ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ
বাণী
ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ প্রাণের বাঁধন ভাঙল রে! আমার মনের পুঞ্জিত মেঘ অরুণ-রঙে রাঙল রে।। নাচ ভুলেছে বনের কেকা দ্বন্দ ভুলে’ হলাম একা, ময়ূরকণ্ঠী শুভ্র-হংস-মালার পরশ লাগল রে।। মেহেদি ফুলের মঞ্জরি মোর মন কেবলি রঙ লুকায়, শিলায় দলি’ রূপের কলি, আল্তা হবো তাহার পায়। জ্বাল দীপালি খোল রে দুয়ার আসে শারদ-জ্যোতির জোয়ার, আবার আনন্দিনীর আগমনের কৃপার আশা জাগল রে।।
ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে
বাণী
ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে। আমার প্রলয় সুন্দর এলে॥ পথে-পথে ঝরা কুসুম ছাড়ায়ে রিক্ত শাখায় কিশলয় জড়ায়ে, গৈরিক উত্তরী গগনে উড়ায়ে — রুদ্ধ ভবনের দুয়ার ঠেলে॥ বৈশাখী পূর্ণিমা চাঁদের তিলক তোমারে পরাব, মোর অঞ্চল দিয়া তব জটা নিঙাড়িয়া সুরধুনী ঝরাব। যে-মালা নিলে না আমার ফাগুনে জ্বালা তারে তব রূপের আগুনে, মরণ দিয়া তব চরণ জড়াব হে মোর উদাসীন, যেয়ো না ফেলে॥
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি
বাণী
ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি সাম্য-মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি।। পাপ-বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যাঁরা মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙাড়ি শীতল শান্তি-ধারা উচ্চ-নীচের ভেদ ভাঙি দিল সবারো বক্ষ পাতি’।। কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি’ক ইসলাম সত্যে যে চায় আল্লায় মানে মুসলিম তারি নাম আমির ফকিরে ভেদ নাই — সবে ভাই, সব এক সাথি।। নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি, নর্ সম অধিকার মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙিয়া করিয়াছি একাকার। আধার রাতির বোরখা উতারি এনেছি আশার-ভাতি।।
ধীরে চল চরণ টলমল
বাণী
ধীরে চল চরণ টলমল সখি নতুন মদের নেশা পিয়েছে বিষ-মেশা, চল্তে পথে উঠি চ’ম্কে। এক খাওয়ালো মুখপোড়া কালো ছোঁড়া ওঠে অঙ্গ ক্ষণে ক্ষণে ছ’ম্কে।। গুরুজনের কাছে ঢ’লে ঢ’লে পড়ি, গেল কুলমান আমি লাজে মরি। ও সে কদম-তলায়, বাঁশি বাজায়, আড় চোখে চায়, পেলে একলা পথে আগ্লে দাঁড়ায় সে থ’ম্কে।।
চলচ্চিত্র : ‘পাতালপুরী’