বাণী

নাইতে এসে ভাটির স্রোতে কলসি গেল ভেসে
সেই দেশে যাইও রে কলসি, বন্ধু রয় যে দেশে।।
জলকে এসে' কাল সকালে কখন মনের ভুলে
ভাসিয়েছিলাম বন্ধুর লাগি' খোঁপার কুসুম খুলে'
কূলে এসে লাগলো সে ফুল আজকে বেলাশেষে।।
কালকে আমার খোঁপার কুসুম পায়নি খুজেঁ যারে,
কলসি আমার যাও রে ভেসে' খুঁজে আনো তারে।
আমার নয়ন-জল নিয়ে যাও, ঢেলো বন্ধুর পা'য়;
পিদিম জ্বেলে' রইব জেগে তাহারি আশায়
আর কতদিন রইব এমন যোগিনীরই বেশে।।

বাণী

নীলাম্বরী–শাড়ি পরি’ নীল যমুনায় কে যায়?
যেন জলে চলে থল–কমলিনী ভ্রমর নূপুর হয়ে বোলে পায় পায়।।
		কলসে কঙ্কনে রিনিঠিনি ঝনকে,
		চমকায় উন্মন চম্পা বনকে,
দলিত অঞ্জন নয়নে ঝলকে, পলকে খঞ্জন হরিণী লুকায়।।
অঙ্গের ছন্দে পলাশ–মাধবী অশোক ফোটে,
নূপুর শুনি’ বনতুলসীর মঞ্জরী উলসিয়া ওঠে।
		মেঘ–বিজড়িত রাঙা গোধূলি
		নামিয়া এলো বুঝি পথ ভুলি,
তাহার অঙ্গ তরঙ্গ–বিভঙ্গে কুলে কুলে নদী জল উথলায়।।

বাণী

নাচে ঐ আনন্দে নন্দ-দুলাল
তাতা থৈ তাতা থৈ — নাচে বৃন্দাবনে হরি ব্রজ-গোপাল।।
ছন্দ নামে, দক্ষিণে বামে,
টলে বাঁকা শিখী-পাখা।
উছল যমুনা-জলে বাজিছে তাল।
		নাচে নন্দ-দুলাল।।
বিরাট খেলে হের আজ শিশুর রূপে,
স্বর্গে কাঙাল করি’ ধরায় এলো চুপে চুপে।
এত রূপ কেমনে দেখি,
দিলে কেন দুটি আঁখি
তাহে আবার পলক পড়ে;
আজি বিশ্ব-পালক হ’ল বালক রাখাল।।

বাণী

	নীপ-শাখে বাঁধো ঝুলনিয়া,
	কাজল-নয়না শ্যামলিয়া॥
	মেঘ-মৃদঙ্গ তালে শিখী নাচে ডালে-ডালে।
	মল্লার গান গাহিছে পবন পূরবিয়া॥
	কেতকী কেশরে কুন্তল করো সুরভি,
পরো	কদম মেখলা কটি-তটে রূপ-গরবী।
	নব-যৌবন জল-তরঙ্গে,
	পায়ে পাঁয়জোর বাজুক রঙ্গে
	কাজরি ছন্দে নেচে চল করতালি দিয়া॥

বাণী

	নিশি কাজল শ্যামা আয় মা নিশীথ রাতে।
	যেমন কালো বাদল নামে নীল আকাশের নয়নপাতে।।
	কুল-কুণ্ডলিনী রূপে ওঠ মা জেগে চুপে চুপে,
	মা ছেলেতে যাব মা চল্‌ ভোলানাথের ঘুম ভাঙাতে।।
	তোর বরাভয় রূপ দেখায়ে দূর কর মা আঁধার ভীতি,
	কৃষ্ণা চতুর্দশীতে মা দেখা পূর্ণ চাঁদের জ্যোতি।
	পাতার কোলে কুঁড়ি সম মাগো হৃদয় কমল মম
তোর	চরণ অরুণ দেখার আশায় রাত্রি জাগে রাতের সাথে।।

বাণী

নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।