ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে
বাণী
ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে। বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায় পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা, শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম
ভারত শ্মশান হ’ল মা তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে
বাণী
ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে। জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।। আজ হিমালয় হিমে ভরা, দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা, নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।। (মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে, নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে? শিব-সীমন্তিনী বেশে খেল্ মা আবার হেসে হেসে, ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।
ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান
বাণী
ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান দেশ জননীর সমান প্রিয় যুগল সন্তান।। তাইতো মায়ের কোল নিয়ে ভাই ভা’য়ে ভা’য়ে বাধে লড়াই এই কলহের হবেই হবে মধুর অবসান এক দেশেরই অন্নজলে এক দেহ এক প্রাণ।। আল্লা বলে কোরান তোমায়, এলা বলে বেদ, যেমন পানি, জলে রে ভাই শুধু নামের ভেদ। মোদের মাঝে দেয়াল তুলতে যে চায় জানবে মোদের শত্রু তাহায় (জানবে রে) বিবাদ ক’রে এনেছি হায় অনেক অকল্যাণ মিলনে আজ উঠুক জেগে নব-হিন্দুস্থান। জেগে উঠুক হিন্দুস্থান।।
ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বাণী
ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা। আজ সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্মে শেষে হানলে ছুরি এত শঠতা এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।। চকোরী দেখলে চাঁদে দূর থেকে সই আজো কাঁদে আজো বাদলে ঝুলন ঝুলে তেমনি জলে চলে বলাকা।। বকুলের তলায় দোদুল কাজলা মেয়ে কুড়োয় লো ফুল চলে নাগরী কাঁখে গাগরি চরণ ভারি কোমর বাঁকা।। ডালে তোর করলে আঘাত দিস্ রে কবি ফুল সওগাত ব্যথা-মুকুলে অলি না ছুঁলে বনে কি দুলে ফুল-পতাকা।।