ধীরে যায় ফিরে ফিরে চায়
বাণী
ধীরে যায় ফিরে ফিরে চায়। চলে নব অভিসারে, ভীরু কিশোরী, ওঠে পাতাটি নড়লে সে চম্কে।। হরিণ নয়নে সভয় চাহনি, আসিছে কে যেন দেখিবে এখনি পথে সে দেয় ফেলে মুখর নূপুর খুলে, আপন ছায়া হেরি ওঠে গা ছম্কে॥ ‘চোখ গেল চোখ গেল’ ডাকে পাপিয়া শুনিয়া শরমে ওঠে কাঁপিয়া; হায়, যার লাগি এত, কোথায় সে ঝিল্লি-রবে ভাবে কেউ হবে বনে ফুল ঝরার আওয়াজে দাঁড়ায় সে থম্কে॥
ধুলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে
বাণী
ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে। আমার প্রলয় সুন্দর এলে॥ পথে-পথে ঝরা কুসুম ছাড়ায়ে রিক্ত শাখায় কিশলয় জড়ায়ে, গৈরিক উত্তরী গগনে উড়ায়ে — রুদ্ধ ভবনের দুয়ার ঠেলে॥ বৈশাখী পূর্ণিমা চাঁদের তিলক তোমারে পরাব, মোর অঞ্চল দিয়া তব জটা নিঙাড়িয়া সুরধুনী ঝরাব। যে-মালা নিলে না আমার ফাগুনে জ্বালা তারে তব রূপের আগুনে, মরণ দিয়া তব চরণ জড়াব হে মোর উদাসীন, যেয়ো না ফেলে॥
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি
বাণী
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি সাম্য-মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।। পাপ-বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যাঁরা মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙাড়ি শীতল শান্তি-ধারা উচ্চ-নীচের ভেদ ভাঙি দিল সবারো বক্ষ পাতি’।। কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি’ক ইসলাম সত্যে যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারি নাম আমির ফকিরে ভেদ নাই — সবে ভাই, সব এক সাথি।। নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি, নর্ সম অধিকার মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙিয়া করিয়াছি একাকার। আধার রাতির বোরখা উতারি এনেছি আশার-ভাতি।।