
বর্ণানুক্রমে
নোটিশ বোর্ড
জনপ্রিয়
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
তুমি যখন এসেছিলে তখন আমার ঘুম ভাঙেনি মালা যখন চেয়েছিলে বনে তখন ফুল জাগেনি।। আমার আকাশ আঁধার কালো তোমার তখন রাত পোহালো তুমি এলে তরুণ-আলো তখন আমার মন রাঙেনি।। ওগো রুদ্ধ ছিল মোর বাতায়ন পূর্ণ শশী এলে যবে, আঁধার-ঘরে একেলা জাগি হে চাঁদ আবার আসবে কবে। আজকে আমার ঘুম টুটেছে বনে আমার ফুল ফুটেছে ফেলে যাওয়া তোমারি মালায় বেঁধেছি মোর বিনোদ-বেনী।।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ কাহার্বা
তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী। কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী।। মৃত্যু প্রলয় তাদের লাগি নয় যারা তোর অনুরাগী। (মাগো) তোর শ্রীচরণ আশ্রয় মোর (দেখে) মরণ আছে ভয়ে মরি’।। তোর যদি না হয় মা বিনাশ, আমিও মা অবিনাশী; (আমি) তোরই মাঝে ঘুমাই জাগি, তোরই কোলে কাঁদি হাসি। তোর চরণ ছেড়ে পলায় যারা (মা) মায়ার জালে মরে তারা তোর মায়া-জাল এড়িয়ে গেলাম মা তোর অভয়-চরণ ধরি, মা।।
রাগঃ মিশ্র তিলং
তালঃ দাদ্রা
তুমি কি আসিবে না বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।। সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।। ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা। প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায় পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায় পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
(হায়) তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা। বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।
নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ বৈতালিক
তুমি সুন্দর কপট হে নাথ! মায়াতে রাখ বিভোর। তোমার ছলনা যে বোঝে না নাথ সেই সে দুঃখী ঘোর।। কত শত রূপে নিঠুর আঘাতে তুমি চাও নাথ তোমারে ভোলাতে তবু যে তোমারে ভুলিতে পারে না ধরা দাও তারে চোর।। কাঁদাও তাহারে নিশিদিন তুমি যপে যে তোমার নাম তোমারে যে চাহে শত বন্ধনে বাঁধ তারে অবিরাম। সাগরে মিশাতে চায় বলে নদী জনম গোঁয়ায় কেঁদে নিরবধি ভক্তে তেমনি দিয়াছ যে নাথ অসীম আঁখি - লোর।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
তোরা বলিস্ লো সখি, মাধবে মথুরায় কেমনে রাধার কাঁদিয়া বরষ যায়॥ খর-বৈশাখে কি দাহন থাকে বিরহিণী একা জানে ঘৃত-চন্দন পদ্ম পাতায় দারুণ দহন-জ্বালা না জুড়ায় ‘ফটিক জলে’র সাথে আমি কাঁদি চাহিয়া গগন-পানে। জ্বালা না জুড়ায় গো — হরি-চন্দন বিনা ঘৃত-চন্দনে জ্বালা না জুড়ায় গো শ্যাম-শ্রীমুখ-পদ্ম বিনা পদ্ম পাতায় জ্বালা না জুড়ায়॥ বরষায় অবিরল ঝর ঝর ঝরে জল জুড়াইল জগতের নারী রাধার গলার মালা হইল বিজলি-জ্বালা তৃষ্ণা মিটিল না তা’রি! সখি রে, তৃষ্ণা মিটিল না তা’রি। প্রবাসে না যায় পতি সব নারী ভাগ্যবতী বন্ধু রে বাহুডোরে বাঁধে ললাটে কাঁকন হানি’ একা রাধা অভাগিনী প্রদীপ নিভায়ে ঘরে কাঁদে। জ্বালা তা’র জুড়ালো না জলে গো শাওনের জলে তা’র মনের আগুন দ্বিগুণ জ্বলে গো কৃষ্ণ-মেঘ গেছে চ’লে, অকরুণ অশনি হানিয়া হিয়ায় (সখি)॥ আশ্বিনে পরবাসী প্রিয় এলো ঘরে গো মিটিল বধূর মন-সাধ (সখি রে) রাধার চোখের জলে মলিন হইয়া যায় কোজাগরী চাঁদ (মলিন হইয়া যায় গো)। আগুন জ্বালালে শীত যায় নাকি রাধার কি হ’ল হায় বুক ভরা তার জ্বলিছে আগুন তবু শীত নাহি যায়। যায় না, যায় না আগুন জ্বলে — বুকের আগুন জলে, তবু শীত যায় না, যায় না, শীত যদি বা যায় নিশীথ না, যায় গো যায় না, যায় না, রাধার যে কি হ’ল হায়॥ কলিয়া কৃষ্ণ-ছূড়া, ছড়ায়ে ফাগের গুঁড়া আসিল বসন্ত রাধা-অনুরাগে রেঙে কে ফাগ খেলিবে গো, নাই ব্রজ-কিশোর দুরন্ত। মাধবী-কুঞ্জে কুহু কুহরিছে মুহুমুহু ফুল-দোলনায় সবে দোলে, এ মধু মাধবী রাতে রাধার মাধব নাই দুলিবে রাধা কার কোলে সখি রে — রাধা দোলে কার কোলে গো শ্যাম-বল্লভ বিনা রাধা দোলে কার কোলে গো, বল্ সখি, দোলে কার কোলে। ফুল-দোলে দোলে সবে পিয়াল-শাখে রাধার প্রিয়া নাই, বাহু দু’টি দিয়া বাঁধিবে কাহাকে, ঝরা-ফুল-সাথে রাধা ধূলাতে লুটায়॥
রাগঃ
তালঃ ফের্তা
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan