ভীরু এ মনের কলি ফোটালে না কেন
বাণী
ভীরু এ মনের কলি ফোটালে না কেন ফোটালে না — জয় করে কেন নিলে না আমারে, কেন তুমি গেলে চলি।। ভাঙ্গিয়া দিলে না কেন মোর ভয়, কেন ফিরে গেলে শুনি অনুনয়; কেন সে বেদনা বুঝিতে পার না মুখে যাহা নাহি বলি।। কেন চাহিলে না জল নদী তীরে এসে, সকরুণ অভিমানে চলে গেলে মরু–তৃষ্ণার দেশে।। ঝোড়ো হাওয়া ঝরা পাতারে যেমন তুলে নেয় তার বক্ষে আপন কেন কাড়িয়া নিলে না তেমনি করিয়া মোর ফুল অঞ্জলি।।
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর
বাণী
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর এমন গান! সেদিন দুয়ার ভেঙে আসবে জোয়ার মরা গাঙে ডাকবে বান।। তোরা স্বার্থ-পিশাচ যেমন কুকুর তেমনি মুগুর পাস রে মান। সেই কলজে চুঁয়ে গলছে রক্ত দলছে পায়ে ডলছে কান।। ওরে তোরা করিস লাঠালাঠি সিন্ধু-ডাকাত লুটছে ধান! তাই গোবর-গাদা মাথায় তোদের কাঁঠাল ভেঙে খায় শেয়ান।। ছিলি সিংহ ব্যাঘ্র, হিংসা-যুদ্ধে আজকে এমন ক্ষিন্ন প্রাণ। মুখের গ্রাস ঐ গিলছে শেয়াল, তোমরা শুয়ে নিচ্ছ ঘ্রাণ।। তোরা বাঁদর ডেকে মানলি সালিশ ভাইকে দিতে ফাটলো প্রাণ! সালিশ নিজেই, ‘খা ডালা সব’, বোকা তোদের এই দেখান।। তোরা নাক কেটে নিজ পরের যাত্রা ভঙ্গ করিস বুদ্ধিমান তোদের কে যে ভালো কে যে মন্দ সব শিয়ালই এক সমান।। শুনি আপন ভিটের কুকুর রাজা, তার চেয়েও হীন তোদের প্রাণ। তাই তোদের দেশ এই হিন্দুস্থানে নাই তোদেরই বিন্দু স্থান।। আজ সাধে ভারত-বিধাতা কি চোখ বেঁধে ঐ মুখ লুকান! তোরা বিশ্বে যে তার রাখিসনে ঠাঁই কানা গরুর ভীন বাথান।। তোরা করলি কেবল অহরহ নীচ কলহের পরল পান। আজ বুঝলি নে হায় নাড়ি-ছেড়া মায়ের পেটের ভায়ের টান।।
ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
ভারতলক্ষ্মী মা আয় ফিরে এ ভারতে
বাণী
ভারতলক্ষ্মী মা আয় ফিরে এ ভারতে ব্যথায় মোদের চরণ ফেলে অরুণ আশার সোনার রথে॥ অশ্রু গঙ্গার জলে ধুই মা তোর চরণ নিতি ত্রিশ কোটি কণ্ঠে বাজে রোদনে তোর বোধনগীতি আয় মা দলিত রাঙা হৃদয় বিছানো পথে॥ বিজয়া তোর হ’ল কবে শতাব্দী চলিয়া যায় ভারত-বিজয়-লক্ষ্মী ভারতে ফিরিয়া আয় বিসর্জনের কান্না মা এবার তুই এসে থামা সফল কর এ তপস্যা মা স্থান দে স্বাধীন জগতে॥