বাণী

ও		মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তুই		আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্‌ আসমানি তাগিদ।।
তোর		সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
দে		জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।।
আজ		পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে।
যে		ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ		ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
তোর		প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
ঢাল		হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের।
তোর		দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।

বাণী

ওরে ও দরিয়ার মাঝি! মোরে নিয়ে যা রে মদিনা।
তুমি মুর্শিদ হ'য়ে পথ দেখাও ভাই আমি যে পথ চিনি না।।  
	আমার প্রিয় হজরত সেথায়
	আছেন নাকি ঘুমিয়ে ভাই,
আমি প্রাণে যে আর বাঁচি না রে আমার হজরতের দরশ বিনা।। 
নদী নাকি নাই ও দেশে, নাও না চলে যদি —
আমি চোখের সাঁতার পানি দিয়ে বইয়ে দেব নদী। 
	ঐ মদিনার ধূলি মেখে
	কাঁদবো 'ইয়া মোহাম্মদ' ডেকে ডেকে রে —
কেঁদেছিল কারবালাতে, (ওরে) যেমন বিবি সাকিনা।।

বাণী

ও কে	নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
	যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে
		মাঠে ওপার হতে।
তার	হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল
	নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল
	সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল
	গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।।
তার	ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর
	অকরুণ বাঁশির কিশোর;
	উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন
	এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।

বাণী

ওগো	দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই (গদাইচন্দ্র) বিবাহ না করে,
	কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই ধ’রে॥
	আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে উড়ত
	হাল্‌কা দু’খান পা দিয়ে সে (গদাই) নাচ্‌ত, কুঁদ্‌ত ছুঁড়ত॥
ওগো	বিয়ে করে গদাই
	দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে সদাই।
তার	এ্যাডিশনাল দু’খানা ঠ্যাং বেড়ায় পিছে ন’ড়ে॥
	গদাই-এর পা দু’খানা মোটা, আর তার বৌ-এর পা দু’খানা সরু,
	ছোট বড় চারখানা ঠ্যাং ঠিক যেন ক্যাঙারু
গদাই	(দেখতে) ঠিক যেন ক্যাঙ্গারু।
	আপিসে পদ বৃদ্ধি হয় না (গদাইচন্দ্রের), কিন্তু ঘরে ফি-বছরে,
	পা বেড়ে যায় গড়পড়তায় দু’চারখান ক’রে।
তার	বৌ শোনে না মানা —
তিনি	হন্যে হয়ে কন্যে আনেন মা, ষষ্টির ছানা
	মানুষ থেকে চার পেয়ে জীব, শেষ ছ’পেয়ে মাছি,
	তারপর আটপেয়ে পিঁপড়ে, বাবা গদাই বলে, একেবারে গেছি
	আর বলে, ও বাবা বিয়ে করে মানুষ এই কেলেঙ্কারীর তরে (বাবা)॥

বাণী

ওগো সুন্দর! তুমি আসিবে বলিয়া বনপথে পড়ে ঝরি’
				(রাঙা) অশোকের মঞ্জরি।
হাসে বনদেবী বেণীতে জড়ায়ে মালতীর বল্লরী,
				নব কিশলয় পরি’।।
	কুমুদী-কলিকা ঈষৎ হেলিয়া
	চাঁদেরে নেহারি হাস মুচিকিয়া,
মহুয়ার বনে ভ্রম-ভ্রমরী ফিরিতেছে গুঞ্জরি’।।
যাহা কিছু হেরি ভাল লাগে আজ লুকাইতে নারি হাসি,
কাজ করি আর শুনি যেন কানে মিঠে পাহাড়িয়া বাঁশি।
	এক শাড়ি খুলে পরি’ আর শাড়ি
	বারে বারে মুখ মুকুরে নেহারি,
দুরু দুরু হিয়া উঠে চমকিয়া, অকারণে লাজে মরি।।

বাণী

ও তুই উলটা বুঝলি রাম
আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।।
আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে,
ও বাব্বা —
আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।।
আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি
	ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম।
	তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।।
আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি
তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি
আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।