার শবেকদর রাতে
	কোরান এলো দুনিয়াতে
ফেরেশতা সব সালাম জানায় মোর্তজায়।।