ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বাণী
ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা। আজ সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্মে শেষে হানলে ছুরি এত শঠতা এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।। চকোরী দেখলে চাঁদে দূর থেকে সই আজো কাঁদে আজো বাদলে ঝুলন ঝুলে তেমনি জলে চলে বলাকা।। বকুলের তলায় দোদুল কাজলা মেয়ে কুড়োয় লো ফুল চলে নাগরী কাঁখে গাগরি চরণ ভারি কোমর বাঁকা।। ডালে তোর করলে আঘাত দিস্ রে কবি ফুল সওগাত ব্যথা-মুকুলে অলি না ছুঁলে বনে কি দুলে ফুল-পতাকা।।
ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির সুরভি
বাণী
ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির সুরভি হায় সন্ধ্যায় রহি’ রহি’ কাঁদি’ ওঠে সকরুণ পূরবী, আমারে কাঁদায়।। কা’রা যেন এসেছিল, এসে ভালোবেসেছিল। ম্লান হ’য়ে আসে মনে তাহাদের সে-ছবি, পথের ধুলায়।। কেহ গেল দ’লে – কেহ ছ’লে, কেহ গলিয়া নয়ন নীরে যে গেল সে জনমের মত গেল চলিয়া এলো না, এলো না ফিরে। কেহ দুখ দিয়া গেল কেহ ব্যথা নিয়া গেল কেহ সুধা পিয়া গেল কেহ বিষ করবী তাহারা কোথায় আজ তাহারা কোথায়।।
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম
বাণী
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম তোলে কে ভ্রমর-কুন্তলা কিশোরী ফুল দেখে বেভুল সিনান বিসরি’।। একি নূতন লীলা আঁখিতে দেখি ভুল কমল ফুল যেন তোলে কমল ফুল ভাসায়ে আকাশ-গাঙে অরুণ-গাগরি।। ঝিলের নিথর জলে আবেশে ঢল ঢল গ’লে পড়ে শত সে তরঙ্গে, শারদ-আকাশে দলে দলে আসে মেঘ, বলাকার খেলিতে সঙ্গে। আলোক-মঞ্জরি প্রভাত বেলা বিকশি’ জলে কি গো করিছে খেলা বুকের আঁচলে ফুল উঠিছে শিহরি’।।
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ
বাণী
ভক্ত নরের কাছে হে নারায়ণ চিরদিন আজ হারি তাই তো তোমায় নামায়েছি ব্রজে গোলক হইতে কাড়ি।। চতুর্ভুজের দ্বিভুজ হরিয়া বেঁধেছি যশোদা দুলাল করিয়া বনমালা পীত বসন পরিয়া হয়েছ ময়ূর মুকুটধারী।। রাঙা পায়ে তব নূপুর পরায়ে নাচায়েছি পথ মাঝে হাতে দিয়ে বেণু সাথে দিয়ে ধেণু সাজানু গোপাল সাজে। ভগবান বলে মোরা না ধেয়াই চোর কপট নিঠুর বলি তাই সুমধুর গালি দিয়েছি কানাই বামে দিয়ে রাধা প্যারী।।