নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে
বাণী
নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে, হে প্রিয়, কোথা তুমি দূর প্রবাসে।। বিহগী ঘুমায় বিহগ–কোলে, ঘুমায়েছে ফুলমালা শ্রান্ত আঁচলে; ঢুলিছে রাতের তারা চাঁদের পাশে।। ফুরায় দিনের কাজ, ফুরায় না রাতি, শিয়রের দীপ হায় অভিমানে নিভে যায় নিভিতে চাহে না নয়নের বাতি। কহিতে নারি কথা তুলিয়া আঁখি বিষাদ–মাখা মুখ গুন্ঠনে ঢাকি’ দিন যায় দিন গুণে, নিশি যায় নিরাশে।।
নতুন পাতার নূপুর বাজে দখিনা বায়ে
বাণী
নতুন পাতার নূপুর বাজে দখিনা বায়ে কে এলে গো, কে এলে গো চপল পায়ে।। ছায়া-ঢাকা আমের ডালে চপল আঁখি উঠ্ল ডাকি' বনের পাখি — উঠ্ল ডাকি'। নতুন চাঁদের জোছনা মাখি সোনাল শাখায় দোল দুলায়ে কে এলে গো, কে এলে গো চপল পায়ে।। সুনীল তোমার ডাগর চোখের দৃষ্টি পিয়ে সাগর দোলে, আকাশ ওঠে ঝিল্মিলিয়ে। পিয়াল বনে উঠল বাজি তোমার বেণু ছড়ায় পথে কৃষ্ণচূড়া পরাগ-রেণু। ময়ূর-পাখা বুলিয়ে চোখে কে দিলে গো ঘুম ভাঙায়ে। কে এলে গো চপল পায়ে।।
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে
বাণী
নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে সেই দেশে যাইও রে কলসি, বন্ধু রয় যে দেশে।। জলকে এসে' কাল সকালে কখন মনের ভুলে ভাসিয়েছিলাম বন্ধুর লাগি' খোঁপার কুসুম খুলে' কূলে এসে লাগলো সে ফুল আজকে বেলাশেষে।। কালকে আমার খোঁপার কুসুম পায়নি খুজেঁ যারে, কলসি আমার যাও রে ভেসে' খুঁজে আনো তারে। আমার নয়ন-জল নিয়ে যাও, ঢেলো বন্ধুর পা'য়; পিদিম জ্বেলে' রইব জেগে তাহারি আশায় আর কতদিন রইব এমন যোগিনীরই বেশে।।
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী
বাণী
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায় দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥ মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল, মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥ জুম্মার মস্জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত, অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত। নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে ‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্ত্ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥