নিরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন
বাণী
নিরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন। অশান্ত-ধারে জল ঝরে অবিরল, ধরণী ভীত-মগন॥ ঝঞ্ঝার ঝল্লরী বাজে ঝনন্ননন দীর্ঘশ্বসি’ কাঁদে অরণ্য শনশন, প্রলয় বিষাণ বাজে বজ্রে ঘনঘন — মূর্ছিত মহাকাল-চরণে মরণ॥ শুধিবে না কেহ কি গো এই পীড়নের ঋণ, দুঃখ-নিশি-শেষে আসিবে না শুভদিন। দুষ্কৃতি বিনাশায় যুগ-যুগ-সম্ভব অধর্ম নিধনে এসো অবতার নব, ‘আবিরাবির্ম এধি’ ঐ ওঠে রব — জাগৃহি ভগবন্, জাগৃহি ভগবন্॥
নবীন আশা জাগ্ল যে রে আজ
বাণী
নবীন আশা জাগ্ল যে রে আজ! নূতন রঙে রাঙা তোদের সাজ॥ কোন সে বাণী বাজ্ল প্রাণের মাঝ বাজরে বীনা বাজ, দীপক-তানে বাজ আপন কাজে পাস্ রে কেন লাজ? এগিয়ে গিয়ে ধর্ রে নিজের কাজ। শির্ উচিয়ে দাঁড়া জগৎ-মাঝ! তোদের কণ্ঠে হানে যেন প্রবল বাজ॥ ফেলে দে রে যা কিছু সব জীর্ণ রিক্ত যা, হবে তা দীর্ণ। থাকিস্ নে বসে কেউ শীর্ণ দুন্দুভি-ঢাক বাজুক না রে আজ॥
নিরালা কানন-পথে কে তুমি চল একেলা
বাণী
নিরালা কানন-পথে কে তুমি চল একেলা। দু'ধারে চরণ-পাতে ফুটায়ে ফুলের মেলা।। তোমার ওই কেশের সুবাস ফুলবন করিছে উদাস কুসুম ভুলিয়া মলয় ও কেশে করিছে খেলা।। লুটায়ে পড়ে ফুল-দল পরিবে বলিয়া খোঁপায় ওগো চলিবে বলি' বনতল ফুলেরা পরাগে রাঙায়, ও-পায়ে আলতা হ'তে চায় রঙিন গোধূলি-বেলা।। 'চলিয়া যেয়ো না, যেয়ো না' বলি' লতারা চরণে জড়ায়, রোধিতে কন্টক-তরু, আঁচল ছাড়িতে না চায়; আকাশে ইশারায় ডাকে দ্বিতীয়া চাঁদের ভেলা।।