তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি
বাণী
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী কৃষ্ণ মুরারি আগত ঐ টুটিল আগল নিখিল পাগল সর্বসহা আজি সর্বজয়ী।। বহিছে উজান অশ্রু-যমুনায় হৃদি-বৃন্দাবনে আনন্দ ডাকে, (ওরে) ‘আয়’, বসুধা যশোদার স্নেহধার উথলায় (ওগো) কাল্-রাখাল নাচে থৈ-তা-থৈ।। বিশ্ব ভরি' ওঠে স্তব নমো নমঃ অরির পুরী-মাঝে এলো অরিন্দম। ঘিরিয়া দ্বার বৃথা জাগে প্রহরী জন বন্ধ কারায় এলো বন্ধ-বিমোচন, ধরি' অজানা পথ আসিল অনাগত জাগিয়া ব্যথাহত ডাকে, মাভৈঃ।।
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী
বাণী
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে মোর হাত দু'টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে।। সিন্ধু জলের জোয়ার সম, ছন্দ নামে অঙ্গে মম রূপ হলো মোর নিরুপম তোমার প্রেমের সুরের অমৃতে।। আমার আঁখির পল্লবদল উদাস অশ্রুভারে, ভোরের করুণ তারা মতো কাপেঁ বারেবারে। আনন্দে ধীর বসুন্ধরা, হলো চপল নৃত্যপরা ঝরে রঙের পাগল ঝোরা তোমার চরণ রঞ্জিতে।।
তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম
বাণী
তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম — মোর সাধ যায় হরি আমি যদি সেই কিশোরী হইতাম।। সেই প্রেম মোরে দাও গো শ্রী হরি, যে প্রেমে নেমে আস রূপ ধরি', যে প্রেমে কাঁদো যমুনার তীরে তুমি লয়ে 'রাধা রাধা' নাম।। সেই প্রেম দাও যে প্রেমে ভোল তুমি হে শ্রী ভগবান, রাধার দুয়ারে ভিক্ষা চাহিয়া নিতি সহ অপমান। মোর আঁখি হয়ে উঠুক কমল, দাও প্রিয় মোরে সেই আঁখিজল; দাও সে বিরহ যে বিরহে এই ধরা হয় ব্রজধাম।।
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।