নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর
বাণী
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর সুঠাম মনোহর মধুর ভঙ্গে ঘিরি' সে চরণ ঘুরিছে অগণন গ্রহ-তারা গোপী সম রঙ্গে।। হেরিয়া তাহারি নৃত্যের হিল্লোল পবন উন্মন সাগরে জাগে দোল সে নাচে বিবশ নিশীথ দিবস জাগে হিন্দোল আলো-আঁধার তরঙ্গে।। সে নাচে বৃষ্টি হয় কোটি সৃষ্টি নির্ঝর সম ঝরে ছন্দ সে নাচ হেরিয়া বন্ধন টুটে গো জাগে অনন্ত আনন্দ। ষড় ঋতু ঘুরে' ঘুরে' হেরে সেই নৃত্য প্রেমাবেশে মাতোয়ারা নিখিলের চিত্ত তাই এ ত্রিভুবন হলো না রে পুরাতন পেল চির-যৌবন নাচি' তারি' সঙ্গে।।
নবীন আশা জাগ্ল যে রে আজ
বাণী
নবীন আশা জাগ্ল যে রে আজ! নূতন রঙে রাঙা তোদের সাজ॥ কোন সে বাণী বাজ্ল প্রাণের মাঝ বাজরে বীনা বাজ, দীপক-তানে বাজ আপন কাজে পাস্ রে কেন লাজ? এগিয়ে গিয়ে ধর্ রে নিজের কাজ। শির্ উচিয়ে দাঁড়া জগৎ-মাঝ! তোদের কণ্ঠে হানে যেন প্রবল বাজ॥ ফেলে দে রে যা কিছু সব জীর্ণ রিক্ত যা, হবে তা দীর্ণ। থাকিস্ নে বসে কেউ শীর্ণ দুন্দুভি-ঢাক বাজুক না রে আজ॥
নীল যমুনা সলিল কান্তি
বাণী
নীল যমুনা সলিল কান্তি চিকন ঘনশ্যাম। তব শ্যামরূপে শ্যামল হল সংসার ব্রজধাম।। রৌদ্রে পুড়িয়া তপিতা অবনি চেয়েছিল শ্যাম-স্নিগ্ধা লাবনি, আসিলে অমনি নবনীত তনু ঢলঢল অভিরাম চিকন ঘনশ্যাম।। আধেক বিন্দু রূপ তব দুলে ধরায় সিন্ধুজল তব বেণু শুনি’, ওগো বাঁশুরিয়া, প্রথম গাহিল কোকিল পাপিয়া, হেরি কান্তার-বন-ভুবন ব্যাপিয়া বিজড়িত তব নাম; চিকন ঘনশ্যাম।।
নিশি-পবন নিশি-পবন
বাণী
নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।। মৌ-টুস্টুস্ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল (ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও যাও যাও যাও।। চাঁপা ফুলের পুত্লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি। তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও। যাও যাও যাও।। ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায় ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায় জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও — যাও যাও যাও।।