নিশি কাজল শ্যামা আয় মা
বাণী
নিশি কাজল শ্যামা আয় মা নিশীথ রাতে। যেমন কালো বাদল নামে নীল আকাশের নয়নপাতে।। কুল-কুণ্ডলিনী রূপে ওঠ মা জেগে চুপে চুপে, মা ছেলেতে যাব মা চল্ ভোলানাথের ঘুম ভাঙাতে।। তোর বরাভয় রূপ দেখায়ে দূর কর মা আঁধার ভীতি, কৃষ্ণা চতুর্দশীতে মা দেখা পূর্ণ চাঁদের জ্যোতি। পাতার কোলে কুঁড়ি সম মাগো হৃদয় কমল মম তোর চরণ অরুণ দেখার আশায় রাত্রি জাগে রাতের সাথে।।
নূরজাহান! নূরজাহান!
বাণী
নূরজাহান, নূরজাহান! সিন্ধু নদীতে ভেসে, এলে মেঘলামতীর দেশে, ইরানি গুলিস্তান।। নার্গিস লালা গোলাপ আঙ্গুর–লতা শিঁরি ফরহাদ সিরাজের উপকথা এনেছিলে তুমি তনুর পেয়ালা ভরি’ বুলবুলি দিলরুবা রবাবের গান।। তব প্রেমে উন্মাদ ভুলিল সেলিম, সে যে রাজাধিরাজ – চন্দন সম মাখিল অঙ্গে কলঙ্ক লোক–লাজ। যে কলঙ্ক লয়ে হাসে চাঁদ নীল আকাশে, যাহা লেখা থাকে শুধু প্রেমিকের ইতিহাসে, দেবে চিরদিন নন্দন–লোক–চারী তব সেই কলঙ্ক সে প্রেমের সম্মান।।
সঙ্গীতালেখ্য : ‘পঞ্চাঙ্গনা’
নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরলীধর
বাণী
নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরলীধর অঙ্গ মিশায়ে মম অঙ্গে। তোমার নাচের শ্রী ফুটুক আমার এই নৃত্য-বিভঙ্গে।। মম রক্তে বাজুক তব পায়ের নূপুর আমার কণ্ঠে দাও বাঁশরির সুর, তব বাঁশরির সুর। লীলায়িত হয়ে উঠুক এ তনু তোমার প্রেম-আনন্দ-তরঙ্গে।। আমার মাঝে হরি, নাচো যবে তুমি আমি নাচি আপনা ভুলি’ হরি আমি নাচি আপনা ভুলি’ শরম ভরম যায় এই দেহ যমুনায় ছন্দের হিল্লোল তুলি’। মনে হয় আমি যেন রাসের রাধা জনম জনম আমি নাচি তব সঙ্গে।।