ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে
বাণী
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে। বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায় পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা, শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম
ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির
বাণী
ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্ গাফ্লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥ এই দুনিয়ার সরাইখানায় জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায় ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥ দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর দীনের কাজে অবহেলা কর্লি জীবন ভোর। যে দিন আজো আছে বাকি খোদারে তুই দিস্নে ফাঁকি আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
ভিখারিনী করে পাঠাইলি মোরে
বাণী
ভিখারিনী করে পাঠাইলি মোরে, (মাগো) কি দিয়ে পূজিব বল। হাতে আছে শুধু শূন্য প্রণাম, চোখে আছে শুধু জল।। পূজা ধূপ নাই, চন্দন নাই, মাগো, লাজে মরি দিতে ভয় পাই চুরি করে আনা দুটি জবা ফুল, একটি বিল্বদল।। তোর ধনী ছেলে মেয়ে ঘটা করে তোর পূজা করে কত রূপে, মাগো ভিখারি মেয়ের বেশে তুই কেন দাঁড়াইলি এসে, মোর কাছে চুপে চুপে কিছু নাই মাগো হাতে দিতে তোর, শুধু নামখানি সম্বল মোর, যদি চাস তুই ঐ রাঙা পায়ে দিব নামের সে শতদল।।
ভারতলক্ষ্মী মা আয় ফিরে এ ভারতে
বাণী
ভারতলক্ষ্মী মা আয় ফিরে এ ভারতে ব্যথায় মোদের চরণ ফেলে অরুণ আশার সোনার রথে॥ অশ্রু গঙ্গার জলে ধুই মা তোর চরণ নিতি ত্রিশ কোটি কণ্ঠে বাজে রোদনে তোর বোধনগীতি আয় মা দলিত রাঙা হৃদয় বিছানো পথে॥ বিজয়া তোর হ’ল কবে শতাব্দী চলিয়া যায় ভারত-বিজয়-লক্ষ্মী ভারতে ফিরিয়া আয় বিসর্জনের কান্না মা এবার তুই এসে থামা সফল কর এ তপস্যা মা স্থান দে স্বাধীন জগতে॥
ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
বাণী
উভয়ে : ভালোবাসায় বাঁধব বাসা আমরা দু'টি মাণিক-জোড়। থাকব বাঁধা পাখায় পাখায় মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। পুরুষ : আমার বুকে যত মধু স্ত্রী : আমার বুকে ঢালবে বঁধু পুরুষ : আমি কাঁদব যখন দুখে স্ত্রী : আমি মুছাব সে নয়ন-লোর।। পুরুষ : আমি যদি কভু মনের ভুলে তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে, স্ত্রী : আমি রইব তাতেই ফুলের মালায় লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর। উভয়ে : মোরা নীল গগনের নীল স্বপনে চির-কালের চাঁদ-চকোর।।