বাণী

তওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলিম-জাঁহা পুনঃ হোক আবাদ।
দাও সেই হারানো সালতানাত দাও সেই বাহু সেই দিল আজাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর ওলীদ
দাও সেই উমর হারুন অল রশীদ
দাও সেই সালাহউদ্দীন আবার পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ
দাও সে আকবর সেই শাহজাহান দাও তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
দাও ভা'য়ে ভা'য়ে সেই মিলন
সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
হোক বিশ্ব-মুসলিম এক জামাত উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।

বাণী

তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু।
আমরা অবোধ, অন্ধ মায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু।।
তোমার মতই তোমার ভুবন
চির পূর্ণ, হে নারায়ণ!
দেখতে না পায় অন্ধ নয়ন তাই এ দুঃখ প্রভু।।
ঝরে যে ফল ধূলায় জানি, হয় না তাহা (কভু) হারা,
ঐ ঝরা ফলে নেয় যে জনম তরুণ তরুর চারা —
তারা হয় না কভু হারা।
হারালো (ও) মোর প্রিয় যারা,
তোমার কাছে আছে তারা;
আমার কাছে নাই তাহারা — হারায়নিক’ তবু।।

বাণী

তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥

বাণী

		তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক।
		আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিষ্ফোটক।।
		আমি কুম্‌ড়ো তুমি দা, আমি কাঁচকলা তুমি আদা,
		তুমি তেজী, (আর) আমি ম্যাদা,
আমি		সাপ, তুমি বেজি যেন, বাপ! তুমি হস্তিনী আমি ঘোটক।।
		তুমি বঁটী আমি চিচিঙ্গে, আমি চিল, পিছে তুমি ফিঙে
		আমি টিঙ্ টিঙে, (আর) তুমি ডিঙ্ ডিঙে
প্রিয়ে		আমি ভেতো বাঙালিটি, তুমি যেন বর্গী-ঠগ্‌।।
		আমি দাড়ি তুমি ক্ষুর, তুমি সাপ আমি ল্যাজুড়,
		তুমি মাফ, আমি কসুর
		আমি ভাঙা ভোঙা কলার ভেলা তুমি খিদিরপুরের ডক্।।
		তুমি বঁড়্ শি আমি মাছ; আমি মোম্ তুমি আগুন-আঁচ,
		তুমি আমার হাতের পাঁচ
		তুমি আ জনমে স্বামী হয়ো আমায় দিও পদোদক।।

বাণী

তুমি নন্দন-পথ ভোলা।।
তুমি মন্দাকিনী-ধারা উতরোলা।।
তোমার প্রাণের পরশ লেগে
কুঁড়ির বুকে মধু উঠ্‌ল জেগে,
দোলন-চাঁপায় লাগে দোলা।।
তোমারে হেরিয়া পুলকে ওঠে ডাকি’
বকুল বনের ঘুমহারা পাখি,
ধরার চাঁদ তুমি চির-উতলা।।

বাণী

তুমি	শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
	দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে
			কহে যাহা বনলতা।।
	চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে
	মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে,
	ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না
			কুসুমের নীরবতা।।
	মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়?
	রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে
			আঁখি কি দেখিতে পায়?
	পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয়
	বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়,
	মধুকর যবে ফুলে মধু পায়
			রহে না চঞ্চলতা।।

গীতিচিত্রঃ ‌‘অতনুর দেশ’